জঙ্গি-জামায়াতের আন্তর্জাতিক অর্থসংগ্রহকারী রেসালাহ প্রপার্টিজের দিদারুলের ইউরোপ-মধ্যপ্রাচ্য কানেকশন

0
960

স্টাফ রিপোর্টার ঃ
বর্তমান সরকারের আমলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকার্য পরিচাললিত হচ্ছে। ফলে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে পাকিস্তানিদের পদলেহনকারী জামায়াত-শিবির চরম বেকায়দায় পতিত হয়। জামায়াতের শীর্ষ বেশ কিছু নেতার দন্ড কার্যকর হলে দলটি অস্তিত্ব সংকটে পড়ে। ফলে জামায়াত-শিবিরের অগণিত নেতা-কর্মী বিভিন্ন সময় দেশত্যাগ করেন। বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, তাদের সিংহভাগই পড়ি জমান ইউরোপের ফ্র্যান্স, ইংল্যান্ড ও মধ্যপ্রচ্যের দেশগুলোতে। উল্লেখিত দেশগুলোতে বর্তমানে জামায়াত-শিবিরের হাজার হাজার নেতা-কর্মী অবস্থান করছেন।
এদিকে জামায়াত-শিবিরের পৃষ্টপোষকতায় দেশে বিভিন্ন নামের জঙ্গিরা কালগোখরোর মতো ফণা তুলে ধরার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। দেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবণতির অপচেষ্টা করছে। আইন-শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী এই পর্যন্ত অগণিত অভিযান পরিচালনা করেছে। অনেক জঙ্গি আস্তানা চিহ্নিত করে ধ্বংস করেছে। বিভিন্ন অভিযানে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে প্রচুর। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীরও অনেক সদস্য নিহত-আহত হয়েছেন।

