লড়াইয়ের আগেই কি পিএসজির স্বপ্ন ভেঙে গেল? এখনো কোনো কিছুই নিশ্চিত নয়। তবে এখনো পর্যন্ত যা খবর, তাতে আগামী ৬ মার্চ রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোল’র দ্বিতীয় লেগে নেইমারের না খেলার সম্ভাবনাই বেশি। গত রোববার অলিম্পিক মার্শেইয়ের বিপক্ষে পাওয়া গোড়ালির চোটটা বেশ গুরুতর। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডকে অন্তত ৩ সপ্তাহ মাঠের বাইরের থাকতে হবে।
সত্যিই যদি নেইমার ফিরতি লেগটিতে খেলতে না পারেন, সেটা আক্ষরিক অর্থেই পিএসজির জন্য হবে বড় এক ধাক্কা। যে ধাক্কায় ধুলোয় মিশে যেতে পারে তাদের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ স্বপ্ন। রিয়াল মাদ্রিদের মাঠ থেকে প্রথম লেগে ৩-১ গোলে হেরে আসায় এমনিতেই খাদের কিনারায় চলে গেছে পিএসজি। তারপরও ঘুরে দাঁড়িয়ে প্রত্যাবর্তনের অবিশ্বাস্য গল্প লেখার স্বপ্ন দেখছে ফরাসি ক্লাবটি।
৬ মার্চের ফিরতি লেগটি পিএসজির ঘরের মাঠ পার্স ডি প্রিন্সেসে। এটাই আশাবাদী করে তুলেছিল পিএসজিকে। কিন্ত সেই আশার পাত্র ফুটো করে দিয়েছে নেইমারের চোট। তার গোড়ালি মচকে গেছে। আশার পরিবর্তে পিএসজি শিবিরে তাই এখন শঙ্কার ঘনঘটা।
ফিরতি লেগে ২-০ গোলে জিতলেই চলবে পিএসজির। কিন্তু দলের সেরা খেলোয়াড় নেইমার-ই যদি খেলতে না পারেন, রিয়ালের বিপক্ষে ২-০ গোলে জেতাটা পিএসজির জন্য শুধু কঠিনই হবে না, হবে মহাকঠিন।
পিএসজি কোচ উনাই আমরি অবশ্য নেইমারের ব্যাপারে এখনো আশাবাদী। তবে তার সেই আশায় জোর নেই। তার কণ্ঠে বরং শঙ্কার কাঁপনি। গতকাল সোমবার এই সংক্ষিপ্ত এক প্রতিক্রিয়ায় পিএসজির স্প্যানিশ কোচ বলেছেন, ‘এই মুহূর্তে রিয়াল ম্যাচের দল ঘোষণা করলে আমি অবশ্যই তাকে (নেইমার) স্কোয়াডে রাখব। তবে এখনো কোনো কিছু নিশ্চিত বলা যাচ্ছে না। আজ (সোমবার) পুনরায় তার এক্সরে করা হবে। এর রিপোর্ট পাওয়ার পরই নিশ্চিত হওয়া যাবে বিষয়টা।’
পুরো পিএসজি শিবিরই তাই শঙ্কিত হয়ে অপেক্ষা করছে এক্সরের রিপোর্টের জন্য। সেই রিপোর্ট শঙ্কাটা মুছে দেবে নাকি আরও বাড়িয়ে দেবে, বলবে সময়। তবে শঙ্কিত পিএসজিকে আশার গান-ই শোনাচ্ছেন প্রতিপক্ষ রিয়াল মাদ্রিদ কোচ জিনেদিন জিদান।
প্রতিপক্ষের সেরা খেলোয়াড়ের চোট পাওয়ার সংবাদটা রোববার রাতেই পৌঁছে যায় কানে। ব্রাজিলিয়ান তারকার চোটের সংবাদে রিয়াল কোচ জিদানের মনে মনে খুশিই হওয়ার কথা। পাওয়ার কথা স্বস্তি। সত্যিই তিনি ভেতরে ভেতরে খুশি কিনা, একমাত্র তিনিই জানেন।
তবে জিদান মুখে অন্তত বললেন অন্য কথাই। নেইমার চোট পাওয়ায় পিএসজির মতো তিনিও হতাশ। সোমবার এক প্রতিক্রিয়ায় রিয়াল কোচ স্পষ্টই বললেন, ‘আমি কখনোই চাই না, প্রতিপক্ষের খেলোয়াড় চোটে পড়ুক। আমি বরং আশাবাদী, চোট থেকে সেরে উঠে সে ঠিকই খেলতে পারবে।’
প্রতিপক্ষ পিএসজিকে আশা দেওয়ার ছলে জিদান অবশ্য একটু কূটনীতিক খেলাও খেলেছেন। কথার মারপ্যাচে বুঝিয়ে দিয়েছেন, নেইমার খেললেই কি, আর না খেললেই কি! ‘আমার মনে হয় না, নেইমারের না খেলাটা ম্যাচে কোনো প্রভাব ফেলবে’-বলেছেন জিদান।