Site icon Aparadh Bichitra

উচ্চশব্দ পরিবেশ ও স্বাস্থ্যগত ঝুঁকির কারণ

শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে আইন প্রয়োগে কঠোরতার পাশাপাশি মৌলিক শিক্ষা এবং জনসচেতনতা আবশ্যক। কারণ শব্দদূষণ বিধিমালা ২০০৬ অনুযায়ী নির্দেশিত ৫ টি এলাকার মধ্যে শব্দের মাত্রাভেদে শিল্প এলাকায় দূষণ সবচেয়ে তীব্র বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। শব্দদূষণ বিধিমালা ২০০৬ অনুযায়ী রাজধানীর ৭০টি স্থানেই শব্দ নির্দেশিত মানমাত্রা অতিক্রম করেছে। এর মধ্যে ফার্মগেট ও উত্তরাতে দূষণের মাত্রা সবচেয়ে তীব্র।

প্রতিনিয়ত এ দূষণের কবলে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে নগরবাসী। শব্দদূষণ রোধে নেওয়া পদক্ষেপের বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর ও সহযোগী সংগঠনগুলো একে অন্যের ওপর দায় চাপাচ্ছে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কঠোর আইন নিশ্চিতের পাশাপাশি তৈরি করতে হবে জনসচেতনতা। প্রায় ২ কোটি মানুষের শহর ঢাকায় ব্যস্ততার আড়ালে ঢাকা পড়ে যায় সবকিছু। রোজকার জীবনের ভাব ও যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম শব্দ হলেও উচ্চশব্দ পরিবেশ ও স্বাস্থ্যগত ঝুঁকির কারণ। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা হাসপাতাল যানবাহনের হর্ন না দেয়ার নির্দেশনা থাকলেও মানছেন না কেউই। এছাড়াও কল কারখানার যন্ত্রপাতির শব্দ, নির্মাণ কাজ, সভা সমাবেশসহ যানবাহনের আধিক্যের কারণে ভুগছেন নগরবাসী। নিজেদের সীমাবদ্ধতার কথা জানিয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর বলছে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন তারা। আর সহযোগী সংগঠনগুলো বলছে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ পরিবেশ অধিদপ্তর। পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের চেয়ারম্যান আবু নাসের খান বলেন, এই সমস্যার সমাধান পরিবেশ অধিদপ্তর এককভাবে পারবে না। তবে তারা কিন্তু দায়িত্বগুলো ভাগ করে দিতে পারে। কিন্তু তারা এই সমন্বয়ের কাজটা করছে না। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে আইন প্রয়োগে কঠোরতার পাশাপাশি মৌলিক শিক্ষা এবং জনসচেতনতা আবশ্যক। শব্দদূষণ বিধিমালা ২০০৬ অনুযায়ী নির্দেশিত ৫ টি এলাকার মধ্যে শব্দের মাত্রাভেদে শিল্প এলাকায় দূষণ সবচেয়ে তীব্র। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. প্রাণ গোপাল দত্ত বলেন, শব্দ দূষণের কারণের কানের ক্ষতির পাশাপাশি শারিরীক যে ক্ষতি হয় সেটা কিন্তু মারাত্মক। এবং শব্দ দূষণের কারণের কাজের কর্মক্ষমতাও হ্রাস পায়।