ধারনা মেট্রোরেলের কারনে যানজটে ফিরবে স্বস্তি

1
1021

২০০৫ সালে তৎকালীন যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) প্রথম এসটিপি (স্ট্রাটেজিক ট্রান্সপোর্ট প্ল্যান) প্রণয়ন করে। যার উদ্দেশ্য ছিল ২০১৫ সালের মধ্যে ঢাকা মহানগর এবং পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য পরিকল্পিত ও সমন্বিত আধুনিক গণপরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তোলা। এরপর ২০১৫ সালে এসটিপি সংশোধন করে ২০৩৫ সাল পর্যন্ত ২০ বছর মেয়াদি পরিকল্পনা করা হয়। এসটিপিতে তিনটি বাস র‌্যাপিড ট্রান্সপোর্ট লাইন উত্তরা-কুড়িল-সায়েদাবাদ (বিআরটি-১), গাবতলী-সায়েদাবাদ (বিআরটি-২), এয়ারপোর্ট-সায়েদাবাদ (বিআরটি-৩) এবং তিনটি মাস র‌্যাপিড ট্রান্সপোর্ট লাইন উত্তরা-সায়েদাবাদ (এমআরটি-৪), অর্ধবৃত্তাকার (এমআরটি-৫) এবং মিরপুর-সায়েদাবাদ (এমআরটি-৬) বাস্তবায়নের সুপারিশ করা হয়েছিল।

এসটিপিতে থাকা বিআরটির দুটি প্রকল্প বাদ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া তিনটি মেট্রোরেল ও তিনটি বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) নির্মাণের কথা ছিল। কিন্তু এগুলোর সঙ্গে দুটি ফ্লাইওভারের রুটের সাংঘর্ষিক অবস্থা ছিল। এজন্য মেট্রোরেলের রুট পরিবর্তন করতে হয়েছে। পরে ২০১৬ সালে এসটিপি সংশোধন করে পাঁচটি মেট্রোরেল ও দুটি বিআরটি নির্মাণের সুপারিশ করা হয়। ২০০৫ সালের এসটিপিতে থাকা সবগুলো ফ্লাইওভারের কাজ শেষ হয়েছে। আধুনিক গণপরিবহন ব্যবস্থার সেই মেট্রোরেলের নির্মাণ কাজ দ্রæত গতিতে এগিয়ে চলছে। সরকারের অগ্রাধিকার প্রকল্পের আওতাভুক্ত এ প্রকল্পের কাজ রাজধানীর রোকেয়া সরণির পরিকল্পনা কমিশনের কাছ থেকে মিরপুর পর্যন্ত দৃশ্যমান করতে রাতদিন কাজ চলছে। পাইলিংয়ের পাশাপাশি ডিপো ও স্টেশন নির্মাণের কাজও চলছে। অবিরাম কাজ চলায় মিরপুর এলাকায় যান চলাচলে বিঘœ ঘটায় মানুষকে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এদিকে, দেশের গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়কগুলোকে যুক্ত করতে সাভারের হেমায়েতপুর থেকে নারায়ণগঞ্জের মদনপুর পর্যন্ত ৪০ কিলোমিটার দীর্ঘ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের পরিকল্পনা করছে সরকার। ইস্ট-ওয়েস্ট এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মিত হলে রাজধানীর যানজট এড়িয়ে এক মহাসড়ক থেকে অন্য মহাসড়কে যান চলাচল সুগম হবে। সেই সাথে এশিয়ান হাইওয়েরও অংশ হবে এটি। বিশেষজ্ঞদের মতে, এসটিপির সাথে নতুন এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে যুক্ত হলে যোগযোগ ব্যবস্থা অনেক উন্নত হবে। তাতে যানজটের ভোগান্তি অনেকটাই কমে যাবে। ফিরবে স্বস্তি।

