প্রতিষ্ঠানের সাইবার নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সচেতনতা জরুরি

0
781

সাইবার দুর্বৃত্তরা ওত পেতে আছে। তাদের হাত থেকে প্রতিষ্ঠানকে নিরাপদ রাখতে সাইবার দুনিয়ায় সচেতনতা জরুরি। প্রতিষ্ঠান ছোট বা বড় যেমনই হোক না কেন, সেখানে কর্মরত প্রত্যেক কর্মীকে সাইবার নিরাপত্তার বিষয়ে সচেতন থাকতে হবে। প্রাতিষ্ঠানিক সাইবার নিরাপত্তার বিষয়ে সচেতনতার জন্য বাংলাদেশের অ্যান্টিভাইরাস নির্মাতা প্রতিষ্ঠান রিভ অ্যান্টিভাইরাস কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রকাশ করেছে। জেনে নিন দরকারি কিছু তথ্য:

 

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নিরাপদ রাখুন

কম্পিউটার ও স্মার্ট ডিভাইস ছাড়া অফিস এখন চিন্তারও বাইরে। কেবল কাজ নয়, প্রতিষ্ঠানের আয়-ব্যয়সহ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য কম্পিউটারে ডিজিটাল ফাইল আকারে সংরক্ষিত থাকে। তাই অফিসের কম্পিউটারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। অফিসে সাধারণত যে নেটওয়ার্ক ব্যবহার করা হয়, তা নিরাপদ রাখা সবচেয়ে জরুরি। ব্যবস্থাপককে অফিসের নেটওয়ার্ক নিরাপদ কি না, তা নিয়মিত পরীক্ষা করে দেখতে হবে। গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসন বিভাগসহ মানবসম্পদ বিভাগের তথ্য যাতে বেহাত না হয়, সে জন্য সতর্ক থাকতে হবে। অ্যাডমিন আইডিতে যেন বাইরের কেউ ঢুকতে না পারে, তা নিশ্চিত রাখতে হবে।

হালনাগাদ ওএস এবং সফটওয়্যার

অনেক সময় খরচ বাঁচাতে ও ইন্টারনেটের গতি ঠিক ধরে রাখতে উইন্ডোজের স্বয়ংক্রিয় হালনাগাদ বন্ধ রাখা হয়। এতে বিপদ হতে পারে। নিরাপদ থাকতে এবং কাজের নিরবচ্ছিন্নতা ধরে রাখার জন্যই অফিসের প্রতিটি কম্পিউটারের অপারেটিং সিস্টেম ও নিত্যব্যবহৃত সব সফটওয়্যার নিয়মিত হালনাগাদ রাখতে হবে।

কর্মীদের সচেতন করা

অফিশিয়াল কম্পিউটার ও এতে সংরক্ষিত ডেটার নিরাপত্তায় শুধু কর্তৃপক্ষ নয়, প্রয়োজন কর্মীদের সচেতনতাও। তাই বছরে অন্তত একবার সহকর্মীদের অংশগ্রহণে সাইবার নিরাপত্তাবিষয়ক প্রশিক্ষণ দেওয়া যেতে পারে। কম্পিউটারে রক্ষিত তথ্যের পাশাপাশি ব্যক্তিগত তথ্যের মূল্য ও গুরুত্ব কর্মীদের বোঝাতে হবে। এসব তথ্য বেহাত হলে ক্ষতির পরিমাণ সম্পর্কে তাঁদের ধারণা দিতে হবে।

তথ্য ব্যাকআপ রাখা

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ব্যাকআপ রাখার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। অফিসের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এক্সটার্নাল হার্ডডিস্ক, ক্লাউড বা অন্য কোনো মাধ্যমে রেখে দিতে পারেন। এতে কোনো দুর্যোগ বা বিপর্যয়ে ওই তথ্য কাজে লাগানো যাবে।

অননুমেয় পাসওয়ার্ড

অফিশিয়াল ডকুমেন্ট আদান-প্রদান থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত ফাইলের ব্যাকআপ, চ্যাটিং, ব্যাংকিং—সবই এখন অনলাইননির্ভর। সহজ বা সহজে অনুমান করা যায়—এমন পাসওয়ার্ড দেওয়া থেকে বিরত থাকুন। কমপক্ষে আট অক্ষরের দীর্ঘ ও জটিল পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন। বড় হাতের এবং ছোট হাতের অক্ষর, সংখ্যা, চিহ্ন ইত্যাদির সমন্বয়ে পাসওয়ার্ড তৈরি করুন এবং প্রতিটি ওয়েবসাইটের জন্য আলাদা আলাদা পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন। বছরে অন্তত একবার পাসওয়ার্ড বদলে ফেলুন।

নিরাপদ ইউএসবি ব্যবহার

অনেক যন্ত্রেই এখন ইউএসবি সুবিধা পাবেন। ইউএসবির মাধ্যমে সাইবার হামলার ঝুঁকি বাড়ছে। তাই ইউএসবি পোর্ট সুবিধায় নিজের ফোন অন্যের পিসিতে চার্জ দেওয়া কিংবা নিজের পিসিতে অন্য কারও ডিভাইস চার্জ হতে দেওয়া বা ডেটা ট্রান্সফার জরুরি না হলে ব্যবহার করবেন না।

ভুয়া মেইলের লিংকে ক্লিক করবেন না

অনেকেই লোভনীয় অফারে প্রলুব্ধ হয়ে ই-মেইলে আসা ভুয়া লিংকে ক্লিক করে বসেন। এ ধরনের ফিশিং মেইলে ক্লিক করা থেকে বিরত থাকুন।

নিরাপদ অ্যান্টিভাইরাস

সাইবার জগতে নিরাপদ থাকতে হালনাগাদ অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করতে পারেন। বিনা মূল্যের অ্যান্টিভাইরাস সব সময় নিরাপদ হয় না। অফিসের পিসিতে ভালো মানের লাইসেন্স করা অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করুন।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

7 − four =