Site icon Aparadh Bichitra

দশমিনায় বিয়ের প্রলোভনে অন্তঃসত্ত্বা স্কুল ছাত্রী রিমা (১৫) কে নির্যাতনের অভিযোগ

দশমিনা প্রতিনিধি‍ঃ
পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার আলীপুরা ইউনিয়নের খলিসাখালী গ্রামের  হতদরিদ্র্য মোঃ মোকছেদুল সরদারের স্কুল পড়ুয়া মেয়ে রিমা(১৫) কে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারীরীক সম্পর্ক গড়ে তোলে প্রতিবেশী শহিদ মাস্টারের ছেলে শাহিন । শাহিন দশমিনা আবদুর রসিদ তালুকদার ডিগ্রি কলেজের একাদশ ১ম বর্ষের ছাত্র।  ঘটনার বিবরনে প্রকাশ এবং সরজমিনে স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায়, একই উপজেলার উত্তর পূর্ব রনগোপালদী সরকারী প্রাঃ বিদ্যালয়ের শিক্ষক শহিদুল মোল্লার ছেলে কলেজ পড়ুয়া সোহান প্রায় প্রতিদিন  রিমাকে  স্কুলে যাওয়া আসার পথে   প্রেমের প্রস্তাবসহ নানাবিধ কুপ্রস্তাব দিয়া   আসছিলো বলে জানায় রিমার মা ।  এভাবে সোহান রিমাকে বিভিন্ন সময় বিগত দিনের পথে ঘাটে উত্তক্ত করে আসছিলো বলেও জানায় রিমার বাবা। এক পর্যায় সোহানের মিস্টি প্রেমেরর জালে ধরা দেয় রিমা। ভালোবাসার ইন্দ্রদ্রজালে পড়ে দৈহিক সম্পর্ক ঘটায় দু’জনে। তাতেই তিন মাসের অন্তত্বা হয়ে পরে দাবী রিমার।
ঘটনা জানা জানি হলে, ধামা চাপা দেয়ার চেষ্টায়  প্রতারক  সোহানকে অন্নাত্র  বিবাহ দেয়ার পরিকল্পনা করে সোহানের পরিবার। বিষয়টি আচ করতে পেরে স্কুল ছাত্রী রিমা তার ভালোবাসার টানে সোমবার ৭ মে ২০১৮ইং দুপুরে  সোহানের বাড়িতে গিয়ে উঠে অন্তঃসত্ত্বা স্কুল ছাত্রী। তাকে কোন অবস্থায় বাড়ী থেকে নামাতে না পারায়, প্রতারক সোহানের পরিবারের লোকজন আতর্কীত হামলা ও পাশবিক নির্যাতন করে  অন্তঃসত্ত্বা রিমার উপর। এ ঘটনায় স্থানীয় জনসাধারণের মাঝে তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ  ফুলে ফেপে উঠলে, দশমিনা ও পটুয়াখালী সাংবাদিকরাও ছুটে আসে ঘটনাস্থলে। সাংবাদিকরা আহত ও নির্যাতিত স্কুল ছাত্রীর সাথে দেখা করে এবং স্কুল শিক্ষক সহিদুলের কাছে জানতে চাইলে তিনি কিছু জানেন না বলে, ঘটনা এরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এবিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ বেল্লাল ঘটনার বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রকৃত অপরাধীর আইনী বিচারের দাবী জানান। এবিষয়ে দশমিনা থানা পুলিশ ভিকটিম ও তার পরিবারকে থানা হেফাজতে নেয়া হয়েছে বলে পুলিশি সুত্রে জানা যায়।  অতপর রিমার বাবা মোকছেদুল সরদার বাদী হয়ে এজাহার নামীয় ০৫জন তৎসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৩/৪ জনকে আসামী করে দশমিনা থানায় নারী শিশু আইনের ৯(১)/১৩/৩০ এবং ৩২৩ ও ৫০৬ ধারায় একটি মামলা দায়ের করে।দশমিনা থানার মামলা নং-০৫/১৮।তারিখ ০৭ মে ২০১৮খ্রীঃ। মামলার তদন্ত সংশ্লিস্ট কর্মকর্তা ওসি-২ ইন্সেপেক্টর সুমন হালদার এ প্রতিনিধিকে বলেন, আহত রিমার দশমিনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। একটু সুস্থ্য হলে তাকে মেডিকেল চেকাপের জন্য পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হবে। আসামী গ্রেপ্তারে জোর প্রচেস্ট অব্যাহত আছে,আশা করি আসামীরাও অচিরেই গ্রেপ্তার হবে।