পরিকল্পিত ও সমন্বিত আধুনিক গণপরিবহন ব্যবস্থা

ঢাকা যানবাহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের (ডিটিসিএ) তথ্যমতে, ২০০৪ সালে পরিকল্পিত ও সমন্বিত আধুনিক গণপরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে শুরু হয় এসটিপি প্রণয়ন প্রক্রিয়া। আমেরিকার খ্যাতনামা লুইস বার্জার গ্রæপ এসটিপি প্রণয়নের কাজ করে। এ কাজে সহায়তা করে প্রফেসর জামিলুর রেজা চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন ৩২ সদস্যের বিশেষজ্ঞ কমিটি। এসটিপির চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয় ২০০৫ সালে। এতে উত্তরা থেকে মতিঝিল হয়ে সায়দাবাদ পর্যন্ত ২২ কিলোমিটার মেট্রোরেল নির্মাণের কথা ছিল। ২০০৬ সালে গুলিস্তান-যাত্রাবাড়ী ফ্লাইওভার নির্মাণ শুরু করা হয়। যদিও পরে তা বন্ধ হয়ে যায়। তবে ২০১০ সালে নকশা সংশোধন করে পুনরায় ফ্লাইওভারটির কাজ শুরু হয়। এ ফ্লাইওভারটির জন্য দু’দফা উত্তরা-মতিঝিল মেট্রোরেলের নকশায় পরিবর্তন আনা হয়। কমানো হয় এর রুটের দৈর্ঘ্যও। প্রথম দফায় সায়েদাবাদের পরিবর্তে মতিঝিলেই মেট্রোরেলটি শেষ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এতে উত্তরা-মতিঝিল মেট্রোরেলের দৈর্ঘ্য দাঁড়ায় প্রায় ২০ কিলোমিটার। পরে গুলিস্তান-যাত্রাবাড়ী ফ্লাইওভারের সঙ্গে সাংঘর্ষিক অবস্থার জন্য মেট্রোরেলের রুট থেকে পুরান ঢাকার অংশটিও বাদ দেওয়া হয়। মেট্রোরেলের রুট করা হয় হাইকোর্ট-প্রেস ক্লাব হয়ে। অবশ্য এতে পুরান ঢাকাবাসী মেট্রোরেলের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবে।

দ্রæত গতিতে চলছে মেট্রোরেলের কাজ

নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করতে বিরামহীন চলছে ঢাকা মেট্রোরেল লাইন-৬ এর কাজ। সংশ্লিষ্টরা জানান, ইতিমধ্যে নয়টি টেস্ট পাইলিংয়ের কাজ শেষ করে মূল পাইলিংয়ের কাজ শুরু হয়েছে। একই প্রকল্পের মিরপুর-শেওড়াপাড়া-আগারগাঁও অংশে ডিভাইডার দিয়ে মূল লাইন স্থাপনের জন্য জায়গা সংরক্ষণ করা হয়েছে। রাস্তার আইল্যান্ড বরাবর এবং এর দুই পাশ থেকে অনেকটা বেশি জায়গা সংরক্ষণ করে মূল পাইলের কাজ চলছে। এতে করে আগারগাঁও থেকে শেওড়াপাড়া হয়ে মিরপুর ১০ নং গোলচত্বর পর্যন্ত রাতদিন ভয়াবহ যানজটে মানুষকে সীমাহীন দুর্ভোগ পাহোতে হচ্ছে। বিশেষ করে সকালে মিরপুর এলাকা থেকে যারা মতিঝিল, ফার্মগেইট, কাকরাইল, মালিবাগ, মগবাজার, গুলশান, ধানমন্ডি, আজিমপুর, পলাশী এলাকায় অফিস করেন তাদের জন্য আগারগাঁও থেকে শেওড়াপাড়ার অংশ এখন বিষফোঁড়া হিসেবে আর্বিভূত হয়েছিল। তরিকুল ইসলাম গুলশানের একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবী জানান, তিনি প্রতিদিন মিরপুর থেকে গুলশানে যাতায়াত করেন। সকালে মিরপুরের সব বাসই যাত্রীতে ঠাসা থাকে। বাসগুলো মিরপুর ১০ নম্বর থেকে ছেড়ে একবার দাঁড়ালে আর নড়তে চায় না। ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে আটকে থাকতে হয়। এতে করে প্রচÐ গরমে মানুষের সীমাহীন কষ্ট হয়। অবশ্য গত কয়েকদিন ধরে এ পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। সরেজমিন দেখা গেছে, মিরপুর-১০, ১১, ১২, কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া, তালতলা ও আগারগাঁওয়ের রাস্তাজুড়ে দিনরাত চলছে নির্মাণকাজ। জনদুর্ভোগ কমাতে রাস্তার দু’দিকে দুটি করে চারটি লেন খোলা রাখা হয়েছে। আগারগাঁও এলাকায় প্রকল্পের পাইলিংয়ের জন্য বিশাল আকৃতির ক্রেন, এসকাভেটর বসানো হয়েছে। খননের সময় যেসব মাটি নিচ থেকে তোলা হচ্ছে সেগুলো বাক্সে করে উত্তরায় একটি ডাম্পিং সাইটে নিয়ে ফেলা হচ্ছে। দুর্ঘটনা এড়িয়ে প্রকল্পের কাজ ও সড়ক ব্যবস্থাপনায় ব্যবহার করা হচ্ছে ‘হার্ড ব্যারিয়ার’। এর উপরে দেওয়া হয়েছে কাঁটাতারের ব্যারিকেড।

