পদ্মা-তিস্তার বেহাল দশা নদীজুড়ে এখন পানির বদলে বালুর উত্তাপ

0
718

বাংলাদেশ কিংবা ভারতে নদ নদী বিষয়ক সবচেয়ে বেশী আলোচিত নামটি নি:সন্দেহে ভারতে গঙ্গা আর বাংলাদেশে পদ্মা। এখন এর সঙ্গে যোগ হয়ে ব্যাপকভাবে আলোচনায় এসেছে তিস্তা। এ দুটো নদী উত্তরাঞ্চল ও দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের লাইফ লাইন। এদুটো নদীর উৎসমুখে ভারতের পানি জল্লাদরা শত শত ব্যারেজ ড্যাম আর ক্যানেলের মাধ্যমে পানি সরিয়ে নিয়ে এর দফারফা করে ফেলেছে। এসব বাঁধ ব্যারেজ পেরিয়ে বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে যেটুকু পানি এসেছে তার উপরও খড়গ বসাতে একটুও দ্বিধা করেনি। মানেনি কোন আর্ন্তজাতিক আইন কানুন নীতি মানবাধিকারের বিষয়গুলো। সীমান্তের অদূরে গঙ্গার উপর ফারাক্কা আর তিস্তার উপর গজলডোবা ব্যারেজ দিয়ে পানি আটকে পদ্মা তিস্তাসহ এর অসংখ্য শাখা নদ নদীকে হত্যা করেছে।

বাংলাদেশকে বিশেষ করে উত্তরাঞ্চল ও দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলকে শুকিয়ে মারার চন্ডনীতি নিয়ে এগিয়ে চলেছে। যার কু’প্রভাবে শত শত শাখা নদ নদী ইতোমধ্যে তার অস্তিত্ব হারিয়েছে। নদী তীরবর্তী প্রবীনরা বলছেন এইতো ষাট সত্তর বছর আগের কথা। যেখানে ছিল দৃষ্টি সীমা ছাড়িয়ে আদিগন্ত বিস্তৃত পানির ধারা। যার বিশাল শ্রোতধারা আমাদের করত সঞ্জীবিত সিক্ত। যা ছিল জীবন দায়িনী। কৃষি নৌ যোগাযোগ, মৎস্য আর জীব বৈচিত্রতা ও আর্থিক উৎসের আধার। সব যেন কোথায় হারিয়ে গেল। কি ছিল আর কি হলো। কি ভয়ঙ্কর বৈপরিত্য। এক সময়ের চঞ্চলা চির যৌবনা আর দুরন্ত হয়ে ছুটে চলা পদ্মা তিস্তা এখন মরা নদীর নাম। অথচ একদিন যেখানে ছিল দৃষ্টিসীমা ছাড়িয়ে আদিগন্ত বিস্তৃত পানির ধারা। এখন সেখানে একই রুপের মরীচিকা সদৃশ্য বালিচরের বিস্তার। চলতি শুস্ক মওসুমে পদ্মায় পানি প্রবাহ মারাত্মকভাবে কমে যাওয়ায় নদীটি ইতোমধ্যে মরা নদীতে পরিনত হয়েছে। এবার নদীর প্রবাহ শহরের কোল থেকে সরে গিয়ে মাইল দেড়েক দূরে দিয়ে ক্ষীন ধারায় প্রবাহিত হচ্ছে। ভরা বর্ষায় মাস তিনেক পানি থাকার পর ফের দ্রæত শুকিয়ে যাচ্ছে। বর্ষা মওসুমে ওপারের বন্যায় চাপ সামলাতে ফারাক্কার প্রায় সবকটি গেট খুলে দিয়ে ওপারের বন্যার চাপ সামাল দেয়। আর এপারের মানুষ হয় বানভাসী। মরা নদীও