মাষ্টার মরন চাদের ফাঁদে যাত্রিরা হয়রানি হয়ে কাঁদে

0
544

ডেস্ক রিপোর্টঃ
রাজধানীর উত্তর সিটির্কোপরেশনের আওতাধীন দ্বিতীয় জনবহুল ট্রেনষ্টেশন ঢাকা বিমানবন্দর রেল ষ্টেশন। এ ষ্টেশনে কমলাপুর থেকে ছেড়ে আসা সব ট্রেন এসে থামে এবং সব জেলার ট্রেন ঢাকামুখি যাত্রার উদ্দেশ্যে যাওয়ার সময় এই বিমান বন্দর ষ্টেশনে এসে পৌছাতে দেখা যায়। কিন্তু তথ্য নিয়ে জানতে পারাযায় এ ষ্টেশনে দুটি প্লাটফর্ম। এ স্টেশনের মাষ্টার মরন চন্দ্র দাস। যে কোন ট্রেনের যাত্রী তাদের ট্রেনের সেবার সম্পর্কে ষ্টেশন মাষ্টারে রুমে গেলে তাকে কখনোই তার রুমে পাওয়া যায় না। গত ১৪ এপ্রিল সকাল সাড়ে ৮ টার সময় এক সাংবাদিক ট্রেনের যাত্রীদের সেবা সম্পর্কে বিমান বন্দর ষ্টেশনে ষ্টেশন মাষ্টারে রুমে প্রবেশ করতে গেলে মাষ্টারে রুমের সামনে দাড়িয়ে থাকা একজন ব্যক্তি ষ্টেশন মাষ্টারের রুমে প্রবেশ করতে বাঁধা দেয় এবং বলে যে ভিতরে ভিআইপি আছে প্রবেশ করতে দেওয়া যাবে না এবং সেই সাথে সাংবাদিক মাষ্টারের রুমের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা ঐ ব্যক্তির নাম জানতে চাইলে ও তিনি বাংলাদেশ রেলওয়ে ষ্টাফ কিনা জানতে চাইলেও তিনি তার পরিচয় দিতে রাজি না। সে সময় সাংবাদিক বলেন ষ্টেশন মাষ্টার সাহেবের সঙ্গে কথা বলতে চাই কিন্ত বাহিরে দাঁড়িয়ে থাকা ব্যক্তি সাংবাদিককে প্রবেশ করতে না দিয়ে বলে মাষ্টার সাহেব বাহিরে আছেন তখন দাঁড়িয়ে থাকা ঐ ব্যক্তির নাম জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকের সাথে খারাব আচরন করেন।

