কচু পাতায় পানি ধরে না আবদুল হাই বাচ্চুও ধরা পড়ে না

0
1458

বর্তমান সরকারে দ্বিতীয় মেয়াদে রাষ্টায়াত্ব ও বেসরকারী ব্যাংকগুলোতে যেভাবে লুটতরাজ চলছে তা দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে কোন বছর দেখা যায়নি। কিছুদিন আগে জাতীয় সংসদে বিশটি বড় বড় খেলাপি গ্রাহকের তালিকা প্রকািশত হয়েছে। এর বাইরে আরও একশত খেলাপি গ্রাহক রয়েছে যারা বিভিন্ন ব্যাংক থেকে একেকজন শত কোটি টাকার ওপর ঋন নিয়ে তা আর পরিশোধ করেননি। সরকারী দলের পরিচয়ে এসব ঋন নেয়া হয়েছে বলে গণমাধ্যমে প্রকাশ।

 

হলমার্ক, বিসমিল্লাহ গ্রুপ, বেসিক ব্যাংক ইত্যাদির মত বৃহৎ ঋন কেলেঙ্কারির পরও থেমে নেই ব্যাংক লুটের অপতৎপরতা। যেসব রাজনৈতিক বড় কর্তা ব্যক্তির সুপারিশ ও পরিচয়ে ব্যাংক থেকে কোটি কোটি টাকা বের করে নেয়া হয়েছে তাদেরকে কেউ ধরতে পারছে না। ব্যাংকের যেসব বড় বড় কর্তা ব্যক্তিরা রাতারাতি ঋন মঞ্জুর করেছে তাদেরকেও কেউ ধরতে পারছে না। মাঝখান দিয়ে ব্যাংকের যেসব কর্মকর্তা ঋন মঞ্জুরির ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কাগজপত্রে স্বাক্ষর করেছেন তারা রয়েছেন জেলে। বেসিক ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল হাই বাচ্চুর নেতৃত্বে ব্যাংক থেকে অনিয়মের মাধ্যমে সারে চার হাজার কোটি টাকা বের করে নেয়া হয়। তার পারিবারিক প্রতিষ্ঠান ইডেন ফিশারিজ এর নামে ৬ টি এবং তার ভাই শেখ শাহরিয়ার ওরফে পান্নার প্রতিষ্ঠান ক্রাউন ফিশারিজ এর নামে কেনা হয়েছে দুটি জাহাজ। এগুলোর বাজার দাম প্রায় শত কোটি টাকা। আবদুল হাই বাচ্চু, তার স্ত্রী শেখ শিরিন আখতার, পুত্র শেখ সাবিদ হাই অনিক ও মেয়ে শেখ রাফা হাই এর নামে ইডেন ফিরাশিজ খোলা হয়। জতীয় পর্টির সাংসদ মাহজাবিন এবং তার স্বামী চট্টগ্রাম চেম্বারের সাবেক সভাপতি মোরশেদ মুরাদ ইব্রাহিমের কাছে বেসিক ব্যাংকের খেলাপি ঋনের পরিমান প্রায় ৪৫০ কোটি টাকা। ব্যাংকের আগ্রাবাদ শাখা হতে ২৭৬ কাটি টাকার খেলাপির কারনে চট্টগ্রামে দুটি মামলা করে দুদক। এই মামলায় বচ্চুর নাম নাই। ২০০৯ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০১৮ সারের ৪ জুলাই পর্যন্ত বেসিক ব্যাংকের চেয়ারম্যান ছিলেন বাচ্চু। তার সময়ে কোন নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে প্রায় সাড়ে চার হাজার কোটি টাকা লুটপাট হয়। ঋন কেলেঙ্কারির ঘটনায় দুদকের করা ১৮ মামলার কোনটিতেই বাচ্চুকে আসামি করা হয়নি। সরকারের ওপর মহলে তার সখ্যতা থাকার কারনে তাকে ধরা যাচ্ছে না বলে গণমাধ্যমে প্রকাশ। কচু পাতায় পানি ধরে না। ঠিক একইভাবে আবদুল হাই বাচ্চুকে কেউ ধরতে পারছে না।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

three × 5 =