দেখানো হলো শোন অ্যারেস্ট মুক্তি পাচ্ছেন না খালেদা

0
5948

কুমিল্লায় নাশকতার মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তার দেখানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। সোমবার কুমিল্লার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মোস্তাইন বিল্লাহ এ আদেশ দেন। কুমিল্লার আদালত পরিদর্শক সুব্রত ব্যানার্জি জানান, কুমিল্লার মুখ্য বিচারিক হাকিমের আদালতে গুলশান থানার পুলিশ এসে খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করে। সে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক তা মঞ্জুর করে খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন। কুমিল্লার আদালতের পরিদর্শক সুব্রত ব্যানার্জি বলেন, সে আদেশ এরই মধ্যে কুমিল্লার কেন্দ্রীয় কারাগারে দেয়া হয়েছে। কুমিল্লার কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তা ঢাকার কারাগারে পাঠানো হবে।

সেখানে কারা কর্তৃপক্ষ আদালতের আদেশ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবেন। আদালত সূত্রে জানা গেছে, সোমবার কুমিল্লার ৫নং আমলী আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুস্তাইন বিল্লার আদালতে গুলশান থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদনের পর বিকেলে এ আদেশ দেয়া হয়। এছাড়াও মামলার পরবর্তী তারিখ ২৮ মার্চ খালেদা জিয়াকে আদালতে হাজির করতে আদেশ দেয়া হয়। সন্ধ্যায় কুমিল্লার পুলিশ সুপার শাহ মো. আবিদ হোসেন বলেন, ‘২০১৫ সালের মামলায় তার (খালেদা জিয়া) বিরুদ্ধে যে ওয়ারেন্ট আছে, সেটার বিপরীতে তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট (পিডব্লিউ) পাঠানো হয়েছে।’ এর আগে আজ (সোমবার) দুপুরে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চারমাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়েছেন আদালত। নতুন করে অন্য কোনো মামলায় গ্রেফতার না দেখানো হলে খালেদা জিয়ার কারা মুক্তিতে কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছিলেন খালেদার আইনজীবীরা। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছিলেন, ‘সরকার যদি জামিনের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল না করে, তাহলে আগামীকালই বেগম খালেদা জিয়া কারাগার থেকে বের হতে পারবেন।’ খালেদা জিয়ার আইনজীবী এবং সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, ‘আরও আনুষ্ঠানিকতা বাকি আছে। বেইলবন্ড বানাতে হবে, সেটি জেলখানায় পৌঁছাতে হবে। আপনারা আশা করতে পারেন আগামীকাল তিনি মুক্তি পাবেন।’ ২০১৫ সালের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে নাশকতার ঘটনায় তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। অন্যদের সঙ্গে এ মামলায় খালেদা জিয়াসহ বিএনপির সাত শীর্ষ নেতা হুকুমের আসামি ছিলেন। ২০১৭ সালের পৃথক সময় ও গত জানুয়ারিতে খালেদা জিয়াসহ অন্য আসামিদের বিরুদ্ধে এ মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন কুমিল্লার আমলি আদালত। আজ সেই গ্রেফতারি পরোয়ানায় খালেদা জিয়াকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করলে তা মঞ্জুর করেন কুমিল্লার ৫নং আমলি আদালতের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিচারক মো. মুস্তাইন বিল্লাহ।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

one + 9 =