আউলিয়াপুরে ধুমধামে বাল্য বিয়ের মহোৎসব

0
2317

বাকেরগঞ্জে আউলিয়াপুরে চলছে ধুমধামের মাধ্যমে বাল্য বিয়ের মহোৎসব। হিউম্যান রাইটস (বাসক) বাংলাদেশ’র নিন্দা, জড়িতদের শাস্তির দাবী
যখন জেলা প্রশাসক বাল্য বিয়ে মুক্ত জেলা ঘোষনা করার পর তখনই প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে আউলিয়াপুর বার আউলিয়া দরবার শরীফে বিপরীত পাশে ধুমধামের মাধ্যমে আগামীকাল (শুক্রবার) বাল্য বিবাহের মহোৎসব হতে চলেছে।

 

সূত্রমতে এলাকার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলার রঙ্গশ্রী ইউনিয়নের আউলিয়াপুর দরবার শরীফের বিপরীত দক্ষিণ পার্শ্বে দুলাল হাওলাদারের ভাগিনা গাজাখোর ও গাঁজার ব্যবসায়ী মিরাজের (আউলিয়াপুরের অস্থায়ী বাসিন্দা) ৮ম শ্রেণি পড়–য়া মেয়ে রিয়া (১২/১৩) এবং একই গ্রামের সুদখোর ও প্রতারক মোতালেব বিশ্বাসের ছেলে আনোয়ার বিশ্বাস (১৯) ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার দেন মোহর ও চার খানা স্বর্নলঙ্গকার যৌতুক দিয়ে উৎসব করে বিবাহ সম্পন্ন হয়। এব্যাপারে এলাকাবাসীর কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন জেলা প্রশাসক বরিশাল জেলাকে বাল্য বিয়ে মুক্ত জেলা ঘোষনা করেছেন। তার ভিতরে গাঁজার স¤্রাট মিরাজ ও সুদখোর মোতালেব বিশ্বাসের ছেলে ও মেয়েকে পারে বাল্য বিয়ে পড়াতে? দেশ ও সমাজ ধ্বংশ হয়ে যায় মিরাজ ও মোতালেব বাবাদের অপকর্মে। সুশীল সমাজ বা এলাকার নিষিদ্ধ বাল্য বিয়ে পড়ানো মিরাজ ও মোতালেব বিশ্বাসের চিত্র তুলে ধরে সাংবাদিক ও পরিচালক হিউম্যান রাইটস (বাসক) বাংলাদেশ এর কাছে। সাংবাদিক ও পরিচালক হিউম্যান রাইটস (বাসক) এঘটনার নিন্দ জানিয়ে বিচার দাবী করেন। এব্যাপারে ছেলের বাবা সুদখোর মোতালেব এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার ছেলেকে আমিই বিয়ে করাবো তাতে সাংবাদিক ও পুলিশের কী? মেয়ের বাবা গাঁজা খোর, গাঁজা ব্যবসায়ী মিরাজের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমার মেয়েকে আমি বিয়ে দেব ৮ম শ্রেণি পড়ুয়া হোক আর ১ম শ্রেণি পড়–য়া হোক তাতে সাংবাদিক ও পুলিশের কী? আমি সাংবাদিক ও পুলিশের কামাই খাই না যে, মেয়ের বিয়ের জবাবদিহী করতে হবে।

সাংবাদিকগিড়ি দেখাবি আরেকজনের সামনে। আমার সামনে নহে। আমার জীবনে অনেক সাংবাদিক ও পুলিশ দেখেছি। ৩ টাকার পত্রিকায় আমারে মেয়ের বাল্য বিবাহের ব্যাপারে লিখে যা করতে পারেন করিয়েন। মেয়ে যে, বিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত সেই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: জাহাঙ্গীর হাওলাদারের কাছে জানতে চইলে তিনি বলেন ছেলে ও মেয়ের বাবা বিয়ের পরে আমার বিদ্যালয়ে ২কেজি মিষ্টি নিয়ে এসেছিল কিসের মিষ্টি? তখন সুদখোর মোতালেব বিশ্বাস ও গাঁজাখোর ব্যবসায়ী মিরাজ বলেন। আমাদের ছেলে মেয়ের বিয়ের মিষ্টি। কোন মেয়ে? আপনার বিদ্যালয়ে ৮ম শ্রেণি পড়–য়া মেয়ে রিয়া, রিয়ার বিয়ের মিষ্টি।

জান মিয়া বাল্য বিয়ের আমি খাই না। তারাতাড়ি মিষ্টি নিয়ে আমার বিদ্যালয় থেকে বের হন। রঙ্গশ্রী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বশির উদ্দিন শিকদারের কাছে এব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন এই বাল্য বিয়ের বিষয়টি আমি জানি না। অপ্রাপ্ত বয়সী ছেলে বা মেয়ের যদি বিয়ে পড়ান বাবা তাহলে সেটা খুব ভুল ও অন্যায় করছে। বাকেরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মো: মাসুদুজ্জামান-এর সাথে মুঠোফোনে আলাপ কালে তিনি বলেন বিয়ে যখন হয়ে গেছে এখন করার কিছুই নেই। বিয়ের আগে বললে ব্যাপারটি দেখতাম। প্রশাসনের এমন উদাসিনতায় এলাকার সচেতন মহল হতাশ হয়েছে। উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সঠিক তদন্ত করে ব্যবস্থা নিবেন এমনই প্রত্যাশা এলাকার সর্বস্তরের মানুষের।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

14 − 7 =