দুর্নীতিবাজ অন্তহীন অপরাধের নায়ক এ এস পি আলমগীরকে স্থায়ী বরখাস্ত অত:পর মহামান্য সুপ্রীম কোর্টে তার বিরুদ্ধে মামলা পেন্ডিং রেখে পদোন্নতি “

0
1483

সাধারন মানুষের সাথে প্রতারনা, থানায় আটকে রেখে নিরীহ নারীকে ধর্ষন,মিথ্যা , যড়যন্ত্রমূলক হয়রানি মামলা, কলম দিয়ে খুঁচিয়ে এক পর্যটকের চোখ অন্ধ করে দেওয়া, অভিযোগকারীর সাথে পরকীয়া,ব্যবসায়ীকে ক্রসফায়ার করে হত্যার হুমকি সত্য গোপন করে মন গড়া তথ্যে মামলা, শৃংখলা পরিপন্থী কর্মকান্ড, এমন অসংখ্য অভিযোগে অভিযুক্ত, এবং বিভাগীয় তদন্তে তা প্রমানিতও স্বরষ্ট্র মন্ত্রলায় কর্তৃক চাকুরীচ্যুত,এবং পি এস সি কর্তৃক মতামতের পরেও কেউ কিছুই করতে পারছেন না তার।বছরের পর বছর এসব অপকর্মকান্ড দূর্বার গতিতে চালিয়ে যাচ্ছেন,ক্ষমতা ও উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আশ্রয় ও পশ্রয়ে।বরখাস্তের পরিবর্তে ছিনিয়ে নিয়েছেন পদোন্নতি। মহামান্য সুপ্রীম কোর্টে তার বিরুদ্ধে মামলা পেন্ডিং রেখে তাকে দেওয়া হয় পদোন্নতি। গত ১৮/০১ /২০১৮ ইং তারিখের ৪৪.০০.০০০০.০৯৪.০৬.০০৬.১৭-৫৭ নং প্রজ্ঞাপনে তার নাম রয়েছে এক নাম্বারে । যার নাম মো.আলমগীর হোসেন।তিনি বর্তমানে অতিঃ পুলিশ কমিশনার (প্রশাসন)মিরপুর জোনের দায়িত্তে আছেন।এসব অভিযোগ প্রমানের পরেও পদোন্নতিতে পুলিশ বিভাগসহ বিভিন্ন  দপ্তরে কানাঘুষা চলছে।বিভিন্ন নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা যায় পুলিশ সদর দপ্তরের অতিঃ ডি আই জি প্রসাশন হাবিবুর রহমান অদৃশ্যে থেকে সকল কল-কাঠি নাড়াচ্ছেন। আর যার অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে চাকুরীচ্যুত করার নির্দেশ হয় সেই ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম সজীবকে  একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করেই যাচ্ছেন।

 

এছাড়া আলমগীরের বিরুদ্ধে সুস্পষ্ট বহু অভিযোগ রয়েছে যে,ঝিনাইদাহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার দামোধরপুর গ্রামের  মুক্তিযোদ্ধা শেখ বাবরের ছেলে শেখ লিটন হাসান ইমন নামের এক পর্যটকের চোখ কলম দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে অন্ধ করে দিয়ে পরে চুন আর সুপার গ্লু দিয়ে আটকিয়ে দেয়।সূত্র মতে, ইমন স্ত্রীসহ মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়ায় বেডাতে গেলে কোন একসময় আলমগীরের জালে আটকে যায়।আর থানায় নিয়ে এসে লিটনের স্ত্রী ফরিদা ইয়াছমীন কলি কে  থানার ভিতর ধর্ষণ করে এ এস পি আলমগীর। স্বামী ইমন এর প্রতীবাদ করলে তার দুটি চোখ নষ্ট করে দিয়ে স্ত্রীসহ তাকে ডাকাতি মামলা দিয়ে চালান করে দেয় এই নিরপরাধ দম্পতিকে। এছাডাও মৌলভীবাজার জেলার কামাল, কুতুব সহ আরো ৫জনকে আটক করে থানায় নিয়ে গিয়ে চোখ উপড়ে ফেলে। এখনো তারা দৃষ্টিহীন মানবেতর জীবনযাপন করছেন।

