দশমিনার বাশঁবাড়ীয়ায় পল্লী বিদ্যুতের লাইন পাইয়ে দেবার নাম করে কয়েক লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে তালবাহানা করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে

30
855

ফয়েজ আহমেদ দশমিনা প্রতিনিধিঃ
পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার বাশঁবাড়ীয়া গ্রামের মৃত্যু খালেক আকনের পুত্র মোঃ হারুন আকন অত্র এলাকার প্রায় একশত নিরিহ জনগনের নিকট থেকে পল্লী বিদ্যুতের লাইন পাইয়ে দেওয়ার নাম করে দুই বছর পূর্বে প্রায় কয়েক লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে এখন বিভিন্ন তালবাহানা করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ মর্মে ছায়েদ ছদিয়ালের পুত্র মোঃ আরিফ স্বাক্ষরিত অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করা হয় যে, উপজেলার বাশঁবাড়ীয়া গ্রামের মৃত্যু খালেক আকনের পুত্র মোঃ হারুন আকন এবং রহিম ছদিয়ালের পুত্র সহিদ ছদিয়াল এলাকার প্রায় একশতাধিক নিরিহ জনগনের কাছ থেকে অতি সুকৌশলে কয়েক লক্ষ টাকা প্রায় দুই বছর পূর্বে হাতিয়ে নিয়ে আত্মসাৎ করেছে।

 

৮৪ জন ঐ সকল নিরিহ গ্রাহক স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগপত্র সরেজমিনে তদন্ত পূর্বক ও আইনানুগ প্রয়োজনীয় বাবস্থা গ্রহনের নিমিত্তে গত ০৮ মার্চ ২০১৮ খ্রীঃ তারিখে জেনারেল ম্যানেজার, পটুয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি,কালিকাপুর পটুয়াখালী বরাবরে দাখিল করেন । যার অনুলিপি মাননীয় সংসদ সদস্য ১১৩ পটুয়াখালী-৩,পুলিশ সুপার পটুয়াখালী,উপজেলা চেয়ারম্যান দশমিনা,অফিসার ইন চার্জ দশমিনা থানা,ডিজিএম বাউফল পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি এবং চেয়ারম্যান ০৬ নং বাশঁবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদকে প্রদান করেন। ভুক্তভোগিরা এলাকার বিভিন্ন গন্য মান্য ব্যাক্তিবর্গের স্বরনাপন্য হয়েও কোন সুরাহা না পেয়ে, গতকাল ১৮ মার্চ রোজ রবিবার বেলা ১১ ঘটিকায় বাশঁবাড়ীয়া গ্রামে একটি মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেন। এসময় ভুক্তভোগী মঞ্জু বেগম কান্না বিজরিত কন্ঠে বলেন,আমি কর্জ করে ঐ হারুন আকনকে ৩০০০,জায়েদ মৃধা ৩২০০,সেতারা বেগম ৭০০০,সামসু হাং ৭০০০,শাহাবুদ্দিন ৪৫০০,ফোরকান ৪২০০,সবুজ ৬০০০,হারুন মৃধা ৬৬০০,কালা মিয়া দুই নামে ১০৪০০টাকা দিয়েছে। এছাড়াও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক টাকা দিয়েছে ,আরিফ ছদিয়াল ৪৫০০,জালাল ছদিয়াল ৪৫০০,ওয়াজেদ মুন্সি৪০০০,
দৌলাতমিয়া ৪০০০,বাবুল ৪০০০,শাহাবুল ৪০০০,খলিল মুন্সি ৫৫০০,আলতাফ ৪০০০,নয়া ছদিয়াল ৫২০০,নেছার হাং ৬৫০০,হালিম হং ৬০০০সহ ৮৪জন গ্রাহকের নিকট থেকে প্রায় তিন লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছে। এখন ভুক্তভোগী পরিবারদের দাবী,হয় আমাদের সমুদয় টাকা ফেরৎ দিবে নয়তো এক সপ্তাহের মধ্যে সকল গ্রাহকদের ঘরে ওয়ারিংসহ বিদ্যুৎ জ্বালিয়ে দিতে হবে। অন্যথায় দশমিনা সদরে মানব বন্ধন করে প্রতিবাদ জানাবে। এমর্মে পবিসের দশমিনা অভিযোগ কেন্দ্রের পরিচালক বলেন,কোন পাবলিক কোথা থেকে টাকা তুলেছে,তাহা আমার জানা নাই,তবে আমার অফিসের কোন লোক জড়িত থাকলে,সেটা আমি দেখবো। এ দালাল চক্রের সাথে কারা কারা জড়িত ,তা সঠিক ভাবে বলতে পারেনি ঐ কর্মকর্তা।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

four × 3 =