নেপালের কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের ঘটনায় গুরুতর আহত তিনজন শুক্রবার দেশে ফিরেছেন। কাঠমান্ডূ ট্রাজেডির ভয়াবহ সেই দুঃসহ স্মৃতি নিয়ে আজ দেশে ফেরেন মেহেদী হাসান, তার স্ত্রী সাঈদা কামরুন্নাহার স্বর্ণা এবং মেহেদীর ফুপাত ভাইয়ের স্ত্রী আলমুন নাহার অ্যানি। শুক্রবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে তাদেরকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। তারা কাঠমান্ডু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
শুক্রবার দুপুরে বাংলাদেশ বিমানের উড়োজাহাজ বিজি-০৭২ ফ্লাইটটি তাদের নিয়ে দেশের পথে রওনা করে। এর আগে বৃহস্পতিবার ফিরিয়ে আনা হয় ওই দুর্ঘটনায় আহত শাহরিন আহমেদকে। তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। গত ১২ মার্চ দুপুরে ঢাকা থেকে যাত্রা করা ইউএস-বাংলার একটি উড়োজাহাজ কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন বিমানবন্দরে বিধ্বস্ত হয়। এতে ৭১ আরোহীর মধ্যে ৫১ জনের মৃত্যু হয়। তাদের মধ্যে চার ক্রুসহ ২৬ জন ছিলেন বাংলাদেশি। নেপালের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে, নিহতদের মধ্যে বাংলাদেশি ছাড়াও ২২ জন নেপালি এবং একজন চীনের নাগরিক রয়েছেন। নেপালে বিমান দুর্ঘটনায় নিহতদের সংখ্যা দিয়ে এটি তৃতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যুর ঘটনা। ওই উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের ঘটনায় প্রাণে বেঁচে যান ১০ বাংলাদেশি। এদের মধ্যে আহত রিজওয়ানুল হককে বুধবার সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়া হয়। ঢাকার স্কুল শিক্ষক শাহরিন আহমেদকে বৃহস্পতিবার বিকালে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়। নেপালে বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এছাড়া ইয়াকুব আলী, ইমরানা কবির হাসি, শেখ রাশেদ রুবাইয়াত ও কবির হোসেন এবং মো. শাহীন বেপারিকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।