অন্যদিকে, উত্তরার দিয়াবাড়ি থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত ১১ দশমিক ৭ কিলোমিটারজুড়ে চলছে মেট্রোরেল নির্মাণের কাজ। প্রকল্পের কর্মীদের পাশাপাশি কর্মকর্তারাও এখন বিরতিহীন সময় কাটাচ্ছেন দিয়াবাড়ি থেকে আগারগাঁও এলাকায়। বিশাল এই কর্মযজ্ঞ জনভোগান্তিরও কারন হয়ে দাঁড়িয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, খুব শিগগিরিই প্রকল্পের এই অংশে স্প্যান বসানো হবে। সূত্র জানায়, দিয়াবাড়ি থেকে উত্তরা অংশটুকু প্যাকেজ-৩ ও প্যাকেজ-৪ এর অংশ। এ অংশ ২০১৯ সালের মধ্যেই উন্মুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। সেজন্য প্রকল্পের এই অংশটির কাজই আগে ধরা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা জানান, প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে উত্তরা থেকে মতিঝিল আসতে সময় লাগবে মাত্র ৩৭ মিনিট। বিদ্যুচালিত মেট্রোরেলের গতি হবে ঘণ্টায় গড়ে ৩২ কিলোমিটার। এ রুটে ৬টি করে বগির ১৪টি ট্রেন চলাচল করবে। প্রতিটিতে এক হাজার ৬৯৬ জন যাত্রী চলতে পারবে। এরমধ্যে আসনে বসতে পারবে ৯৪২ জন এবং দাঁড়িয়ে থাকবে ৭৫৪ জন। প্রতি ৪ মিনিট পর পর ট্রেন ছেড়ে যাবে। এতে প্রতি ঘণ্টায় উভয় দিক থেকে ৩০ হাজার করে ৬০ হাজার যাত্রী পরিবহন করা যাবে।

গত বছরের ২৬ জুন মেট্রোরেল প্রকল্পের লাইন-৬ এর নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০১৯ সালের মধ্যে উত্তরা তৃতীয় প্রকল্প থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত প্রকল্পের কাজ শেষ করা হবে। ওই এলাকায় ৯টি স্টেশন নির্মাণ হবে। উত্তরা তৃতীয় প্রকল্প থেকে মতিঝিল পর্যন্ত স্টেশন থাকবে ১৬টি। ২০২৪ সালের মধ্যে মেট্রোরেল প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। এ প্রকল্পে প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ২১ হাজার ৯৮৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা (জাইকা) দেবে ১৬ হাজার ৫৯৫ কোটি টাকা। আর সরকার দেবে পাঁচ হাজার ৩৯০ কোটি টাকা।

ইস্ট-ওয়েস্ট এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে

যানজট নিরসন ও যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করতে দেশের গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়কগুলোকে যুক্ত করতে ৪০ কিলোমিটার দীর্ঘ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণের পরিকল্পনা করছে সরকার। ইস্ট-ওয়েস্ট নামের এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েটি হবে সাভারের হেমায়েতপুর থেকে নারায়ণগঞ্জের মদনপুর পর্যন্ত। এটি নির্মিত হলে রাজধানীর যানজট এড়িয়ে এক মহাসড়ক থেকে অন্য মহাসড়কে যান চলাচল সুগম হবে। সওজ সূত্র জানায়, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের এই প্রকল্পটি ঢাকা স্ট্রাকচার প্ল্যান (২০১৬-২০৩৫) ও এশিয়ান হাইওয়ে নেটওয়ার্কেরও অংশ হবে। প্রকল্পটিতে সরকারিভাবে বিনিয়োগের জন্য গত জানুয়ারি মাসে দূতাবাসের মাধ্যমে প্রস্তাব দিয়েছে মালয়েশিয়া সরকার।

সূত্র জানায়, এই এক্সপেসওয়ের মাধ্যমে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের যানবাহন রাজধানীতে প্রবেশ না করেই দ্রæত গতিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে পৌঁছে যেতে পারবে। একইভাবে ঢাকা শহর এড়িয়ে মাওয়া ও সিলেটের দিকেও যেতে পারবে যানবাহন। আর চট্টগ্রাম ও সিলেটের দিক থেকে মাওয়া, আরিচা ও উত্তরের জেলাগুলোর দিকে যানবাহনগুলোও এই এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করেই ঢাকার যানজট এড়াতে পারবে। এদিকে, দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলো নির্মাণাধীন পদ্মা সেতু দিয়ে ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কের মাধ্যমে সরাসরি রাজধানীর সাথে যুক্ত হতে চলেছে। ফলে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ মহাসড়ক দিয়ে ওই জেলাগুলোর সাথে নারায়ণগঞ্জের মধ্যেও যান চলাচল সহজ হবে।

