সবার মুখে কোটা সংস্কার দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান

0
997

সবার গলায় ঝুলছে সনদপত্র। আর হাতে ঝাড়ু। গায়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনের জন্য তৈরি করা বিশেষ টি-শার্ট। সবার মুখে কোটা সংস্কার দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান। রোববার মুহূর্তে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে এভাবেই হাজারো শিক্ষার্থী জড়ো হন। পরে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার পর্যন্ত ‘সার্টিফিকেট দিয়ে রাস্তা পরিষ্কার’ শীর্ষক প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেন। বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্রছাত্রী অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের ব্যানারে এ কর্মসূচি পালিত হয়।

এদিন সকাল সাড়ে ১০টায় কেন্দ্রীয় লাইব্রেবির সামনে আন্দোলনকারীরা গলায় শিক্ষা সনদ, হাতে ঝাড়ু নিয়ে অবস্থান গ্রহণ করেন। সেখান থেকে টিএসসি হয়ে শহীদ মিনার যাওয়ার রাস্তা তারা ঝাড়ু দেন। এরপর শহীদ মিনার প্রাঙ্গণও ঝাড়ু দেন। সেখান থেকে জগন্নাথ হল, এরপর ফুলার রোড হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি চত্বরে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা। আজকে যে দাবি নিয়ে আমরা একত্রিত হয়েছি, সেটা ইতোমধ্যে জনদাবিতে পরিণত হয়েছে। আমরা শুধু মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের জন্য নয়। আমরা সামগ্রিক কোটা সংস্কারের কথা বলেছি। আমরা এখনো আশা করি, প্রধানমন্ত্রী আমাদের দাবি মেনে নেবেন। আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসান আল মামুন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভুল বুঝানো হয়েছে। তিনি অতীতে অনেক যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আমরা আশা করি, তিনি আমাদের দাবি রাখবেন।’ গত ১৮ মার্চ কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে পুলিশের করা মামলা প্রত্যাহার ও সরকারি চাকরিতে বিদ্যমান কোটা সংস্কারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল হয়। সেখান থেকে আজকের এই অভিনব প্রতিবাদের ঘোষণা দেয়া হয়। কোটা সংস্কার আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২১ মার্চ চট্টগ্রামের পটিয়ায় আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের জন্য যে ৩০ শতাংশ কোটা আছে, তা বহাল থাকবে বলে জানান। ওইদিন তিনি আরও বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগের কারণে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। তাই তাদের ছেলে-মেয়ে নাতি-পুতি পর্যন্ত যাতে চাকরি পায়, সেটার জন্য কোটার ব্যবস্থা করে দিয়েছি।’ কোটা সংস্কারে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি থেকে পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবিগুলো হলো- কোটা সংস্কার করে ৫৬ থেকে ১০ শতাংশে কমিয়ে আনা, কোটা প্রার্থী না পাওয়া গেলে, শূন্যপদগুলোতে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দেয়া, চাকরি নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার না করা, কোটার কোনো ধরনের বিশেষ নিয়োগ পরীক্ষা না নেয়া, চাকরি ক্ষেত্রে সবার জন্য অভিন্ন কাটমার্ক ও বয়সসীমা নির্ধারণ করা।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

13 − 10 =