পাহারাদার ইয়াছিন কোটিপতি কিন্তু কিভাবে?

0
576

তাসমিয়া জেসমিন:
নোয়াখালীর সেনবাগ থানার কেশাড়পাড়া গ্রামের ফকির বাড়ীর দিন মজুর মৃত শামসুল হকের ছেলে ইয়াছিন। জীবিকার যোগান দিতে ছুটে আসে শহরে। চট্টগ্রামের রিয়াজ উদ্দীন বাজারে ফলের মার্কেটে পাহাড়াদারের কাজ নিয়ে কর্ম জীবন শুরু করেন তিনি। পরে আমিন টেক্সটাইল মিলস্ লিঃ ছিদ্দিক কোম্পানী অধীনে দিন মুজুরের কাজে নিযুক্ত হয়ন। বিভিন্ন অসামাজিক কার্যকলাপের কারনে আমিন টেক্সটাইল মিলস্ লিঃ থেকে তিনি চাকুরি চ্যুত হয়ন।

পরে তার চাচা আলি আরশাদের সি এন জি চুরি করে এলাকা থেকে পালিয়ে যায় সীতাকন্ডু জঙ্গল ছলিম পুরে। জামায়াত-বিএনপির কেডার প্রতিষ্ঠিত হয়ে অবৈধভাবে পাহাড় কেটে প্লট বানিয়ে ভূমি ব্যবসা শুরু করে। এছাড়াও দেশের বিভিন্ন জায়গায় জামায়াত-বিএনপির জঙ্গী কার্যক্রমের সাথে তার সক্রিয় ভ’মিকা বিদ্যমান ছিল।
সরকারী সম্পদ কেটে যুকিপূর্ণ আবাসন তৈরি করে সরকার ও জনগনের ক্ষতি সাধন করছে এবং অন্য দিকে শতবর্শি অসংখ্য পরিবেশ বান্ধব গাছ কেটে জ্বালানী ও বসত বাড়ীর কাজে ব্যবহার করছে যা দেশ ও জনগণের জন্য মোটেও লাভজনক নয়। সাধারন মানুষের জীবন সরকারী সম্পদ ভোগ- দখল করে ইয়াছিন গড়ছে টাকার পাহাড়। এভাবে কিছুদিন অতিবাহিত হওয়ার পর তার অবৈধ ব্যবসার পাটনার আক্কাছকে সুকৌশলে হত্যা করে ডাকাতের হাতে নিহত হয়েছে বলে চালিয়ে দেন। এমনকি আক্কাছের লাশটি ও তার স্বজনরা খুজে পায়নি।
এবার পাটনার করেন আলহাজ্ব লোকমান ( লোকমান ফকির)। এর মধ্যে দাঙ্গা বাজ সন্ত্রাসী তৈরি করে এলাকায় সাধারন মানুষের শধ্যে আতংক সৃষ্টি করে ইয়াসিন। পরক্ষনে দ্বিতীয় পাটনার লোকমান ফকির (৬৭) এর সম্পদ আতœসাৎ করতে নতুন কৌশল তৈরী করেন ইয়াসিন। এবার আর খুন নয়, এবার প্রশাসনের অসৎ কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে বিভিন্ন থানায় ১৮ টি মামলা দিয়ে কারাগারে বন্ধী করে লোকমানের কালা পানিয়া এলাকার সম্পত্তি আতœসাৎ করে। ইয়াসিনের হাত থেকে রেহাই পায়নি তার শরীকরাও। সে শরীকদের জমি-জায়গা জোড়পূর্বক দখল করে তাদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছেন। এলাকার সহজ-সরল অসহায় পরিবারের লোকদের প্রাণনাশের হুমকি ও মিথ্যা মামলা দিয়ে ভিটে-মাটি ছাড়া করছেন। আর ঐ সব পরিবারের স্ত্রী-কন্যাকে ধর্ষন ও নির্যাতন করছে। আলী নগরে বসবাস কারী হত দরিদ্র জনগন কে বিভিন্ন ফাঁদে ফেলে তাদের অর্থ কেঁড়ে নিয়ে তাদের কারাবন্ধী করে তাদের স্ত্রী কন্যাকে ধর্ষণ করে তার অপরাধের সঙ্গী করে ভ’ক্তভোগিদের। এব্যপারে কেউ মুখ খুললে তাকেও একই পরিস্থিতিতে পরতে হয়। ইয়াসিনের বাহিনির মধ্যে হাসান, আনোয়ার মাঝি ও জীবন, অস্র, মাদক ব্যবসা পাহাড় কাটার দায়িত্ব পালন করে পালাক্রমে। ইয়াসিনের একাধিক স্ত্রী রয়েছে। এদের দিয়ে বড় বড় শিল্পপতিদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করে এবং মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে আপোষ মিমাংসা করে। আলী নগরের ভিতরে অস্ত্র কারখানা,মদ,গাঁজা,হেরোইন,আফিম, ভাং, ইয়াবা, শিশাসহ সকল নেশাদ্রব্য তৈরি হয়। আর এসব নিয়ন্ত্রন করে ইয়াছিন এবং তার স্ত্রী। জামাতি ইয়াছিনের এলাকায় তার অনুমতি ছাড়া কোন লোক প্রবেশ করতে পারে না প্রায় ১০০০ একর জায়গা সে সিকিউরিটি দিয়ে পাহারা দিয়ে রেখেছে প্রতি ১ কিলো মিটার পর পর সিকিউরিটি।এবং সে এখানে পুলিশ প্রশাসন ও মেজর হাসান ব্যাটেলিয়ানের নাম করে এই ভূমি দস্যু সন্ত্রাসী লম্পট ডাকাত এবং এই দূর্চরিত্রা মহিলা নারী পাচার,মাদক, অস্ত্র,বডি কনটাকে লোকজন বিদেশে পাচার সহ সকল অসামাজিক ও সন্ত্রাসী কার্য করে আসছে।গোপনে নাম প্রকাশ অনইচ্চুক অসহায় লোকজনের মাধ্যমে এই তথ্য জানা যায়।দেশের প্রায় সব থানা বিষেশ করে নোয়াখালী,কুমিলা,ময়মনসিং, চট্টগ্রামের সব কটি থানা সে ব্যবহার করে।।এখন কথা হল উন্নয়নশীল ডিজিটাল বাংলাদেশর নাগরীক হয়ে সকলের স্বাধীনতা এবং সয়ং সম্পূর্ণ থাকার কথা অথচ ইয়াছিনের মত নোংরা লোভী অত্যাচারী লোকের কারনে অনেক লোক এখনও চরম দারিদ্রতা এবং অগ্যাচারের শিকার হয়ে বাপ- দাদার ভিটা বাড়ি ছাড়া হয়ে বসবাস করছে।কোন ক্ষমতা বলে ভূমি দস্যু মাদক ব্যবসায়ী নারী পাচার ও অসামাজিক কাজের গডফাদার ইয়াছিন তান্ডব লীলা চালাচ্ছে। প্রশাসন কেন তাকে সহযোগিতা করছে? সরকার কি তাদের চাহিদা পূরুন করতে ব্যর্থ হয়েছেন? তা নাহলে কেন ? তারা তার কাছে জিম্মি! অসহায় মানুষ গুলো তো আমাদের ভাই বাংলাদেশের নাগরীক। তারাওতো স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ গ্রহন করেছিল। তাহলে তারা কেন স্বাধীন বাংলায় পরাধীন থাকবে?প্রশাসনকে বলছি কেন আপনাদের ইয়াছিনের মত লোকের টাকার কাছে বিক্রি হতে হবে? সরকারতো আপনাদের যথেষ্ট দিচ্ছে তাতে না হলে আর ও চাহিদা দেখান সরকার সাধ্যমত আপনাদের চাহিদা পুরন করবে।তার পর ও দয়া করে ইয়াছিনের মত লোকদের টাকার কাছে বিক্রি হয়ে অসহায় লোকদের সর্বনাশ করবেন না।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

five × 5 =