বিভিন্ন মাধ্যম থেকে জানা যায়, এই পর্যন্ত অভিযানে ধৃত ও মৃত জঙ্গি সদস্যদের অধিকাংশই পূর্বে ছিলেন জামায়াত-শিবিরের সাথে সম্পৃক্ত। এমনটা নিশ্চিত হয়েছে দেশের বিভিন্ন আইনপ্রয়োগকারী সরকারী সংস্থাগুলো। ধারণা করা যায়, দেশে বর্তমানে জামায়াতের রাজনীতি করার অনুকূল পরিবেশ না থাকায় দলটির নেতা-কর্মীরা বিভিন্ন নামে জঙ্গি সংগঠন সৃষ্টি করে অপরাজনীতি পরিচালনা করছে। এছাড়াও দেশে অশান্ত পরিবেশ সৃষ্টি করার মানষে দলটি দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। সূত্রে প্রকাশ এ জন্যই দেশী-বিদেশী বিভিন্ন উৎস্য থেকে অর্থ সংগ্রহ করা হচ্ছে। বিদেশের মাটিতে বেশ কয়েকটি টিম অর্থ সংগ্রাহকের দায়িত্ব পালন করছে বলে দেশী-বিদেশী বিভিন্ন তথ্যসূত্রে এমনতর অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রাপ্ত এমনই বিষয় নিয়ে এই প্রতিবেদন।
দিদারুল আলম মজুমদার। রাজধানীর প্রাণকেন্দ্র বিজয়নগরে তার আধুনীক কার্যালয়। তিনি ছাত্র শিবিরের সাবেক অন্যতম শীর্ষস্থানীয় নেতা। পরিচালনা করছেন রেসেলাহ প্রপার্টিজ নামের একটি আবাসন প্রতিষ্ঠান। এছাড়াও রয়েছে রোম কর্পোরেশন ও মেডি রোম নামের দুটি রহস্যজনক প্রতিষ্ঠান। রেসেলাহ প্রপার্টিজ নামক আবাসন প্রতিষ্ঠানটিতে ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। তবে প্রায় সময়ই তিনি দেশের বাইরে ছুটে যান রহস্যজনক কারণে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, দেশের বাইরে বিশেষ করে ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে জামায়াত-শিবির সিন্ডিকেটের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করেন। জামায়াতের আন্তর্জাতিক চাঁদা আদায়কারী সিন্ডিকেটের তিনি বাংলাদেশের লিঁয়াজো রক্ষাকারীর দায়িত্বে রয়েছেন। অর্থাৎ ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে দায়িত্বশীল দলীয় নেতা-কর্মীদের সাথে লিঁয়াজো রক্ষার দায়িত
রয়েছে তার ওপর। সূত্রে জানা গেছে, এই উদ্দেশ্যেই কিছু দিন পূর্বে তিনি ঘুরে আসেন কাতার থেকে।
সূত্রে প্রকাশ, জামায়াতের বিশাল অংকের অর্থ আসে ফ্র্যান্স ও ইংল্যান্ড থেকে। জানা গেছে, দেশ দুটিতে দলটির শক্তিশালী ঘাঁটিও রয়েছে। উক্ত দেশগুলোতে বসবাসরত জামায়াত-শিবির নেতা-কর্মীরা প্রতিনিয়ত কোটি কোটি টাকার চাঁদা আদায় করে থাকেন। আদায়কৃত অর্থ লন্ডনে বসবাসরত সিরাজুল ইসলাম মজুমদার নামের এক ব্যক্তির হাত হয়ে বাংলাদেশ আসে আলোচিত দিদারুল আলম মজুমদারের হাতে। প্রকাশ থাকে যে, সিরাজুল ইসলাম মজুমদার রেসালাহ প্রপার্টিজের অন্যতম পরিচালক। দীর্ঘদিন ধরে তিনি লন্ডনেই বসবাস করছেন। সেখানে তার ঊঊঅ ঘধঃরড়হধষ ঈড়হংঁষঃধহঃ ব্যবসায়ী দকবুং যড়সব’ নামের একটি নামমাত্র প্রতিষ্ঠানও রয়েছে বলে সূত্র নিশ্চিত করেছে। প্রতিষ্ঠানটির কর্মকান্ড নিয়ে বহু রহস্যের সৃষ্টি হচ্ছে বলে অনেকেই অভিযোগ করেছেন। ঊঊঅ ঘধঃরড়হধষ ঈড়হংঁষঃধহঃ ব্যবসার অন্তরালে বিভিন্ন দেশে নারী ও অর্থ পাচারের অভিযোগ রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে। তবে বিদেশের মাটিতে জঙ্গিদের সংগঠিত করা এবং দেশের জামায়াত-শিবির ও জঙ্গিদের জন্য অর্থ জোগাড় করে বাংলাদেশে পাঠানই সিরাজুলের প্রধান কাজ বলে দাবী তথ্যসূত্রের। আর এই অর্থ আসে বিভিন্ন মাধ্যমে রেসেলাহ প্রপার্টিজ নামের আবাসন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক দিদারুল আলম মজুমদারের কাছে। জামায়াত-শিবির ও জঙ্গি সংগঠনগুলোর সংগঠকদের কাছে তিনি উক্ত টাকাগুলো চাহিদামফিক পৌঁছিয়ে দেন। দেশের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থাসমুহ গভীর থেকে তদন্ত করলে তার বিরুদ্ধে এই অভিযোগটির শতভাগ সত্যতা পাবে বলে নিশ্চিত করেছে ইউরোপের একটি সূত্র।
এদিকে দেশীয় একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে, আলোচিত দিদারুল আলম মজুমদার একজন প্রভাবশালী প্রতারকও। তার বিরুদ্ধে বেশ কিছু প্রতারণার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তিনি দলীয় ও জঙ্গি ক্যাডারদের নিজস্ব স্বার্থে ব্যবহার করেন। সূত্রের দাবী, রাজধানীর মান্ডায় ৩/৪বিঘার একটি প্রকল্প রয়েছে রেসেলাহ প্রপার্টিজের। ফ্ল্যাট দেওয়ার নামে তিনি বিভিন্ন মানুষের নিকট থেকে জনপ্রতি ১০ লক্ষ টাকা করে আদায় করেছেন। এইভাবে অগণিত মানুষের নিকট থেকে তিনি কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, প্রতারিতরা তার পোষ্য ক্যাডারদের ভয়ে কিছুই বলতে সাহসী হন না। যদি কেউ কিছুটা উচ্চবাচ্য করেন তাহলে জঙ্গি লেলিয়ে দিয়ে শায়েস্তা করার হুমকী প্রদান করেন তিনি। এমনতর অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
তথ্যসূত্র নিশ্চিত করেছে, আলোচিত দিদারুল ইসলাম মজুমদারের বাড়ী ফেণী জেলায়। তিনি এক সময় সক্রিয় শিবির নেতা ছিলেন। জানা গেছে, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র শিবিরের তিনি সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। ফলে তিনি জামায়াতের এই সংকটকালে অর্থসংগ্রহের দায়িত্ব পেয়েছেন। যদিও জামায়াতের কোনো কমিটিতে তার পদ-পদবী নেই।

