কয়েন (১, ২ ও ৫ টাকার কয়েন) নিয়ে বিড়ম্বনায় বেকারি কারখানার পরিচালকরা

0
1450

মো: ফজলুরঃ রাজধানির বিভিন্ন বেকারি পণ্য কারখান ঘুরে জানতে পারাযায় তারা ১, ২ ও ৫ টাকার কয়ে (মুদ্রা) নিয়ে বিরম্বনায় ভুগছেন বেকারি সামগ্রী তৈরি পরিচালকরা। রোবিবার সকাল সাড়ে ১১ দিকে উত্তরা পাকুরিয় বাজার সংলগ্ন এক বেকারি তৈরি কারখানায় সাংবাদিক তথ্যের জন্য গেলে সেখানের পাকুরিয় আয়শা বেকারির কারখানার পরিচালক সহিদুল ইসলাম বলে আমরা ১, ২ ও ৫ টাকার কয়েন নিয়ে অনেক সমস্যা আছি, বেকারির পণ্য সামগ্রী বিভিন্ন চা দোকানদারকে দিলে তারা পণ্য সামগ্রী দাম পরিশোধের জন্য ১, ২ ও ৫ টাকার কয়েন দিয়ে থাকেন যার কারনে প্রতিদিন আমাদের কাছে এক একটি কারখানায় প্রায় ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকার মূল্য মানের ১, ২ ও ৫ টাকার কয়েন বা ধাতব মুদ্রা জমা হয়।

এবং এ সব কয়েন বা মুদ্রা আবার সরকারি বা বেসরকারি ব্যাংকগুলি নিতেও রাজি হন না। যার কারনে এক শ্রেনির ব্যাক্তিরা এ কয়েন ব্যবসা করে তাদের কে শতকরা ১ ও ২ টাকার কয়েনের জন্য উপর ১৫% এবং ৫ টাকার কয়েনের উপর ২৫ % ছাড় দিয়ে তাদের কয়েনের মূল্য মানের টাকা গ্রহন করতে হচ্ছে। এর কারনে আমরা বেকারি কারখানা পরিচালকদের অনেক বড় ধরনের ক্ষতি সাধিত হতে হচ্ছে প্রতিনিয়োত। এ এসব কয়েন কি বাংলাদেশ ব্যাংকতৃক কি অনুমোদিত না তা হলে কেন অন্যান্য ব্যাংক গুলি ১, ২ ও ৫ টাকার মুদ্রা নিচ্ছেনা। তিনি বলেন কয়েন যদি নিতে ব্যাংকগুলির সমস্য হয় তা হলে সরকার বাজার থেকে কেন এ ধরনের ধাতব মুদ্রা বিলুপ্ত করছেন না? তিনি আরো বলে অর্থমন্ত্রী একবার ১ টাকা ও ২ টাকা মুল্য মানের কয়েন উঠিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন তবে এ ধরনের ১, ২ ও ৫ টাকা মুল্য মানের কয়েন বা ধতব মুদ্রা তুলে দিয়ে কাগজের নোট প্রচলন করছেন না কেন? বেকারি কারখানা পরিচালক ও এ ধরনের ব্যবসার সঙ্গে জড়িত তাদের দাবি আমরা কেন এক শ্রেনির দালালদের কাছে এ ধাতব মুদ্রা দিয়ে শতকরা ১, ২ টাকার কয়েনে ১৫% ও ৫ টাকার মূল্য মানের কয়েনের উপর ২৫ % ভুর্তকি দেবো ? আর যদি কয়েন বা মুদ্রা বিলুপ্ত না করেন তাহলে ব্যাংকগুলি এবং অন্যান্য জনসাধারন যাতে ১, ২ ও ৫ টাকার কয়েন বা ধাতব মুদ্রা গ্রহন করে সেক্ষেত্রে সরকারে বিশেষ দৃষ্টি করেন বেকারি পণ্য তৈরি কারখান মালিক কতৃপক্ষরা।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

1 × 4 =