ঝিনাইদহের সারুটিয়া ইউপি’র চেয়ারম্যান মামুন বাহিনীর সন্ত্রাসী রাম রাজত্ব

0
629

স্টাফ রিপোর্টার ঃ
ঝিনাইদহের সারুটিয়া ইউপি’র সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনপ্রিয় আওয়ামীলীগ নেতা আজিজুর রহমান সন্ত্রাসী মামুন বাহিনীর হামলার শিকার হয়ে ঢাকাস্ত পঙ্গু হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন। ০১ ফেব্রুয়ারী ১৮ আজিজুর রহমান শৈলকুপা থানার ভাটবাড়িয়া গ্রাম থেকে মোটর সাইকেল যোগে সকাল ১১ টায় কাতালবাড়ী বাজারে পৌছা মাত্রই পূর্ব থেকে উৎপেতে থাকা সন্ত্রাসী মামুন বাহিনীর ১৭/১৮ জন দেশীয় অস্ত্র সস্ত্র নিয়ে আজিজুর রহমানকে হত্যায় উদ্দেশ্যে অতর্কীতে হামলা চালায়। সন্ত্রাসীরা রামদা, চাপাতি দিয়ে এলোপাথারী কুপাতে থাকে আজিজুর রহমানের চিৎকারে লোকজন ছুটে এলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। রক্তাক্ত ক্ষত-বিক্ষত অবস্থায় তাকে প্রথমে শৈলকুপা হাসপালে ভর্তি করা হয়। কর্তব্যরত ডাক্তার আজিজুর রহমানের অবস্থা আশঙ্খাজনক দেখে শৈলকুপা হাসপাতালে থেকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে রেফার্ড করেন। ঝিনাইদহ সদর হাসপাল কর্তৃপক্ষ গুরুতর আহত আজিজুর রহমানের উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন।

 

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, হামলার শিকার আজিজুর রহমানের বাম ও ডান হাতের রগ হাড় এবং বাম পায়ের রগ হাড় কেটে যাওয়াতে বেঁচে থাকলেও চলাফেরা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল আজিজুর রহমানকে ঢাকায় পঙ্গু হাসপাতালে রেফার্ড করেন। তিনি ঢাকাস্থ পঙ্গু হাসপাতালে ২০৩ নং কেবিনে ডাঃ আব্দুস সালামের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সারুটিয়া ইউপি’র সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এবং ৩বার নির্বাচিত মেম্বার জনপ্রিয় জননেতা আজিজুর রহমানকে দেখতে চিকিৎসার খোজ খরবর নিতে হাসপাতালে ছুটে যান বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য জননেত্রী কল্পনা জামান পারভীন, ঝিনাইদহ-০১ আসনে (শৈলকুপা) থেকে নির্বাচিত আব্দুল হাই এমপি। শৈলকুপা থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান সিকদার মোশারফ হোসেন এবং শৈলকুপা পৌর মেয়র ও পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি আশরাফুল আজম সহ অনেকেই আজিজুর রহমানের উপর নৃশংস হামলার নিন্দা জানান এবং দুঃখ প্রকাশ করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সারুটিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান মামুন একজন মাদক সেবী এবং মাদক পৃষ্ঠপোষক, মাদক সেবী, মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসীদের নিয়ে গড়ে তুলেছেন এক সন্ত্রাসী বাহিনী ও সন্ত্রাসের বামরাজত্ব। তাদের অন্যায় অত্যাচারে কেহ মুখ খুলতেও সাহস পায় না। পক্ষান্তরে সাবেক ভার প্রাপ্ত চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান মাদক ও সন্ত্রাস বিরোধী জনপ্রিয় নেতা। তার জনপ্রিয়তায় ইর্ষান্বিত হয়ে পথের কাটা সরিয়ে দিয়ে রামরাজত্ব নিষ্কন্টক করতেই মামুন বাহিনী আজিজুর রহমানকে হত্যার উদ্দেশ্যে এই নৃশংস বর্বরতা ও হামলা চালায় বলে জানা যায়। সন্ত্রাসী আনোয়ার, রবিউল, ফরিদ, মামুন, মারুফ, স্বপন, মমিন বিশ^াস, বাপ্পি, সোহেল, টুটুল, রানা, আফজাল, আবুহাব, মুক্তি, আক্তার, আলাউদ্দিন, কাজেম, শাহিন, সহ ১৭/১৮ জনকে আসামী করে ০১ ফেব্রুয়ারী ১৮ তারিখে ১৪৩/ ৩৪১/ ৩২৩/ ৩২৪/৩২৬/৩০৭/৩৭৯/১৪৪/৫০৬ ধারায় শৈলকুপা থানায় তরিকুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা করেন, মামলা নং-০১। আসামীদের ১৩ জনকে গ্রেফতার করলেও বাহিরে থাকা আসামীগন ভিকটিম বাদী পক্ষকে হুমকী দিচ্ছে বলে জানা যায়। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, হত্যার উদ্দেশ্যে আজিজুর রহমানের উপর নৃশংস হামলায় মূল পরিকল্পনাকারী ও অর্থ যোগান দাতা ও চেয়ারম্যান মামুনের গনিষ্ঠজন ঢাকার ইসলামপুরে কাপড় ব্যবসায়ি মাসুদুর রহমান মিলন ধরা ছুয়ার বাহিরে থাকায় সন্ত্রাসীরা বাদী পক্ষকে মামলা তুলে নিতে হুমকী দিচ্ছে বলে বাদী পক্ষ আতঙ্কে রয়েছে। চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান মামুন জামিনে মুক্তি পেয়ে কাতলাগাড়ী বাজারে মাইকিং করে বাদী পক্ষকে হত্যার হুমকি দিয়ে ত্রাশের রাজত্ব কায়েম করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। ইতোপুর্বে চেয়ারম্যান মামুনের সন্ত্রাসী বাহিনী কৃষ্ণনগরের আব্দুল জলিল, আওয়ামীলীগ কর্মী দেলোয়ার হোসেন, কীর্তি নগর গ্রামের মাস্টার আবুল হোসেন আবুকে কাতলাগাড়ী বাজারে কুপিয়ে মারাত্বক জখম করে। তারা বেঁচে থাকলেও পঙ্গু হয়ে বেঁচে আছেন। ভিকটিম ও এলাকাবাসী সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবী জানায়।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

5 × 5 =