আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, সম্পাদক পরিষদ এবং বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কয়েকটি ধারা সংশোধনের যে প্রস্তাব দিয়েছেন তা যৌক্তিক।
তবে কিছু কিছু ধারার বিষয়ে সংসদীয় কমিটির বক্তব্য শুনলে অনেক কিছুই পরিষ্কার হবে এবং ধারাগুলো সংশোধনের ব্যাপারে যেসব প্রস্তাবনা এসেছে সেগুলোরও হয়তবা কিছু সংশোধন বা পরিমার্জন বা পরিবর্ধন হবে। তাই এ বিষয়ে সংসদীয় কমিটিতে আলোচনা করাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ সংসদীয় কমিটিতে এনিয়ে আলোচনা করা হলে সিদ্ধান্ত নিতে সুবিধা হবে।
সোমবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে বিএফইউজের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এসব কথা জানান আইনমন্ত্রী।
বর্তমান সরকার গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় বিশ^াসী উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী বলেন, সংবিধানে সংবাদ পত্র ও বাক স্বাধীনতার বিষয়ে যে কথা বলা আছে তা বর্তমান সরকার অত্যন্ত দৃঢ়ভাবে বিশ^াস করে। তাই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সংবাদ পত্র ও বাক স্বাধীনতা হরণের বিষয়ে কোন কিছু থাকলে সেটা দূর করার জন্য যে যে প্রচেষ্টা করা দরকার সরকার তা করবে। তিনি বলেন, সংসদীয় কমিটিতে এই ব্যাপারে খোলামেলা আলোচনার মাধ্যমে যে আইন হবে তা সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে। সেই আইনটায় কেউ ভীত হবে না এবং এ ধরণের আইন করাই হচ্ছে সরকারের আসল উদ্দেশ্যে। সেই উদ্দেশ্য এই আলোচনার মাধ্যমে সাধিত হবে বলে তিনি বিশ^াস করেন।
তিনি জানান, গতকাল রোববার সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, মে মাসের শেষের দিকে সংশ্লিষ্ট সংসদীয় কমিটি, সম্পাদক পরিষদ, বিএফইউজে এবং টেলিভিশন মালিকদের সংগঠন অ্যাডকোর সঙ্গে এ বিষয়ে একটি সভা করা হবে।
বৈঠকে আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ শহিদুল হক, বিএফইউজের মহাসচিব ওমর ফারুক, কোষাধ্যক্ষ মধুসূধন ম-ল এবং সদস্য সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা উপস্থিত ছিলেন।