Site icon Aparadh Bichitra

নির্বাচন কমিশনে নূন্যতম সৌজন্যবোধও নেই — : মোমিন মেহেদী

নতুনধারা বাংলাদেশ এনডিবির চেয়ারম্যান মোমিন মেহেদী বলেছেন, নির্বাচন কমিশনে নূন্যতম সৌজন্যবোধও নেই। সেখানে আবেদনকারী দলগুলোর মধ্য থেকে যাচাই-বাছাইয়ের জন্য নির্বাচিত ৫৭ দলের নেতাকর্মীদের বসার জন্য কোন ব্যবস্থা রাখা হয় নি।

 

বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদেরকে দাঁড়িয়ে থেকেই কাগজপত্র জমা দিতে হয়েছে। যেখানে সারাদেশে সাংগঠনিক কাঠামো নির্মাণের মধ্য দিয়ে লক্ষ লক্ষ নেতাকর্মী তৈরি হচ্ছে, সেখানে সেই নেতাদেরকেই চরমভাবে অবমূল্যায়ণ করেছে নির্বাচন কমিশন। যা শুধু অপমানজনকই নয়; রীতিমত ন্যাক্কারজনকও। এর আগে ৩১ ডিসেম্বর ২০১৭ আবেদনপত্র জমা দিতে গিয়ে দেখেছি চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারি দিয়ে প্রবেশপথেই রিসিভ করিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের কর্তাগণ। তার প্রতিবাদ করে সংবাদ সংম্মেলনে নতুনধারা বাংলাদেশ-এনডিবির নেতৃবৃন্দ নিন্দা জানিয়েছিলো। আর এবার বসতে না দিয়ে অসৌজন্যমূলক আচরণ করলো। আমরা এই ঘটনারও তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। পাশাপাশি হুশিয়ার করে বলে দিতে চাই- জবঢ়ৎবংবহঃধঃরড়হ ড়ভ ঃযব চবড়ঢ়ষব ড়ৎফবৎ, ১৯৭২(চ.ঙ.ঘড়.১৫৫ ড়ভ ১৯৭২)-এর অৎঃরপষব ৯০অ এর অধীন রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের জন্য দরখাস্তর পাশাপাশি সকল নিয়ম মেনে গঠনতন্ত্র, নির্বাচনী ইশতেহার, বিধিমালা, পতাকা ও লগোর ছবি, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি, ক্ষমতাপত্র, ট্রেজারারী চালান(সোনালী ব্যাংক,২১৫)-এর কপি, জেলা ও উপজেলা দপ্তর সমূহের ঠিকানা-কমিটি, বাড়ি ভাড়ার চুক্তিপত্র/ভাড়া প্রদান রশিদ; ব্যাংক একাউন্ট নং(জনতা ব্যাংক, তোপখানা রোড-০১০১১৫৬৬৯৮১৬) এবং তহবিলের উৎস বিবরণ; এলাকা ভিত্তিক কমপক্ষে ২ শত ভোটারের স্বাক্ষর সহ জমা দিয়েছি। প্রতিক হিসেবে ‘গাছের চারা’ চেয়েছি। ২৩ এপ্রিল সকাল ১০ টায় নতুনধারা বাংলাদেশ-এনডিবির প্রেসিডিয়াম মেম্বার মহিউদ্দিন আকবরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত নিবন্ধনের জন্য আবেদন পরবর্তী নেতাকর্মীদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় তিনি উপরোক্ত কথা বলেন। এনডিবির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান শান্তা ফারজানা, ভাইস চেয়ারম্যান ডা. নূরজহান নীরা, মহাসচিব চঞ্চল মেহমুদ কাশেম, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাহামুদ হাসান তাহের, যুগ্ম মহাসচিব ইব্রাহিম খলিল প্রধান, মনির জামান, টিএম আলী ফরহাদ শিমুল, সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক শেখ রেজাউল করিম, নারায়ণগঞ্জ জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক চাঁদ আহমেদ জীবন, মোহাম্মদ দানেশ, হরি দাস সরকার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।