বিশ্বে স্বৈরাচার সরকারের পতন যেভাবে হয়েছে বর্তমান সরকারেরও পতন একইভাবে হবে। এটা অবধারিত। এখন শুধু সময়ের ব্যাপার বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘দেশমাতার কারাবাস দীর্ঘায়িত করার সরকারের ষড়যন্ত্র বন্ধ ও সকল রাজবন্দীর অনতিবিলম্বে মুক্তির দাবি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় ব্যারিস্টার মওদুদ এ মন্তব্য করেন। নাগরিক অধিকার আন্দোলন ফোরাম এই আলোচনা সভার আয়োজন করে। বিএনপির এই নেতা বলেন, সরকার আবারও বিরোধী দল বা মতবিহীন নির্বাচনের নীল-নকশা করছে। সেই নীল-নকশাটা হচ্ছে, নির্বাচনে যেন বিরোধী মত না থাকে, তাদের (বিএনপি) নিশ্চিহ্ন করতে হবে।
সরকার চাইছে এককভাবে ভোট করার এমন একটি পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে যাতে কোনো দল আর নির্বাচনে না আসে। তাহলে ৫ জানুয়ারির মতো আরেকটি নির্বাচন করতে পারবে। আর সেটি আওয়ামী লীগ আজকে অনেকটা খোলা-মেলাভাবে বলেই দিয়েছে। ‘নির্বাচনের বিজয় আনুষ্ঠানিকতা বাকি মাত্র’ – আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে মওদুদ আহমেদ বলেন, ‘তারা মনে করে, তাদের নীল- নকশা অনুযায়ী নির্বাচন সম্পূর্ণ হয়ে গেছে। বাকি শুধু আনুষ্ঠানিকতা। এখন শুধু গেজেট নোটিফিকেশন এবং শপথ গ্রহণ হবে। তো করে নেন? আগামী ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত দরকার আছে বলে আমি মনে করি না।’পরে সরকারকে উদ্দেশ করে মওদুদ আহমদ বলেন, ‘নীল-নকশার নির্বাচন বাংলাদেশের মাটিতে হতে দেওয়া হবে না। এই নীল-নকশা আপনারা বাস্তবায়ন করতে পারবেন না। তিনি আরও বলেন, দিন দিন খালেদা জিয়ার জনপ্রিয়তা বাড়বে। যেদিন তিনি কারাগার থেকে বের হবেন সেই দিন বাংলাদেশের মানুষ রাজপথে বের হয়ে আসবে। সেই জোয়ারে বাংলাদেশে আবার গণতন্ত্র ফিরিয়ে আসবে। এই সরকারের আতঙ্ক সেটাই। সেই আতঙ্ক বিজয়ের মাধ্যমে আমাদের দূর করতে হবে। যারা গণতন্ত্রের কথা বলে তাদের সকালে উঠে আয়নায় নিজের চেহারা দেখারও পরামর্শ দিয়ে ব্যারিস্টার মওদুদ বলেন, সত্য কথা বলবেন না মিথ্যা কথা বলবেন নিজেকেই জিজ্ঞেস করুন। তখনই আপনারা উত্তর পাবেন। আয়োজক সংগঠনের উপদেষ্টা নাছির উদ্দিন হাজারীর সভাপতিত্বে সভায় সাংবাদিক নেতা রুহুল আমিন গাজী, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এম জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ বক্তব্যে দেন।