ক্ষনিকের যৌবনবর্তী হয়ে ছুটে চলে দু’কুল ছাপিয়ে। ওপারের বন্যার চাপ কমে যাবার সাথে সাথে ফারাক্কার পাষাণ গেটগুলো আটো সাঁটো করে বন্ধ করে দেয়া হয়। এরপর ফের শুরু হয় নদীর মরণ দশা। পদ্মা মরে যাবার সাথে সাথে এর সাথে সংযুক্ত পঁচিশটি নদীও শুকিয়ে যায়। গতকাল রাজশাহীর টিবাঁধ এলাকা থেকে নৌকা নিয়ে পদ্মার ক্ষীনধারায় প্রায় চল্লিশ মিনিট ওপারের খানপুর চর পর্যন্ত যেতে যেতে দেখা যায় শুধুই বালিচর আর বালিচর। চাপাইনবাবগঞ্জের পাংখা পয়েন্টে থেকে ঈশ্বরদির হার্ডিঞ্জ পয়েন্ট পর্যন্ত দুইশত মাইল জুড়ে শুধু ধু ধু বালিচর। মাঝি নিজাম জানালেন আগের চেয়ে এবছর বেশী চর পড়েছে আবার চরের পুরুত্ব বেড়েছে। গত চল্লিশ বছরে নদীর তলদেশ ভরাট হয়ে চরের উচ্চতা হয়েছে আঠারো মিটার। উৎস্য ও উজান থেকে পদ্মায় পর্যাপ্ত পানি না আসায় নদী ক্রমশ বালি চরের নীচে হারিয়ে যাচ্ছে। চরের কিছু কিছু অংশে পলি পড়ায় সেখানে চলছে চাষাবাদ। ইতোমধ্যে কলাই মশুরসহ ডাল জাতীয় শষ্য চলছে কাটাই মাড়াই। যতœ আত্তি চলছে বোরো ও গম ক্ষেতের। এবারে শুরুতে পদ্মার এমন শুস্ক দশা দেখে বিশেষজ্ঞরা বলছেন পানির প্রবাহ না থাকায় চরের বিস্তৃতি বেশী হচ্ছে। পানি উন্নয় বোর্ডের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, বাংলাদেশ কখনই চুক্তি মোতাবেক পানি পায়নি। এখনো পাচ্ছেনা। আর বিষয়টা যেন এখন সহনীয় হয়ে দু’একটা চিঠি চালাচালির মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে। যৌথ নদী কমিশনের গতানুগতিক হিসাব পর্যালোচনা করে দেখা যায় হার্ডিঞ্জ পয়েন্টে গত বছর ২০১৭ সালের ফেব্রæয়ারীর ১-১০ তারিখে পাওয়ার কথা ৪৬ দশমিক ৩২৩ কিউসেক সেখানে প্রাপ্তি ৪২ দশমিক ৫৬৩ কিউসেক। ১১-১০ তারিখে পাওয়ার কথা ৪২ দশমিক ৮৫৯ কিউসেক সেখানে প্রাপ্তি ৩৭দশমিক ৮১৩ কিউসেক। ২১-২৮ তারিখে পাওয়ার কথা ৩৯ দশমিক ১০৬ কিউসেক সেখানে প্রাপ্তি ৩৪ দশমিক ৬৪৯ কিউসেক। এই তিন কিস্তিতে বাংলাদেশ পানি কম পেয়েছে ১৩ দশমিক ২৪২ কিউসেক। এভাবে পরের মাসেও পানি কম পায়। বছরের হিসাবে দেখা যায় বাংলাদেশ ২০১৬ সালে পানি কম পেয়েছে প্রায় ৭৭ হাজার কিউসেক এবং ২০১৭ সালে কম পেয়েছে ৬৪ হাজার কিউসেক। আগের বছরের চেয়ে গত বছর সামান্য বেশী পানি প্রাপ্তি দেখানো হয়। কারন সেবার বিহারে বন্যার চাপ সামলাতে