মৃত্যুই হলো প্রেমের শেষ পরিনতি

0
586

দীর্ঘ দিনের প্রেম প্রদীপ ও প্রমীলার। কিন্তু পরিবার সেই সম্পর্ক মেনে নেয়নি। অবশেষে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করেন তারা। আর মেয়েটির পরিবারও ওই যুবকের বিরুদ্ধে মামলা ঠুকে দেয়। বিষয়টি জানতে পেরেই আত্মহত্যার পথ বেছে নেন নবদম্পতি। রবিবার রাতে ভারতের নিউ দিঘার সমুদ্র সৈকতের একটি হোটেল থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ভারতীয় গণমাধ্যমের খবর, প্রদীপ ও প্রমীলা দুজনেই রামনগরের বাসিন্দা। কিছুদিন আগেই প্রমীলার বাড়িতে জানাজানি হয়ে যায় তাদের সম্পর্কের কথা। প্রদীপকে কোনোভাবেই মেনে নেননি প্রমীলার বাবা-মা। এই নিয়ে বাড়িতে একাধিকবার ঝামেলাও হয়েছে।

কিন্তু শেষ পর্যন্ত ভালোবাসার পরিণতি দিতে প্রদীপের হাত ধরেই ঘর ছেড়েছিলেন প্রমীলা। মন্দিরে গিয়ে বিয়ে করেছিলেন। রোববার বিকালে গিয়ে উঠেছিলেন নিউ দিঘার একটি হোটেলের রুমে। এদিকে মেয়ে প্রেম করে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করেছে জানতে পেরে প্রমীলার বাবা-মা প্রদীপের বিরুদ্ধে থানায় অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ প্রদীপের বাবা রাজকুমার নায়েককে গ্রেফতার করে। বাবার এমন পদক্ষেপের কথা কানে আসতেই মাথায় বাজ ভেঙে পড়ে প্রমীলার। বিপদে পড়তে পারে তার ভালোবাসা, একথা আঁচ করতে পেরেই চরম সিদ্ধান্তের পথ বেছে নিলেন প্রমীলা ও প্রদীপ। রোববার রাতে হোটেলের কর্মীরা জানালা দিয়ে তাদের মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে মরদেহ দুটি উদ্ধার করে।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

three × one =