মাদক চাঁদাবাজ সন্ত্রাসীদের দমনে এগিয়ে বি এম ফরমান আলী, ওসি বনানী থানা

1
3171

হাবিব সরকার স্বাধীনঃ
বিশ্বের মানচিত্রে সকল অপরাধীদের সনাক্তকরন এবং পাকড়াও করার প্রকৃত শক্তির উৎস সহ নিরপেক্ষ ভূমিকায় আদালতে প্রেরন যাদের হাতে ন্যস্ত তারা হলো পুলিশ বাহিনী। বিশ্বের প্রতিটি রাষ্ট্রে যদি পুলিশ বাহিনী না থাকতো তবে সে দেশে কখনো আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করা যেত না। এই কারনে যে দেশের পুলিশ বাহিনীর কার্যক্রম যত উন্নত সে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থাও তেমন উন্নত। এছাড়া ও যে দেশের পুলিশ বাহিনী যত কর্মঠ সে দেশের জনগন তত শৃঙ্খলাবদ্ধ এবং দেশ প্রেমিক। যে দেশের সরকার পুলিশ বাহিনী দিয়ে দলীয় র্স্বাথে জনগনকে ধরপাকড়াও কিংবা হয়রানী করে না সে দেশের গনতন্ত্র তত উন্নত। যে দেশের জনগন পুলিশ বাহিনীর ওপড় যত শ্রদ্ধাশীল সে দেশের জন নিরাপত্তা হয়। সুন্দর ও শান্ত। আমি একজন সামান্য সাংবাদিক হিসাবে মনে হয়। দেশের নিয়ম বা অনিয়ম ঘটনাবলী সম্পর্কে সত্যকে উৎঘাটন করে, সৎ ও সাহসিকতার সাথে আইন এবং সমাজের কাছে তুলে ধরা। আবার যে সব পুলিশ অফিসার, মন্ত্রি, এমপি ও আমলা সহ বিভিন্ন দপ্তরের অফিসারগন দেশ জাতির কল্যানে সেবামূলক কাজ করে থাকেন সে সব ব্যাক্তিদের সফলতা এবং প্রশংসনীয় কার্যক্রম ও সমাজের কাছে তুলে ধরা। আমার সাংবাদিকতার ১০ বছর জীবনে পুলিশ বাহিনী নিয়ে কম বেশী লেখালেখি করেছি। তবে পুলিশ বাহিনীর মধ্যে অনেক সৎ নিষ্ঠাবান কর্মকর্তা রয়েছে যারা জীবন বাঁজি রেখে সততার সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছে। আবার কিছু অফিসার অবৈধ উপায়ে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়ে বসে আছেন। গড়েছেন বিশাল অট্রালিকা আর কালো টাকার পাহাড়। আজ এমনই এক সাহসী অফিসার বনানী থানার (ওসি) বি এম ফরমান আলী বলেন আমি থাকলে বনানীতে মাদক থাকতে দিবো না। তাকে নিয়ে আমার আজকের এই উৎসাহ মূলক প্রতিবেদন।