এদিকে এ বিষয়ে ষ্টেশন মাষ্টার মরন চন্দ্র দাসকে ০১৭১৬২০৪২১১ মুঠোফোনে কল দিলে তিনি সাংবাদিককে বলে তিনি বসুন্ধরা আছেন এবং তার রুমের প্রবেশদারে যে ব্যক্তি দাঁড়িয়ে আছেন তার নাম জানতে চাইলে তিনিও তার নাম প্রকাশ না করে সাংবাদিককে বলে আপনার সমস্য কি? পরবর্তিতে তার কিছুক্ষপরে একটি ট্রেন আসলেই সেই ট্রেনে ষ্টেশন মাষ্টারের রুমে অপেক্ষামান যাত্রীরা ষ্টেশন মাষ্টারে রুম থেকে বের হয়ে আসেন এবং ঐ ট্রেনে ওঠেন সেই সাথে ষ্টেশন মাষ্টারের রুমের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা ব্যক্তিটি হারিয়ে যান। পরবর্তি দিন আবারও ষ্টেশন মাষ্টারে সঙ্গে দেখা করতে গেলে তখনো তাকে পাওয়া যায়নি। এ পর্যন্ত অনেকবার সরেজমিনে ষ্টেশন ঘুরে দেখাযায় ষ্টেশন মাষ্টারকে কখনোই তার সিটে বসে থাকতে দেখাযায়নি এবং তাকে যখনই মুঠো ফোনে কল করা হয় ষ্টেশন মাষ্টার বাহিরে আছেন বলে জানান তিনি।এদিকে ট্রেনের যাত্রিদের অভিযোগ কোন ট্রেনের বিষয়ে তথ্যের জন্য কখনোও ষ্টেশন মাষ্টারকে তার রুমে পাওয়া যায়না। এদিকে আরো তথ্য নিয়ে জানতে পারাযায় স্টেশনে ২ টি প্লাটফর্ম তার মধ্যে ১ নং প্লাটফর্ম এবং ১ নং প্লাটফর্মে বাহিরে সিসিক্যামেরা দেখতে পাওয়া যায় যা নিয়ন্ত্রন হয় ষ্টেশন মাষ্টারের রুম থেকে অথচো ষ্টেশন মাষ্টারই রুমে থাকেন না তা হলে ১ নং প্লাটফর্মে কোন দূর্ঘটান ঘটলে বা যাত্রীরা প্রতিনিয়োত দূর্ঘটনার কবলে পড়ে এবং অপরাধকারিরা অপরাধ করে দ্রতু পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। তাহলে রেলওয়ে প্লাটফর্মে যাত্রীরা কতটুকু নিরাপদ ? অন্যদিকে ২নং প্লাট ফর্মে কোন সিসিক্যামেরা চোখে দেখতে পাওয়া যায় না। তাহলে কি ২নং প্লাট ফর্মে যদিকোন যাত্রী হয়রানি হন তার নিশ্চয়িতা কি ? এবং ষ্টেশন ঘুরে জানতে পারাযায় বিভিন্ন জেলা থেকে ছেড়ে আসা ট্রেন বিমানবন্দর ষ্টেশনে এসে পৌছালে যারা টিকিট বিহিন যাত্রী তাদেরকে জিআরপির কর্তব্যরত কিছু পুলিশ যাত্রীদের ভয়-ভীতি দেখিয়ে তাদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে ছেড়ে দেন সেই টাকা বাংলাদেশ রেলওয়ে কষাগারে কখনোই জমা পড়ে না এবং ঐ যাত্রীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার পরে কোন টিকিটও দিতে দেখা যায় না। এদিকে তথ্য নিয়ে আরও জানতে পারাযায় ১নং প্লাটফর্মে প্রথম প্রবেশদারের পাশে অবস্থিত কনফেকশনারি দোকানের পাশে রয়েছে একটি পত্রিকার হর্কারি দোকান। এই পত্রিকার হর্কার প্রতিবন্ধি উত্তমের (২৪) কাছে লালমনির হাট এক্সপ্রেসের টিকিট বিক্রয় হয় গোপনে। এতথ্য শুধু বিমানবন্দর ষ্টেশনে সাথে জড়িতরাই জানে এবং অনেক সময় টিকিট সংকট দেখিয়ে এই হর্কার উত্তমের কাছে ব্লাকে বেশি টাকায় টিকিট কিনতে হয় যাত্রীদের। এমনকি একদিন সরেজমিনে উত্তমের কাছ থেকে টিকিট কিনতে দেখাযায় এক যাত্রীকে। এবং সে সময় প্রতিবন্ধি উত্তমের ছবি তুলতে গেলে উত্তম সাংবাদিকের কাছে ক্ষমা চান এবং পরবর্তিতে আবারও উত্তকে একই ভাবে ব্লাকে টিকিট বিক্রয় করতে দেখাযায় ট্রেনের যাত্রীদের কাছে। হর্কার উত্তমের গ্রামের বাড়ি ব্রঞ্জবাড়িয়া। এই যদি হয় বিমানবন্দর ষ্টেশনের অবস্থা তাহলে যাত্রীরা কোথায় যেয়ে অভিযোগ করবে বলে জানান কয়েক জন ট্রেনের যাত্রী। এবিষয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ের উর্দ্ধর্তন কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করাযাচ্ছে এবং সেই সাথে বাংলাদেশ রেলওয়ের এ ধরনের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের দৃষ্টান্তমূল শাস্তির দাবি করে এ দেশের জনসাধারন।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

seventeen + sixteen =