প্রস্তাবিত এই প্রকল্পের নথিপত্রে বলা হয়েছে, প্রধান মহাসড়কগুলো দিয়ে দেশের উত্তর, দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চলকে যুক্ত করা হলে রাজধানীর যানজটেও ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। এলিভেটেড এক্সপ্রেওয়ের এই প্রকল্পটি ঢাকা স্ট্রাকচার প্ল্যান (২০১৬-২০৩৫) ও এশিয়ান হাইওয়ে নেটওয়ার্কেরও অংশ হবে।

সূত্র জানায়, ইস্ট-ওয়েস্ট এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে বিনিয়োগের জন্য মালয়েশিয়া ছাড়াও আরও দুটি চীনা কোম্পানি আগ্রহ প্রকাশ করেছে। তবে সরকার চাইছে, বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রকল্পে যেসব দেশের বিনিয়োগ রয়েছে তার বাইরে নতুন দেশ থেকে বিনিয়োগ আসুক। সেতু বিভাগের একজন কর্মকর্তা জানান, মালয়েশিয়া সরকারের বিনিয়োগে ওই দেশেরই একটি কোম্পানি প্রকল্পটির কাজ পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ইআরডি গত মাসেই মালয়েশিয়া দূতাবাসে চিঠি দিয়ে প্রকল্পের বিস্তারিত জানিয়েছে। আর অর্থায়নসহ অন্যান্য বিষয়ে বিস্তারিত তথ্যসহ প্রস্তাব দেওয়ার জন্যও চলতি মাসের শুরুতে মালয়েশিয়ার কাছে অনুরোধ করা হয়েছে। মালয়েশিয়ার কাছ থেকে কারিগরি প্রস্তাব পাওয়ার পর পরবর্তী পদক্ষেপের দিকে অগ্রসর হবে বাংলাদেশ। ইআরডির চিঠিতে বলা হয়েছে, এই প্রকল্পের দুটি অংশ থাকবে। এর মধ্যে ঢাকা ইস্ট-ওয়েস্ট এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণে খরচ নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ৬৭৩ দশমিক ৫৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। আর ভুলতা-আড়াইহাজার-বাঞ্ছারামপুর-নবীনগর সড়কে মেঘনা নদীতে সেতু নির্মাণে খরচ হবে ১৮২ দশমিক ৪৩ মিলিয়ন ডলার।

প্রকল্পে যে রুট প্রস্তাব করা হয়েছে তাতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে যাবে হেমায়েতপুর-নিমতলী-কেরানীগঞ্জ-একুরিয়া-জিঞ্জিরা-ফতুল্লা-হাজীগঞ্জ-বন্দর হয়ে মদনপুর পর্যন্ত। এশিয়ান হাইওয়ে-১ এরও গুরুত্বপূর্ণ অংশ হবে এই পথটি। এশিয়ান হাইওয়ে-১ দিয়ে বেনাপোল-যশোর-কাঁচপুর-ঢাকা-সিলেট-তামাবিল দিয়ে ভারতের সাথে দুদিক থেকে যুক্ত থাকবে বাংলাদেশ। হেমায়েতপুর থেকে ঢাকা-মাওয়া মহাসড়ক পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের পশ্চিম অংশ ও ঢাকা-মাওয়া মহাসড়ক থেকে নারায়ণগঞ্জের মদনপুর পর্যন্ত পূর্ব অংশ দুটি কন্ট্রাক্টের মাধ্যমে নির্মাণ করা হতে পারে। এর মধ্যে পূর্ব অংশটির জন্য পাঁচ বছর ও পশ্চিম অংশ চার বছরের মধ্যে সম্পন্ন হতে পারে বলে সংশ্লিষ্টরা আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।

জানা গেছে, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে পরিকল্পনা কমিশন এই প্রকল্পের নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে বলেছে এর জন্য ঢাকা ট্রান্সপোর্ট কোঅর্ডিনেশন অথরিটির মতামত নেওয়া হবে। ইতোমধ্যে প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য সেতু বিভাগকে চিঠি দিয়েছে ঢাকা ট্রান্সপোর্ট কোঅর্ডিনেশন অথরিটি।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

4 × one =