জামায়াতের বিশাল অংকের অর্থ আসে ফ্র্যান্স ও ইংল্যান্ড থেকে। জানা গেছে, দেশ দুটিতে দলটির শক্তিশালী ঘাঁটিও রয়েছে। উক্ত দেশগুলোতে বসবাসরত জামায়াত-শিবির নেতা-কর্মীরা প্রতিনিয়ত কোটি কোটি টাকার চাঁদা আদায় করে থাকেন। আদায়কৃত অর্থ লন্ডনে বসবাসরত সিরাজুল ইসলাম মজুমদার নামের এক ব্যক্তির হাত হয়ে বাংলাদেশ আসে আলোচিত দিদারুল আলম মজুমদারের হাতে। প্রকাশ থাকে যে, সিরাজুল ইসলাম মজুমদার রেসালাহ প্রপার্টিজের অন্যতম পরিচালক। দীর্ঘদিন ধরে তিনি লন্ডনেই বসবাস করছেন। সেখানে তার EEA National Consultant নামের একটি নামমাত্র প্রতিষ্ঠানও রয়েছে বলে সূত্র নিশ্চিত করেছে। প্রতিষ্ঠানটির কর্মকান্ড নিয়ে বহু রহস্যের সৃষ্টি হচ্ছে বলে অনেকেই অভিযোগ করেছেন।

রেসেলাহ প্রপার্টিজ নামের আবাসন প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দিদারুল আলম মজুমদার একজন সাবেক ছাত্র শিবির নেতা। জামায়াত তাকে কৌশলগত কারণে দলীয় কোনো পদ-পদবী না দিলেও দলটি থেকে বিশাল দায়িত্ব প্রদান করেছে। বিভিন্ন দেশে অবস্থানরত দলীয় নেতা-কর্মীদের সাথে তিনি সর্বদায় যোগাযোগ রক্ষা করেন। দেশে অবস্থানরত নেতা-কর্মীদের আর্থিক সহায়তা প্রদানের জন্য তিনি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সিন্ডিকেট গঠণ করে চাঁদা সংগ্রহ করছেন। তার বিরুদ্ধে জামায়াত-শিবিরের সাবেক নেতা-কর্মীদের দিয়ে দেশে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জঙ্গি সংগঠন সৃষ্টি করে চলেছেন। তাদের প্রয়োজনীয় অর্থের যোগান তিনিই দিয়ে থাকেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। উক্ত নিমিত্তে তদন্ত হওয়া আবশ্যক।
অত্র পত্রিকার পক্ষ থেকে রেসেলাহ প্রপার্টিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ অন্যান্য পরিচালক ও সংশ্লিষ্টদের বিষয়ে তথ্যানুসন্ধান অব্যাহত রাখা রয়েছে। আগামীতে আরো একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে। রেসেলাহ প্রপার্টিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ অন্যান্য পরিচালক ও সংশ্লিষ্টদের বিষয়ে কারো কাছে কোনো তথ্য-উপাত্ত থাকে তা জনস্বার্থে প্রকাশের জন্য অত্র পত্রিকায় সরবরাহ করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো। প্রয়োজনে তাদের নাম-পরিচয় গোপন রাখার নিশ্চয়তা থাকবে।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

11 − 2 =