Site icon Aparadh Bichitra

পাকিস্তানে নারীদের ‘মেরুদন্ড থেকে চুরি হচ্ছে মূল্যবান তরল’ চুরির চক্র গ্রেপ্তার

নারীদের মেরুদণ্ডের ভিতরে থাকা তরল পদার্থ (স্পাইনাল ফ্লুইড) চুরি করার অভিযোগে একটি চক্রের চার সদস্যকে আটক করেছে পাকিস্তানের পুলিশ।

 

বিবিসিকে পাকিস্তানের পুলিশ জানায়, পাঞ্জাব সরকার থেকে আর্থিক সহায়তা পেতে নারীদের রক্তের নমুনা সরবরাহ করতে হবে বলে অভিযুক্তরা বলেছিল। এ সময় রক্তের পরিবর্তে তাদের মেরুদণ্ড থেকে স্পাইনাল ফ্লুইড বের করে নেয় এবং পরে তা কালোবাজারে বিক্রির চেষ্টা করে অভিযুক্ত চক্রটি।

পুলিশ ধারণা করছে, কমপক্ষে ১২ জন নারীর স্পাইনাল ফ্লুইড চুরি করেছে তারা। এরমধ্যে এক কিশোরীও রয়েছেন।

এক ব্যক্তির অভিযোগের পর কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে সচেতন হয়। অভিযোগকারী ব্যক্তি জানায়, তার মেয়ের শরীর থেকে রক্ত নেয়ার পর সে খুব দুর্বল হয়ে পড়েছিল।

পুলিশের আঞ্চলিক কর্মকর্তা আশফাক আহমেদ খান বিবিসিকে জানান, কিছু দিন ধরে এ চক্রটি হাফিজাবাদে সক্রিয় রয়েছে।

আশফাক আহমেদ খান আরো জানান, চক্রের একজন সদস্য জেলা হাসপাতালের কর্মী সেজে রোগীদের বলেন, পাঞ্জাব সরকারের যৌতুক তহবিল পেতে রক্তের নমুনা দিতে হবে। এরপর টার্গেটকৃত নারীকে হাসপাতালে না নিয়ে চক্রের এক মহিলা সদস্যের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। এবং সেখানে তার মেরুদণ্ড থেকে স্পাইনাল ফ্লুইড বের করে নেয়।

মেরুদণ্ডের তরল হল একটি স্বচ্ছ তরল, যা মস্তিষ্ক ও মেরুদন্ডের চারপাশে পাওয়া যায়। যা চোট ও আঘাত থেকে রক্ষা করে। মেরুদণ্ডের নালিতে সুই ঢুকিয়ে এ তরল বের করা যেতে পারে।

এ বিষয়টি এখনও পরিষ্কার নয় যে, কালোবাজারে কিভাবে এই বিশেষ তরল বিক্রি হচ্ছে এবং এটি কারা ক্রয় করছে। এ বিষয়ে পাকিস্তান স্বাস্থ্য মন্ত্রাণালয় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। এ চক্রের চার সদস্য পুলিশি হেফাজতে রয়েছে।

স্বাস্থ্য সংক্রান্ত কেলেঙ্কারির ঘটনা পাকিস্তানে এটিই প্রথম নয়। এর আগেও ২০১৬ সালের শেষ দিকে রাওয়ালপিন্ডিতে মানবঅঙ্গ পাচারকারীদের কাছে জিম্মি ২৪ জনকে উদ্ধার করে পুলিশ।

২০১০ সালে মানবঅঙ্গ বেচাকেনা নিষিদ্ধ করে পাকিস্তান সরকার। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখনো পাকিস্তানে মানবঅঙ্গ পাচারের অন্যতম একটি দেশ।

অপরাধ বিচিত্রা/১৫.০২.২০১৮