গেটগুলো খুলে দেয়া হয়। ফলে বেশী কিছু পানি আসে। ২০১৮ সালে আরো পানি কম পাবার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এতে করে আগামীতে পরিস্থিতি আরো খারাপ হবে। পানির অভাবে এখনি দ্রæত নদী শুকিয়ে যাচ্ছে। আগামী বর্ষা মওসুম না আসা পর্যন্ত পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হবে তার আলামত এখনই ফুটে উঠেছে।

ভারতের আগ্রাসী পানি নীতি আর এ অঞ্চলের মানুষের কাছে মরণ বাঁধ হিসাবে খ্যাত ‘‘ফারাক্কা ব্যারেজ’’ বিগত সাড়ে চার দশকে পদ্মা ও তার শাখা-প্রশাখাগুলোর দফারফা করে ছেড়েছে। এক সময়ের অন্যতম নদী হিসাবে পরিচিত পদ্মা এখন বিশাল বালিচরের নীচে চাপা পড়ে হাহাকার করছে। দেখলে মনে হয় নদী নয় যেন নদীর জীবাশ্ম ফসিল। এক সময়ের যৌবনা আর দুরন্ত হয়ে ছুটে চলা পদ্মা এখন মরা নদী নাম। শাখা প্রশাখা নদ নদী বড়াল, মরা বড়াল, মুছাখান, ইছামতি, ধলাই, হুড়াসাগর, চিকনাই, গড়াই, মাথাভাঙ্গা, ভৈরব, নবগঙ্গা, চিত্রা, বেতা কালিকুমার, হরিহর, কালিগঙ্গা, কাজল, হিসনা, সাগরখালি, চন্দনা, কপোতাক্ষ, বেলাবত এদের অস্তীত্ব প্রায় বিলিন। বর্ষার সময় কিছু পানি থাকলেও সারা বছর থাকে শুকনো। নৌকা নয় চলে চাষাবাদ। এসব নদীর নাম মানচিত্র আর কিছু বইয়ের পাতায় অস্তিত্ব বজায় রেখেছে। এক সময়ের খর¯্রােতা নদীটি এখন নর্দমার নাম নিয়ে বেচে আছে। ফারাক্কা ছাড়াও আরো বেশকটি নদীতে ভারত বাঁধ দিয়েছে। এরমধ্যে রয়েছে তিস্তা, মহানন্দা, করতোয়া, আত্রাই ও ধরলা। এসব নদীতে বাঁধ দেবার ফলে এসব নদী ছাড়াও এর শাখা উপশাখা নদীগুলো অস্তিত্ব হারানোর পথে। যেমন পুনর্ভবা, টাঙ্গন, চাওয়াই, নাগর, চিলফা, টেপা, ডাহুক, ভেরসা, পাথরাজ, তিরনাই, সিনুয়া, হাতুড়ির অস্তিত্ব বিলুপ্তির পথে। ভারতের পানি আগ্রাসী নীতি শুধু এ অঞ্চলের নদ নদীগুলোকে শুকিয়ে মারেনি। যার প্রভাব পড়েছে এসব নদীর সাথে সংযুক্ত খাল বিল। এসব শুকিয়ে গেছে। এ অঞ্চলের বিখ্যাত বিল যার বিস্তৃতি জলরাশি দেখে বোঝার উপায় ছিলনা এটা বিল না নদী। চলনবিল, বিল হালতি, বিল হিলনা, মহানগর, বিলভাতিয়া, উথরাইল, খিবির বিল, চাতরা, মান্দার বিল, বিলকুমলী, পাতি খোলা, অঙ্গরা, চাঙ্গা, দিকমী, পারুল, সতী, মালসী, ছোনী, বাঘনদী, পিয়ারুল, মিরাট, রক্তদহ, কুমারীদহ, খুকসী, জবায়ের বিল, বাঁশ বাড়িয়া গ্রামের বিল