বনানী থানার এক আতংকের নাম এসআই ওমর ফারুক। পাড়ায় পাড়ায় সাধারন মানুষের মাঝে ওমর ফারুক আতংক বিরাজ করছে। সন্ত্রাসীদের সাথে মিলে ফোনে হুমকি প্রদান, সাধারন নিরীহ মানুষকে মাদক দিয়ে ব্লাকমেইলিং এবং ওয়ারেন্টের আসামীকে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে ছেড়ে দেয়া, মাদক ব্যবসা পরিচালনাসহ অসংখ্য অভিযোগের পাহাড় রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
একটি সুত্রে জানায়, ওমর ফারুকের বদলি ঠেকাতে চালাচ্ছে জোর তবদির। এছাড়াও জানা যায়, বনানী থানার এসআই ওমর ফারুকের বিরুদ্ধে রয়েছে লাখ টাকার গ্রেফতার বাণিজ্যর অভিযোগ। তার বিরুদ্ধে অসংখ্য অভিযোগের মধ্যে থানার ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামীকে উৎকোচের বিনিময়ে ছেডে দেওয়া, মাদকের সেল্টার দেওয়া, সাধারন মানুষকে ইয়াবা দিয়ে হয়রানি করা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মহাখালী হাজারিবাড়ী এলাকার এক বাসিন্দা জানায়, কয়েকদিন আগে এসআই ওমর ফারুক জুয়েল নামে এক প্রাইভেটকার ড্রাইভারকে ইয়াবাসহ আটক করে। পরে তের হাজার টাকার বিনিময়ে জুয়েলকে ছেড়ে দেয়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ড্রাইভার জুয়েল জানায়, হাজারিবাড়ী মুন ভিডিওর সামনের রাস্তা দিয়ে সন্ধায় ডিউটি শেষ করে বাড়ী যাচ্ছিলেন সেখান থেকে তাকে আটক করে। আটকের পর এসআই ওমর ফারুক বলে তর পকেটে ইয়াবা আছে, এই বলে তাকে মোটর সাইকেলে উঠিয়ে মহাখালী টিএন্ডটি মাঠের ভেতরে নিয়ে যায়। ওমর ফারুকের সাথে সাদা পোশাকে আরেকজন পুলিশ ছিল।
জুয়েল আরও জানায়, ওমর ফারুক বলে তুই ইয়াবা ব্যবসা করিস, টাকাদে ছেড়ে দিব, না হয় আমার কাছে আরও ইয়াবা আছে। এগুলা সবদিয়ে থানায় নিয়ে তোকে চালান দিব। যা করবি এখানেই কর পরে সুযোগ পাবিনা। এই বলে আমাকে ভয় দেখিয়ে আমার কাছে ১ লাখ টাকা দাবি করে। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে আমাকে চোখ বেধে শারিরিকভাবে নির্যাতন করে। পরে এসআই ওমর ফারুকের সাথে ১৩ হাজার টাকায় রফাদফা হয়। ফোনে যোগাযোগ করে আমার বড় ভাই টাকা নিয়ে এসে ওমর ফারুকের হাতে তুলে দেয়।
স্থানীয় সূএে জানা যায়, বনানী থানার আওতাধীন এলাকার বেশ কিছু মাদকস্পট এসআই ওমর ফারুকের শেল্টারে চলে। তার শেল্টারে থাকা মাদক ব্যবসায়ীরা অতি প্রভাবের সাথে মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। এলাকার কেউ এসব মাদকস্পটে বাধাসৃষ্টি করলে অথবা মাদক ব্যবসায়ীদের কিছু বললে ওমর ফারুক তাদের গ্রেফতারের হুমকি প্রদানসহ বিভিন্নভাবে হেনস্থা করে। যে কারনে পাড়ায় পাড়ায় এখন মাদকের ছড়াছড়ি। যা ভয়ংকর রুপ নিয়েছে।
এই যদি হয় পুলিশের কর্মকান্ড তাহলে মানুষ কার কছে সহযোগিতা চাইবে। কিছু অসৎ পুলিশ অফিসারের জন্য পুরো পুলিশ ডিপার্টমেন্টের বদনাম হচ্ছে। যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে মহাখালীর সাধারন মানুষের দাবি, এ ধরনের পুলিশ অফিসারদের যেন থানা থেকে প্রতাহার করা হয়।