পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের ডেপুটি চীফ ইঞ্জিনিয়ার পদে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ঘুষ বানিজ্যের অভিযোগ

1
1485

স্টাফ রিপোটারঃ
পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তা নিয়োগ প্রক্রিয়ায় মোটা অংকের ঘুষ বানিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। যোগ্য ব্যক্তিকে বাদ দিয়ে প্রায় অর্ধকোটি টাকা ঘুষ লেনদেনের মাধ্যমে অযোগ্য ব্যক্তিকে একটি গুরুত্বপূর্ন পদে নিয়োগ প্রদানের জন্য প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় উঠেছে।

 

অনুসন্ধানে জানা গেছে, পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের ডেপুটি চীফ ইঞ্জিনিয়ার (জেটি ও হারবার) পদে কর্মকর্তা নিয়োগ আবেদন করা হয়েছে। আর এই পদে চাকুরী পেতে হলে অনেক গুলো ক্যাটাগরি অতিক্রম করতে হয়। সেই আলোকে উক্ত পদে নিয়োগ পেতে ১১ জন প্রার্থী কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন দাখিল করেছে। যারা বিভিন্ন সরকারী প্রতিষ্ঠানে সবচেয়ে অভিজ্ঞতা ও কোয়ালিটি সম্পন্ন ব্যক্তি। তবে তাদেরকে দিয়ে লোক দেখানো ইন্টারভিউ নেয়া হয়েছে। কিন্তু পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমডোর এম জাহাঙ্গীর আলম সিন্ডিকেটের নিকট থেকে অর্ধকোটি টাকায় ঐ পদ কিনে নিয়েছে ঐ প্রতিষ্ঠানেরই কনসালটেন্ট অফিসার মোঃ নাসির উদ্দিন। নাসির উদ্দিনের দম্ভোক্তিক কথাবার্তা বিভিন্ন মহলে আলোড়ন তৈরি করেছে। সুত্র জানায়, নাসির উদ্দিন সব সময় প্রকাশ্যে বলে বেড়ায়, ৫০ লাখ টাকা খরচ করেছি, আমার চাকুরী হবে না-তো কার চাকুরী হবে। এখানে চাকুরী কনফাম করতে যোগ্যতা লাগেনা, ঠিকমতো টাকা ঢালতে পারলেই হয়ে যায়। পায়রা বন্দরে ২২ হাজার টাকা বেতনের কনসালটেন্ট নাসির উদ্দিন এখন শত কোটি টাকার মালিক। সে ৯২-৯৩ ব্যাচে চট্রগ্রাম প্রকৌশলী ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালের ছাত্র সংসদে শিবিরের প্রকাশনা সম্পাদক ছিলেন। তার নামে বেনামে রয়েছে একাধিক জমি ও বিলাশ বহুল ফ্লাট। চলাফেরা করেন ৫৬ লক্ষ টাকা বিলাশ বহুল গাড়িতে।
ডেপুটি চীফ ইঞ্জিনিয়ার ( জেটি ও হারবার) পদে চাকুরী প্রত্যাশয়ী এক প্রার্থী বলেন, আমার কাছে যে পরিমান টাকা ডিমান্ড করা হয়েছে তাতে আমার পক্ষে তা দেয়া সম্ভব হয়নি। আমি শুধু পরীক্ষা দিয়েছি মাত্র।
নিয়োগ কর্তৃপক্ষের সদস্য কমডোর সাইদুর রহমান বলেন, এ ঘটনা সত্য নয়। তবে এখনো নিয়োগ চুড়ান্ত হয়নি। আপনি চেয়ারম্যান স্যারের সাথে আলাপ করেন।
এব্যাপারের পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমডোর এম জাহাঙ্গীর আলমের সাথে একাধিক বার যোগাযোগ করা হলেও তার ব্যস্ততার কারনে তার সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।

 

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

two × one =