দৃষ্টিশক্তি বাড়ে : একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, মাছের শরীরে থাকা ‘ওমেগা থ্রি’ ফ্যাটি এসিড দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই যারা সারাদিন কম্পিউটার বা কোনো ধরনের ডিজিটাল স্ক্রিনের সামনে বসে কাজ করে, তাদের প্রতিদিনের খাবার তালিকায় মাছ থাকা একরকম আবশ্যক।
বাড়ে স্মৃতিশক্তি : প্রতিদিন সামুদ্রিক মাছ খেলে শরীরে ডিএইচএ ফ্যাটি এসিডের মাত্রা বাড়ে। এটি স্মৃতিশক্তির উন্নতিতে দারুণ কাজ করে। এ কারণে যাদের পরিবারে অ্যালঝেইমার্স বা ডিমেনশিয়ার মতো রোগের ইতিহাস রয়েছে, তাদের বেশি করে সামুদ্রিক মাছ খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।
মন চাঙ্গা রাখে : মাছের ‘ওমেগা থ্রি’ ফ্যাটি এসিড শরীরে প্রবেশ করার পর ‘ফিল গুড’ হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়। ফলে মানসিক চাপ কমতে থাকে দ্রুত; সেই সঙ্গে মন চাঙ্গা হয়ে ওঠে। তাই মানসিক চাপ দূরে রাখতে চাইলে নিয়মিত মাছ খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে।
ক্ষমতা বাড়ায় মস্তিষ্কের : গবেষণায় এ কথা প্রমাণিত যে মস্তিষ্কের ক্ষমতা বাড়াতে ‘ওমেগা থ্রি’ ফ্যাটি এসিড গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কেবল তাই নয়, এই উপাদান মনোযোগ এবং বুদ্ধি বাড়াতেও বিশেষভাবে সাহায্য করে।
প্রস্টেট ক্যান্সার দূরে রাখে : ‘লো ফ্যাট’ ডায়েট অনুসরণ করার পাশাপাশি প্রতিদিন যদি সামুদ্রিক মাছ খাওয়া যায়, তাহলে প্রস্টেট ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা অনেকটাই কমে যায়। তাই এই মারণরোগ থেকে দূরে থাকতে নিত্যদিনের খাবার তালিকায় মাছের উপস্থিতি থাকতে হবে।