বেসরকারি এবি ব্যাংকের ১৬৫ কোটি টাকা পাচারের মামলায় সাবেক দুই কর্মকর্তার জামিন টিকবে কি না, সে বিষয়ে ৪ এপ্রিল সিদ্ধান্ত জানাবেন আদালত। ওই দুজন হলেন ব্যাংকটির সাবেক চেয়ারম্যান এম ওয়াহিদুল হক ও ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশন অ্যান্ড ট্রেজারি শাখার সাবেক প্রধান আবু হেনা মোস্তফা কামাল। ওই দুজনকে নিম্ন আদালতের দেওয়া জামিন বাতিল প্রশ্নে হাইকোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত রুল দিয়েছিলেন।
এই রুলের ওপর শুনানি শেষে আজ বুধবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রায়ের জন্য ৪ এপ্রিল দিন ধার্য করেছেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। ওয়াহিদুল হক ও আবু হেনা মোস্তফা কামালের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী আর্শাদুর রউফ ও শেখ বাহারুল ইসলাম। এবি ব্যাংকের অফশোর ইউনিটের মাধ্যমে ১৬৫ কোটি টাকা (২ কোটি ২৫ হাজার ডলার) পাচারের অভিযোগে ২৫ জানুয়ারি মতিঝিল থানায় মামলাটি করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সেদিন এই দুজনসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে দুদক। গ্রেপ্তারের পর তাঁদের ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে নেওয়া হয়। সাড়ে তিন ঘণ্টার মধ্যে ওই দুই কর্মকর্তা জামিন মঞ্জুর হয়। তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে অপর আসামি সাইফুল হকের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়। দুজনের জামিন বিষয়ে গণমাধ্যমে আসা প্রতিবেদন বিবেচনায় নিয়ে গত ৩১ জানুয়ারি হাইকোর্ট ওই দুজনের জামিন বাতিল প্রশ্নে স্বতঃপ্রণোদিত রুল দেন। এই রুলের ওপর আজ শুনানি শেষ হয়।