এ এস পি আলমগীর ও ডাঃ রাজিয়া মৌলভীবাজারে কর্মস্থলে থাকাবস্থায় ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম সজীবের সাথে পরিচয় ও বন্ধুত্ব হয় । সম্পর্কও বন্ধুত্বের সূত্র ধরে আলমগীর ও ডা.রাজিয়া সজিবের কাছ থেকে ফ্ল্যাট কেনার জন্য  মোটা অংকের  টাকা ধার নেন । সেই ফ্ল্যাট গুলি সাজানোর জন্য ব্যবসায়ী সজীবের প্রতিষ্ঠান জেপিএল ডোর এন্ড ফার্নিচার ইন্ডাস্ট্রিজের শো রুম থেকে ফার্নিচার বাকিতে ক্রয় করেন। আর এই পাওনা টাকা চাইতে গেলেই আলমগীর ও রাজিয়া ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠে ব্যবসায়ী সজীবের উপর। সেই ক্ষুদ্ধতাই ৪৫মিনিটের মাথায় রুপ নেই ৩টি পৃথক পৃথক মামলায়।সেই মামলায় একজন সুনামধন্য ব্যবসায়ী দুই মাস বিশ দিন জেল খাটেন । উক্ত মালার বাদি হন,ডঃরাজিয়া, যার সাথে অনৈতিক সম্পর্ক ছিলো এ  এস পি আলমগীরের। সেই ব্যবসায়ী জেল থেকে বের হয়ে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী,স্বরাষ্ট্র সচিব, ও আই জি পি বরাবরে অভিযোগ দায়ের করেন। তার অভিযোগের ভিত্তিতে বিভাগীয় তদন্ত হয়। সেই তদন্তের প্রেক্ষিতে এ এস পি আলমগীরের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়। তদন্তে দেখা যায় এ এস পি আলমগীর সহযোগী হয়েই সাজানো মামলা তৈরী করেন। থানায় বসেই এজাহার তৈরী করেন আলমগীর নিজেই। আর রাজিয়া কেবল সেখানে স্বাক্ষরই করেন। সাধারন মানুষের সাথে প্রতারনা,অভিযোগকারীর প্রতিষ্ঠান থেকে বাকীতে ফার্নিচার ক্রয় করে টাকা পরিশোধ না করা,থানায় আটকে রেখে নিরীহ নারীকে ধর্ষন, মিথ্যা যড়যন্ত্রমূলক হয়রানি মামলা, কলম দিয়ে খুঁচিয়ে এক পর্যটকের চোখ অন্ধ করে দেওয়া, অভিযোগকারীর সাথে পরকীয়া,ব্যবসায়ীকে ক্রসফায়ার করে হত্যার হুমকি সত্য গোপন করে মন গড়া তথ্যে মামলা, শৃংখলা পরিপন্থী কর্মকান্ড, এমন অসংখ্য অভিযোগ পুলিশ সদর দপ্তর সিকিউরিটি সেলের তদন্তে প্রমানীত। অতঃপর স্বরষ্ট্র মন্ত্রলায় কর্তৃক চাকুরীচ্যুত,এবং  পি এস সি কর্তৃক মতামতের পর মহামান্য সুপ্রীম কোর্টে তার বিরুদ্ধে মামলা পেন্ডিং রেখে  কি করে তাকে পদোন্নতি দেওয়া হয়?

এই সেই রাজিয়া, যার বিরুদ্ধেও রয়েছে অসংখ্য মামলা-অভিযোগ।রামপুরা থানার বিশ লক্ষ টাকা ও ফার্নিচার আত্মসাতের একটি মামলায়  ২মাস ২৫দিন জেল খেটে পরে জামিনে মুক্তি পান ।তার বিভিন্ন অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয় বরখাস্ত করেন।

অসখংখ্য লোম হর্ষক অভিযোগের ঘটনা জাতীয়  দৈনিক পত্রিকায় একাধিকবার সংবাদ  শিরোনাম ছিলো। সাধারন জনতার চিৎকার আর কলম সৈনিক সাংবাদিকদের অবিরাম লেখনি দমাতে পারেনি প্রভাবশালী এ এস পি আলমগীর  ও তার পরকীয়া বান্ধবী ডা.রাজিয়া সুলতানাকে।অপরাধ দমনের শক্তি যাদের হাতে,তারাই যদি অপরাধ করে বসেন, তাদের থামানো খুব কঠিন হয়ে পডে। আর তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের জন্যেও প্রয়োজন সৎ ও সাহসী ব্যক্তির।আর সেই সাহসী ব্যক্তিটিই বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম সজীব। দীর্ঘদিন এই অপশক্তির বিরুদ্ধে লডতে গিয়ে আলমগীর -রাজিয়া গংদের হুমকি ও ধমকিতে অনাশ্রিত দিনাতিপাত করে যাচ্ছেন এই ব্যবসায়ী, জেপিএল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফুল ইসলাম সজীব। নিয়মিত ব্যবসায়ীক কর্মকান্ড চালিয়ে যেতে না পারায় কোটি কোটি টাকার লোকশান এখন সুপ্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী সজীবের নিত্য সঙ্গী।

স্থানীয় জনসাধারণের প্রশ্ন,কেন আলমগীর-রাজিয়া গংদের প্রশাসন দমিয়ে রেখে শাস্তির আওতায় আনতে পারছেনা?

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

thirteen + 5 =