১৯৯৬ সালের আলোচিত শেয়ার কেলেঙ্কারির ঘটনায় দায়ের করা দুই মামলার দুই কোম্পানির ৮ জনকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে এ আদেশের কপি হাতে পাওয়ার এক মাসের মধ্যে তাদেরকে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছে। তবে আত্মসমর্পণের পর তদের জামিন বিবেচনা করতে বলেছেন হাইকোর্ট।
তারা হলেন- এইচএমএমএস ফাইন্যান্সিয়াল কনসালট্যান্সি অ্যান্ড সিকিউরিটিজের শেয়ার কেলেঙ্কারি মামলার আসামি হেমায়েত উদ্দিন আহমেদ, মোস্তাক আহমেদ সাদেক, সৈয়দ মাহবুব মুর্শেদ, শরিফ আতাউর রহমান ও আহমেদ ইকবাল হাসান এবং সিকিউরিটিজ কনসালট্যান্টস শেয়ার কেলেঙ্কারি মামলায় এম.জে. আজম চৌধুরী, শহীদুল্লাহ ও প্রফেসর মাহবুব আহমেদ। মঙ্গলবার (৩ এপ্রিল) বিচারপতি মো. রইস উদ্দিনের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। একইসঙ্গে দুই কোম্পানি এবং আটজনের খালাসের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এর আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন আদালত। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শফিউল বশর ভান্ডারি, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল স্বপন কুমার দাস ও সৈয়দা সাবিনা আহমদ মলি। পরে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শফিউল বশর ভান্ডারি সাংবাদিকদের বলেন, ‘পুঁজিবাজারের মামলার দ্রুত নিষ্পত্তির লক্ষ্যে গঠিত ট্রাইব্যুনালের বিচারক আকবর আলী শেখ গত ১ ফেব্রুয়ারি দুই কোম্পানি এবং তাদের আটজনকে খালাস দেন। গত ২৫ মার্চ ওই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করা হলে আদালত আজ তা শুনানির জন্য গ্রহণ করেন। একইসঙ্গে মামলার আট আসামিকে আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দেন।’ তিনি আরও বলেন, বিচারিক আদালত নথি এবং সাক্ষ্য প্রমাণ যথাযথ বিচার বিশ্লেষণ করে এ রায় দেননি। তাই বিএসইসির আপিল করে বিচারিক আদালতের রায় বাতিল চেয়েছে।