ইউনাইটেড হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দুর্নীতি মামলায় আত্মসমর্পণ করেছেন

0
2850

দুর্নীতি মামলায় আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ফরিদুর রহমান খান। হোল্ডিং ট্যাক্স বাবদ সাড়ে ২১ কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকির অভিযোগে গত ১১ জানুয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক তার বিরুদ্ধে একটি মামলা করে। মামলায় ফরিদুর রহমান খান ছাড়াও অবিভক্ত ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক কমিশনার রহিমা বেগমকে আসামি করা হয়। রাজধানীর গুলশান থানায় দুদকের উপপরিচালক মাহাবুবুল আলম বাদী হয়ে মামলাটি করেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০০৬ সালে রাজধানীর গুলশান-২ আবাসিক এলাকার ৭১ নম্বর রোডের ১৫ নম্বর বাড়ির বেজমেন্টসহ একটি আটতলা ভবনে কার্যক্রম শুরু করা ‘কন্টিনেন্টাল হাসপাতাল,’পরের বছর মালিকানা ও নাম বদলে ‘ইউনাইটেড হাসপাতাল লিমিটেড’হয়। কিন্তু ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের তালিকায় এখনও আগের নামই বহাল রয়েছে। ২০০৬ সাল থেকে হাসপাতালটির ত্রৈমাসিক হোল্ডিং ট্যাক্স ৮৮ লাখ ১৫ হাজার ৮৯০ টাকা নির্ধারণ করে ২০০৭ সালের ২৬ আগস্ট নোটিশ দেয় ঢাকা সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ। কিন্তু ইউনাইটেড হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তা পরিশোধ না করে সিটি কর্পোরেশনের অ্যাসেসমেন্ট রিভিউ বোর্ডে (এআরবি) আবেদন করে। সেই সময় চার সদস্যের ওই বোর্ডের চেয়ারম্যান ছিলেন সিটি কর্পোরেশনের ২১ নম্বর ওয়ার্ডের তৎকালীন কমিশনার এমএ কাইয়ুম। সদস্য হিসেবে ছিলেন কমিশনার রহিমা বেগম, প্রকৌশলী কাজী জহিরুল আজম ও অ্যাডভোকেট মালেক মোল্লা। এজাহারে বলা হয়, এআরবি বোর্ডের চেয়ারম্যান ও অপর দুই সদস্যের অনুপস্থিতিতে রহিমা বেগম এককভাবে ২০০৯ সালে ইউনাইটেড হাসপাতালের ত্রৈমাসিক কর কমিয়ে ৭৪ লাখ ৯৩ হাজার ৫৫০ টাকায় পুনর্নির্ধারণ করেন। ‘এতে ইউনাইটেড হাসপাতাল লিমিটেডের ত্রৈমাসিক কর ১৩ লাখ ২২ হাজার ৩৪০ টাকা কমে যায়। এর পরও ইউনাইটেড হাসপাতাল কোনো কর পরিশোধ করেনি। করের পরিমাণ না কমালে ২০১১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সিটি কর্পোরেশন পাওনা হতো ২১ কোটি ৪৪ লাখ ২৬ হাজার ৯৯৩ টাকা।’ এজাহারে আরও বলা হয়, সাবেক কমিশনার রহিমা বেগম এবং ইউনাইটেড হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রহমান খান পরস্পর যোগসাজশে অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গের মাধ্যমে ঢাকা সিটি কর্পোরেশনকে ওই টাকা পরিশোধ না করে দণ্ডনীয় অপরাধ করেছেন।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

4 × five =