Site icon Aparadh Bichitra

সার্বিক উন্নয়ন ম্লান হবে শিক্ষাখাতে চাঁদাবাজি নির্মূল না হলে: অর্থমন্ত্রী

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বলেন, শিক্ষাখাতে চাঁদাবাজি নির্মূল না হলে আমাদের সার্বিক উন্নয়ন ম্লান হয়ে যাবে। তাই এ সংকট মোকাবেলায় ছাত্র-শিক্ষকদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। শনিবার টিএসসিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী পর্বের বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অর্থমন্ত্রী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র নামধারী কিছু চাঁদাবাজ রয়েছে যারা বিভিন্ন উন্নয়ন কাজে গিয়ে ঝামেলা তৈরি করে। এই চাঁদাবাজির অত্যাচারে কেউ এখানে কোন অনুদান দিতে আসে না। এটা অত্যন্ত লজ্জার বিষয়।

এই চাঁদাজদের প্রতিহত করার দায়িত্বটা ছাত্রদের। প্রথমেই শিক্ষক এবং ছাত্রদের দায়িত্ব তাদের প্রতিহত করা। সেজন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যালামনাই এবং শিক্ষকদের সতর্ক থাকতে হবে। তিনি আরো বলেন, সৃজনশীলতা ও নতুন নতুন উদ্ভাবনের সমন্বয়ে শিক্ষা কার্যক্রম এগিয়ে নিতে হবে। এসময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এ কে আজাদের প্রস্তাবে, আসছে বাজেটে প্রতিষ্ঠানটির উন্নয়নে একটি সিক ফান্ড গঠনেও আশ্বাস দেন অর্থমন্ত্রী। এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন কাজের জন্য অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে যে প্রস্তাব এসেছে, তা আমি সানন্দে গ্রহণ করছি। আগামী বাজেটেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নকাজে বিশেষ তহবিল বরাদ্দ দেওয়া হবে। এই তহবিল ব্যবহার করবে বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন ছাত্রদের সংগঠন অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সমাজকল্যাণমন্ত্রী ও ডাকসুর সাবেক ভিপি রাশেদ খান মেনন। তিনিও সলিমুল্লাহ হলকে ‘হেরিটেজ’ হিসেবে ঘোষণা দেওয়ার প্রস্তাবে একমত হন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নকাজে সার্বিক সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের সভাপতি সোহেল আহমেদ চৌধুরী। অনুষ্ঠানে এ কে আজাদ বলেন, সলিমল্লাহ মুসলিম হলের ধারণ ক্ষমতা বাড়ানো এবং টিএসসির ধারণ ক্ষমতা বাড়ানো জন্য আমরা স্পন্সর যোগার করেছি। আমরা এই কাজ এগিয়ে নিয়ে যাবো। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন ৪৫ হাজার ছেলে-মেয়ে পড়াশুনা করছে। আমরা আপনাদের ও ছাত্রদের কাছে পতিশ্রুতিবদ্ধ। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে সব ধরণের সহায়তার আশ্বাস দেন এ কে আজাদ।