Site icon Aparadh Bichitra

গার্ড ও পিয়ন দিয়ে টিএন্ডটি এক্সচেঞ্জ পরিচালনা

১৯৮২ সালে প্রতিষ্ঠিত মানিকগঞ্জের সিংগাইরে টিএন্ডটি এক্সচেঞ্জটি মুখ থুবরে পড়েছে। পৌর সদরের বিনোদপুর, ঘোনাপাড়া, পুকুরপাড়া, গোলড়া, কাংশা, আজিমপুর ও উপজেলার চারিগ্রাম এবং সাহরাইলের আড়াই শতাধিক লাইন বন্ধ হয়ে গেছে অনেক আগেই। জোড়া-তালির মাধ্যমে গার্ড ও পিয়ন দিয়ে উপজেলা ভিত্তিক ২০-২৫টি লাইন সচল থাকলেও সেবার মান নিয়ে রয়েছে নানা প্রশ্ন। ফলে, গ্রাহক সেবা হচ্ছে বিঘ্নিত। টেলিফোন এক্সচেঞ্জের গার্ড আব্দুল জলিল ও মাস্টার রোল ওয়ার্কার মাসুদ রানা কারিগরি দিকসহ নামেমাত্র সেবা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।

দেশ যেখানে প্রযুৃক্তির উন্নয়নে বিশ^ দরবারে এগিয়ে সেখানে সিংগাইর উপজেলায় সরকারি প্রতিষ্ঠান টিএন্ডটি লাইনগুলো একের পর এক বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১৯৮৮ সালে সিংগাইর বাসস্ট্যান্ডের অদূরে শহিদ রফিক স্মরনির পাশে ১০৫ শতক জায়গার ওপর দ্বিতল ভবন নির্মান করে এক্সচেঞ্জটি স্থাপন করা হয়। শুরু থেকেই জনবলের অভাবে কাক্সিক্ষত সেবা দিতে পারেনি সরকারি এ প্রতিষ্ঠানটি। ইতিমধ্যেই ওই অফিসের সামনের দিকের জায়গা দখল করে নির্মিত হয়েছে একাধিক দোকান ঘর। সম্প্রতি ওয়াই ফাই নেটওয়ার্কের জন্য দামি মেশিনারিজ স্থাপন করা হলেও সংযোগ না দেয়ায় সেবা পাচ্ছেন না এলাকাবাসি। দীর্ঘ তিন মাস পর্যবেক্ষণ করেও অফিসটি খোলা পাওয়া যায়নি। সারাক্ষনই থাকে তালাবদ্ধ। মানিকগঞ্জের টিএন্ডটির সুপারভাইজার বাবলা বৌদ্ধ বাবু বলেন, প্রায় ৫ বছর আগে পৌরসভার রাস্তা সংস্কার ও ড্রেন তৈরি করতে গিয়ে বেশিরভাগ ক্যাবল কাটা পড়ে। যার ফলে তিনশ সংযোগের মধ্যে এখন মাত্র ২০-২৫টি লাইন সচল আছে। ক্যাবলগুলো পরিবর্তন করতে পারলে বন্ধ হয়ে যাওয়া সংযোগগুলো চালু করা সম্ভব হবে। সিংগাইর পৌরসভার মেয়র অ্যাডভোকেট খোরশেদ আলম ভূঁইয়া জয় ড্রেন নির্মানে ক্যাবল কাটার কথা অস্বীকার করে বলেন, সরকারি অফিস ছাড়া সাধারণ নাগরিক কোন টিএন্ডটির সেবা পাচ্ছেন না। তাছাড়া অধিকাংশ সময়ই লাইনগুলো বন্ধ থাকে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. সেকেন্দার আলী মোল্লাহ বলেন, অনেক বছর ধরে লাইনটি নেই। আমার আগে যারা ছিলেন তারা যোগাযোগ করেও এ বিষয়ে কোন সুরাহা করতে পারেনি। আমরা চাই অতিসত্ত্বর টিএন্ডটি লাইনটি চালু হোক। আমাদের হাসপাতালের সার্বক্ষনিক যোগাযোগ ব্যবস্থার জন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ ব্যাপারে সিংগাইর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. যুবায়ের বলেন, মাসিক সমন্বয় সভায় এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। টিএন্ডটির সেবার মান নিয়ে ব্যবহারকারীরা ক্ষুব্ধ। এ নিয়ে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।