গণকবর স্থান এলাকায় চলছে প্রকাশ্রে ইয়াবা ব্যবসা পুলিশ কেন নিরব?

0
1446

মোঃ ফজলুর : রাজধানীর দক্ষিনখাণ থানাধীন গণকবর স্থান পুলিশ ফাঁড়ি চৌরাস্তা এলাকায়  প্রকাশ্রে চলছে ইয়াবা ব্যবসা। সরেজমিনে খোজ নিয়ে জানতে পারাযায় যারা এ মরন নেশা ইয়াব ব্যবসা করে তার শুধু এ ব্যবসা করেই ক্ষান্ত নয় তারা নিজেরা  এ মরন নেশা সেবনও করে থাকে এবং ইয়াবার সাথে গাজার ব্যবসাও রমরমা।  তথ্য পাওয়া যায় মঞ্জু ,রানা, সাহিদা(রানার স্ত্রী),টুম্পা,সাগর,সৈকত,সৈকতের বাবা  ইসমাইল গনকবর স্থান এলাকায় দেধারছে  প্রকাশ্রে ইয়াবা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের এ মরন নেশা ইয়াবার নেশা সেবন এবং বিক্রয়ের  কারনে এলাকার সাধারন অতিষ্ঠ। গণকবরস্থান এলাকায় গেলে সেখানের কিছু দোকানদার এবং এলাকা বাসি সাংবাদিকদের বলেন উপরোক্ত ব্যক্তিদের কারনে আমরা শান্তিতে এলাকায় বসবাস করতে পারছি না। তারা নিজের তো মরণনেশা ইয়াবা সেবন করে সেই সাথে এলাকার ভালো ছেলে-মেয়েরাও এ মরণ নেশার সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে।

 

ইতো মধ্যে রানা গণকবর স্থান এলাকায় নাম করা ইয়াবা ব্যবসায়ি যাকে সবাই বাবার(ইয়াবা) ডিলার বলে জানে। ইতোমধ্যে রানা কয়েকবার দক্ষিণখান থানার পুলিশের কাছে গ্রেফতারও হয়েছে এবং  জামিনে ছাড়া পেয়ে এলাকায় আবার ইয়াবা ব্যবসা শুরু করেছে। উপরোক্ত ব্যক্তিদের নামে বিভিন্ন এলাকায় একাধিক মামলাও রয়েছে বলে সুত্রে জানতে পারাযায়। তাদের এ মরণ নেশার কারনে এলাকায় চুরি,ছিনতাই সহ নারি ধর্ষণ(যা ধামা চাপা পড়ে যায়)মূলক কাজ নিরবে হতে থাকে। এমনকি তাদের এ নেশার কারনে উঠতি বয়সের ছেলেরা সমাজের বয়যেষ্ঠদের বিভিন্ন অশ্রিল ভাষায় কথা বলতে এবং তাদেরকে অসন্মাও করতে দেখাযায় সমাজে। এমনকি খোজ নিয়ে জানতে পারাযায় শুধু রানা নয় রানা তার স্ত্রী সানজিদাকে দিয়েও এই ইয়াবা ব্যবসা করিয়ে আসছে যাতে কেউ অতিসহযে বুঝতে না পারে। এলাকাবাসির একজন বলেন দিনে রাতে সমানে তারা নিরবে উৎপাত করেই চলেছে তাদের কে কেউ কিছু বলতে পারে না।কেউ কিছু বলতে গেলেই তাকে মার-ধর কলে এমনকি  জিবনাশের হুমকি দেয়। তাদের এ ব্যবসার কারনে আমাদের এ গনকবরস্থান (বায়তুর রহমান জামে মসজিদ) এলাকার নিরিহ মানুষ শান্তিতে বসবাস করতে পারছে না। এলাকায় বিভিন্ন স্থানে গড়ে উঠেছে ইয়াবা সেবন স্থান,দেহ ব্যবসা। যার কারনে সমাজে ভালো ছেলে মেয়েরাও এ মরন নেশার  ইয়াবা সহ সমাজের বিভিন্ন অপরাধ মূলক কাজের সাথে জড়িয়ে পড়ছে প্রতিনিয়োত। একজন এলাকা বাসি বলেন তাহলে কি মঞ্জু,রানা,সানজিদা,সাগর,সৈকত,টুম্পা এদের ইয়াবা সেবন ও ব্যবসার কারনে কি আমরা আমাদের সন্তানদেরকে নিয়ে শান্তিতে এলাকায় বসবাস করতে পারবো না ? টুম্পা শুধু ইয়াবা ব্যবসার সঙ্গে জড়িত নয় সে দেহ ব্যবসাও করে থাকে এলাকায় যার কারনে সমাজটা নষ্ঠ হয়ে যাচ্ছে দিনের পর দিন। এদিকে টুম্পা যুব সমাজকে ভালোবাসার ফাঁদে ফেলে টাকার বিনিময়ে দেহ ব্যবসা  এবং সেই সাথে এলাকার উঠতি বয়সের ছেলেদের ইয়াবা সেবনে উৎসায়িত করছে বলে জানতে পারাযায়। এ মরণ নেশা ইয়াবা নিয়ে এতো সভা-সমাবেশ এতো পুলিশিই অভিযান কিন্তু ইয়াবা ব্যবসায়ির সঙ্গে জড়িত মুল হোতাকে বা কারা কেন প্রশাষন আটক করতে পারছে না ? সমাজ থেকে কেন মরণ নেশা দূর করতে পারছেন না প্রশাষন। আমাদের সন্তানেরা কি এভাবেই মরণ নেশা ইয়াবায় আশক্ত হয়ে অকালেই ঝড়ে যাবে? কোথায় থাকলো শিক্ষিত সমাজ? আর কি করছে পুলিশ প্রশাষন ? স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বিভিন্ন সভায় সাংবাদিকদের কাছে বলেন নেশার ক্ষেত্রে কোন ছাড় বা আপোষ নেই তবে পুলিশ কেন নিরব ?

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

ten + three =