আর দহ হারিয়ে যাচ্ছে প্রকৃতি থেকে। নদ নদী খাল বিলগুলোয় এখন বর্ষা মওসুমে পানি জানান দেয় তাদের অস্তিত্বের কথা। নদী খাল বিল মরে যাবার বিরুপ প্রভাব পড়েছে। খাল বিল দিঘী ভরা মাছ নেই। হারিয়ে গেছে অর্ধশত দেশী প্রজাতির মাছ। নৌ যোগাযোগ আর নেই। নদ নদী আর বিলের বুকে আবাদ হয় ধানসহ বিভিন্ন ফসলের এতে আবাদী জমি বাড়ার সাময়িক প্রাপ্ত আর ফসল পেলেও সুদুর প্রসারী প্রভাব মারাত্বক হয়ে উঠেছে। চারিদিক থেকে মরুময়তা ধেয়ে আসছে। ভারত তার পানি আগ্রাসী নীতিতে গঙ্গায় ফারাক্কা ব্যারেজ দিয়ে বাংলাদেশের দক্ষিন-পশ্চিমাঞ্চলের পরিবেশের মহাবির্পযয় ডেকে এনে ক্ষান্ত হয়নি। ভারত সীমান্তের ওপারে তিস্তা নদীর ওপারে গজলডোবা ব্যারেজ নির্মাণ করে এক তরফাভাবে পানি প্রত্যাহার করে পুরো উত্তরাঞ্চলে বিপর্যয় ডেকে এনেছে। এক সময়ের খর¯্রােতা তিস্তা নদীও পদ্মার পরিনতি লাভ করেছে। ফারাক্কা ব্যারেজের কারনে কুষ্টিয়া যেমন গঙ্গা কপোতাক্ষ সেচ প্রকল্প মুখ থুবড়ে পড়েছে। তেমনি গজলডোবা ব্যারেজের কারণে তিস্তার ১২৫ কিলোমিটার জুড়ে এখন পানির বদলে বালির উত্তাপ। তিস্তাসহ এ অঞ্চলে ধরলা, ঘাঘটদশমিক যমুনেশ্বরী, আলিয়া দুধ কুমার, বুড়ি, তিস্তাসহ ৩৫টি ছোট বড় নদ নদী অস্তিত্বের সঙ্কটে পড়েছে। উত্তরের নীলফামারী রংপুর গাইবান্ধা, বগুড়া, জয়পুরহাট জেলার ৩৫ উপজেলায় সাড়ে তের লাখ একর জমিতে চাষাবাদের জন্য সেচ ব্যাবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে নির্মিত দৃষ্টি নন্দন তিস্তা ব্যারেজ পানির অভাবে মুখ থুবড়ে পড়েছে। পদ্মা তিস্তাসহ অভিন্ন নদীগুলো পানি শোষণ নিয়ে ভারতের দাদাগিরির নীচে চাপা পড়ে আর্তনাদ করছে নদ-নদীগুলো। ভারতের পানি আগ্রাসী নীতি শুধু গঙ্গা তিস্তায় নয় ভারতের মধ্যদিয়ে বাংলাদেশে আসা ৫৭টি নদীর মধ্যে ৫৪টিতে উৎস হতে বিভিন্ন স্থানে অসংখ্য বাঁধ ব্যারেজ খাল দিয়ে এক তরফাভাবে পানি প্রত্যাহার করে নিয়ে বাংলাদেশকে ভয়াবহ বিপর্যয়ের মধ্যে ফেলে দিয়েছে। গঙ্গা নদীর পানি নিয়ে একটা গ্যারান্টিক্লজহীন ত্রিশ বছর মেয়াদী চুক্তি করলেও বিগত বাইশ বছরে বাংলাদেশ কখনো তার পানির নায্য হিস্যা পায়নি। চুক্তির নামে হয়েছে শুভঙ্করের ফাঁকি। পদ্মা অববাহিকার কোটি কোটি মানুষ তাদের ইচ্ছের পুতুল হয়েছে। শুকনো মওসুুমে শুকিয়ে মারা। আর বর্ষায় সব