ঢাকা থেকে নেপালগামী বাংলাদেশি ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি বিমান কাঠমান্ডুতে বিধ্বস্ত হওয়ার পর এ পর্যন্ত ৫০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে সেনাবাহিনীর মুখপাত্র গকুল ভাণ্ডারি বলেছেন, ‘এ পর্যন্ত আমরা ৫০ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করেছি। এখনো নয়জনের খোঁজ পাওয়া যায়নি। নিহতের সংখ্যা বাড়তে পারে।’ এর আগে বিমানবন্দরের জেনারেল ম্যানেজার রাজ কুমার ছেত্রি বলেছেন, ‘৫০ জনেরও বেশি নিহতের আশঙ্কা করা হচ্ছে। আমরা উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছি।’ সোমবার দুপুরে বিমানটি কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় ছিটকে গিয়ে রানওয়ের পূর্ব পাশে বিধ্বস্ত হয়।
বিমানে ৭১ জন আরোহী ছিল।এর মধ্যে ৩৩ জন নেপালী। দূর্ঘটনার পর বিমানবন্দরের নিরাপত্তাকর্মী ও নেপাল সেনাবাহিনী উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে। ত্রিভূবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আপাতত বিমান ওঠানামা বন্ধ রাখা হয়েছে। ইউএস-বাংলার ফ্লাইট বিএস ২১১ ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে রওনা হয় বাংলাদেশ সময় দুপুর পৌনে ১টার দিকে।। নেপালে স্থানীয় সময় বেলা ২টা ২০ মিনিটে কাঠমান্ডুতে নামার সময় পাইলট নিয়ন্ত্রণ হারালে বিমানটি রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ে এবং আগুন ধরে যায়। নেপালের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের মহাপরিচালক সঞ্জিব গওতমের বরাত দিয়ে কাঠমান্ডু পোস্ট জানিয়েছে, বিমানটি নামার কথা ছিল রানওয়ের দক্ষিণ দিক দিয়ে। কিন্ত সেটি নামার চেষ্টা করে উত্তর দিক দিয়ে। ধারণা করা হচ্ছে, কোনো ধরনের কারিগরি জটিলতায় পড়েছিলেন পাইলট।