কালিয়ায় সাব-রেজিষ্ট্রার অফিসে ভুয়া দাতা সেজে জাল দলিল করতে যেয়ে হাতে নাতে আটক পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের

0
1071

নিজস্ব প্রতিবেদক
নড়াইলের কালিয়া সাব-রেজিষ্ট্রার অফিসে মাত্র দুই হাজার টাকার প্রলোভনে ভুয়া দাতা সেজে অন্যের জমি জাল দলিল তৈরি করে নিবন্ধন করার সময় হাতে নাতে ধরা পড়ে রাজু আহম্মেদ ওরফে সালমান নামের এক প্রতারক। ওই জমির প্রকৃত মালিক অসিম রায় দীর্ঘদিন যাবত ভারতে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে কালিয়া সাব-রেজিষ্ট্রার অফিসে চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা ঘটে। আটকৃত ভুয়া দাতা নড়াগাতি থানার চর বল্লাহাটি গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে। আটকৃতকে কালিয়া সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটেটের আলাদতে হাজির করলে বিষয়টি ভ্রাম্যমান আদালতের এখতিয়ারভূক্ত না হওয়ায় থানায় প্রেরণ করা হয়। প্রধান অফিস সহকারী রিমা খানম বাদী হয়ে কালিয়া থানায় পাঁচজনকে আসামী করে শুক্রবার বিকালে মামলা দায়ের করেন। ঘটনার বিবরণে জানা যায়, কালিয়া উপজেলার পহরডাঙ্গা মৌজার আর এস খতিয়ান নং- ৭৩৬ ও ৮৮৮, দাগ নং-৫৭২ ও ৫০৭ এর পৈতৃকসূত্রে মূল মালিক দুই ভাই অসিম রায় ও তপন রায়। তারা ওই দুই দাগে ৩১ শতক জমির মালিক।

অসিম রায়ের জাতীয় পরিচয়পত্রের ছবির নির্দিষ্ট স্থানে সালমানের ছবি স্থাপন করে ভুয়া মালিক সেজে গ্রহিতা ইউসুফ মোল্যা ও তার স্ত্রী রাখেলা বেগমের নামে কালিয়া সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে নিবন্ধন করতে যায়। ৩১ শতক জমির মধ্যে অর্ধেক জমি তপন রায় নিজে ও বাকি অর্ধেক জমির উপজেলার নড়াগাতি থানার চর বল্লাহাটি গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে রাজু আহম্মেদ ওরফে সালমানকে ভুয়া মালিক সাজিয়ে নিবন্ধন করতে যেয়ে আটক হয়। এ সময় সাব-রেজিস্ট্রার মঞ্জুরুল হোসেনের সন্দেহ হলে নানা প্রশ্নে সদোত্তর দিতে না পারায় তাকে আটক করলে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে। আটক করে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটেটের ভ্রাম্যমান আদালতে নিয়ে গেলে তাকে থানায় প্রেরণ করেন। ঘটনার সময় অপর বিক্রেতা তপন রায় ও সনাক্তকারী একই থানার পাখিমারা গ্রামের নির্মল বিশ্বাস পালিয়ে যায়।
সাব-রেজিষ্ট্রার ও পুলিশ সুত্রে জানা যায়, জমি বিক্রেতা তপন রায়, জাল বিক্রেতা রাজু আহম্মেদ সালমান, গ্রহীতা ইউসুফ মোল্যা ও বাখেলা বেগম এবং সনাক্তকারী নির্মল কুমার বিশ্বাসকে মামলার আসামী করা হয়েছে। অপরদিকে, রহস্যজনক কারণে দলিল লেখক শরীফুল ইসলামকে মামলার আসামী থেকে বাদ দেয়া হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে সাব-রেজিস্ট্রার মঞ্জুরুল হোসেন বলেন, ‘জাল দলিলের ভুয়া দাতাকে সন্দেহ হলে তাকে আটক করলে ঘটনার সত্যতা বেরিয়ে আসে। পাঁচজনকে আসামী করে কালিয়া থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।’

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

3 − one =