গেট খুলে ডুবিয়ে মারার খেলা চালিয়ে যাচ্ছে। এ অঞ্চলের মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, চুক্তি আছে পানি নাই তবুও ওদের লজ্জা নাই। এমন খেলায় ভাটির দেশ বাংলাদেশে যে ভয়াবহ বিপর্যয় ঘটে যাচ্ছে তাতে ভারতের পানি জল্লাদদের কোন দুঃখ নেই। বরং তাদের কর্মকান্ডে রয়েছে ধ্বংসের উল্লাস। সম্প্রতি খবর বেরিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার সেচ কাজের জন্য গঙ্গার উজানে আরো ১৬টি বাঁধ দেবে। এমনিতে গঙ্গার উজানে চারশোর মত ড্যাম ব্যারেজ দিয়ে গঙ্গার দফারফা করে দিয়েছে। এরপর আরো ১৬টি ব্যারেজ নির্মান হলে ভাটির দেশ বাংলাদেশ পড়বে ভয়াবহ বিপর্যয়ের মুখে। পদ্মা নামের নদীটি হারিয়ে যাবে। বিশিষ্ট নদী গবেষক মাহবুব সিদ্দিকী বলেন, ভারত আর্ন্তজাতিক নিয়মের তোয়াক্কা না করে এক তরফাভাবে উত্তরাখন্ড থেকে ফারাক্কা পর্যন্ত দীর্ঘ পথে বিভিন্নভাবে পানি প্রত্যাহার করে নিচ্ছে। যার ভয়াবহ প্রভাব পড়ছে বাংলাদেশের পদ্মায়। সরাসরি ছয়কোটি মানুষ ক্ষতির মুখে পড়েছে। লাখ লাখ হেক্টর জমি উর্বরতা হারিয়েছে। পানির স্তর নেমে যাওয়ায় এখন বরেন্দ্র অঞ্চলে ডিপেও পানি উঠছেনা। পরিস্থিতি ক্রমশ ভয়াবহ হয়ে উঠছে। অথচ সংশ্লিষ্ট সবাই নির্বিকার। মৎস্য দপ্তরের একটি সূত্র জানায়, ত্রিশ বছর আগে রাজশাহীতে মৎস্যজীবীর সংখ্যা ছিল ৩৫ হাজার। এখন দু’হাজার মৎস্যজীবীও খুজে পাওয়া যায়না। পদ্মার ভয়াল রুপ পাল্টে মৃত পদ্মায় রুপান্তরিত হওয়ার পর থেকেই নদীর তীরবর্তী মানুষ পেশা বদল করছে। নদীতে মাছ ধরে যারা জীবীকা নির্বাহ করতো। বাধ্য হয়ে তারা অন্য পেশায় চলে গেছে।

পরিবেশবিদ ও নদী বাঁচাও আন্দোলনের আহবায়ক এ্যাড: এনামুল হক বলেন, ভারত আর্ন্তজাতিক আইন ও রীতিনীতি এবং মানবাধিকার লংঘন করে অভিন্ন নদীর পানি সরানোর অধিকার রাখেনা। পানি বাংলাদেশের নায্য অধিকার। আইনী লড়াই করে আমরা যেমন সমুদ্র অধিকার আদায় করেছি। তেমনি নদীর উৎস্য সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর সাথে আলাপ আলোচনা করে নদীর পানির সমস্যার সমাধান করতে হবে। প্রয়োজনে আর্ন্তজাতিক আদালতে মামলা করে অভিন্ন নদীগুলোর প্রবাহ স্বাভাবিক রাখতে হবে। আর এমন দাবি এখন সর্বত্রই।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

one × three =