আর তিনিই হচ্ছেন বনানী থানার সাহসী সুনাম ধন্য অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বি এম ফরমান আলী অনুসন্ধানে জানা গেছে, তিনি বনানী থানায় যোগদানের পর চৌকস অফিসারদের নিয়ে থানা এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেন। সেই সঙ্গে তিনি চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, হত্যাসহ অস্ত্র ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে অসংখ্য মাদকদ্রব্য বিক্রেতা ও সেবনকারীকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনেছেন। এর ফলে স্থানীয় পুলিশের প্রতি জনগনের স্বস্তি আস্থা ও বিশ্বাসের সৃষ্টি হয়েছে। ইতিপূর্বে অন্য কেউ এমন বিশ্বাস ও আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়নি। বনানী থানা এক সময় অপরাধীদের স্বর্গ রাজ্য ছিল। কিন্ত বর্তমান কর্মরত ওসি এ থানায় যোগদান করার পর থেকেই বনানী ও কড়াইল সাত তাল বস্তিবাসী যেন এক নিরাপত্তার চাদরে বসবাস করছে। ইতিপূর্বে সংবাদপত্রের পাতা খুললেই হরহামেশা চোখে পড়ত বনানীর বিভিন্ন অপকর্মের ঘটনা। যার কারনে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে অনেক ব্যবসায়ীরাই ছিনতাই আতংকে সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসার সাথে সাথেই বাড়ি ফিরে যেত। কিন্ত সেই ভুরে বনানী এখন আলোর জগতে পরিণত করেছে একমাত্র বনানী থানার ওসি বি এম ফরমান আলী ও তার থানার অন্যান্ন্য পুলিশ সদস্যরা। তার রয়েছে যেমন দক্ষতা, সাহসিকতা তেমনি রয়েছে সততা। শুধু তাই নয় তিনি তার সাথে কর্মরত প্রতিটি পুলিশ কর্মকর্তাদের নিয়ে মাদক সেবন ও বিক্রয়কারীদের বিরুদ্ধে নিয়েছেন কঠিন পদক্ষেপ। পাড়ায় মহাল্লায় উঠান বৈঠক ও মাদক বিরোধী সংগঠন গড়ে তুলেছেন। (ওসি) ফরমান আলী চাকুরী জীবন থেকেই দেশ ও জাতির কল্যানে জনস্বার্থে সেবামূলক কাজ করে যাছেন। আইন শৃঙ্খলা থেকে শুরু করে সাধারণ জনগনের সাথে যোগাযোগ রাখা সর্বোপরি উন্নত হয়েছে। মামলা হামলা আর মাদকের প্রভাব কমেছে। এমনকি থানা এলাকার এক শ্রেনীর দালাল চক্রের প্রভাব নেই বললেই চলে। আর এসবই অর্জন করতে পেরেছেন নিজের সততা আর কর্মের গুনে। অনুসন্ধনে জানা যায় অপরাধীদের সাথে তার কোন আপোষ নেই। অপরাধী যেই হোক তাকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে। পুলিশ আন্তরিক হয়ে দেশের জন্য কাজ করলে ও দেশের সচেতন লোক যদি পুলিশকে দায়িত্ব পালনে সহযোগীতা করে তাহলে সমাজে অপরাধ প্রবনতা কমে যাবে। দেশকে শান্তিময় ও বাসযোগ্য দেখতে চাইলে সবাইকে আইন মেনে চলার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে, এবং আইন শৃঙখলা রক্ষাকারী বাহিনী পুলিশ সংস্থার সদস্যদের প্রতি সর্বস্তরের মানুষের সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে। জনহতিকর কাজে সমাজের ক্ষমতাসীন বিত্তবান ব্যক্তিদের আরো দায়িত্বশীল হতে হবে। তিনি আরো বলেন, আমার থানায় এসে কোন লোক বলতে পারবেনা বনানী থানা পুলিশ টাকা ছাড়া মামলা নেয়না বা কোন কাজ করেনা। কারণ গুলশান জোনের ডিসি ও সার্কেল এএসপি অত্যান্ত কঠোর ও প্রতিবাদী সৎ অফিসার ফলে এ থানার কোন অফিসার ঘুষ দুনীর্তির কোন সুত্র তৈরি করার সুযোগ পায় না। এছাড়াও আমি যত দিন বেঁচে থাকবো গরীব-ধনীর মাপকাঠি আমার কাছে সমান। আর ওসি হিসেবে যে দায়িত্ব আমাকে দিয়েছে তা আমি অক্ষুন্ন রাখবো। ১৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলার আলহাজ্ব মফিজুল রহমান মফিজ ও তার কর্মীরা অন্যায় আবদার বা তথাকথিত তদবীর করেন না। তার সময় উপযোগী সহযোগীতা আমাদের কাজ করার অনুপ্রেরণা ও শক্তি যোগায়। তাই এ থানায় যোগদানের পর এখন পর্যন্ত কোন কাজ করতে গিয়ে আমি এবং থানার অন্যান্ন অফিসার গণ কোনো রাজনৈতিক শিকার হয়নি। তাই এলাকাবাসীর প্রতি আমার আবেদন আপনারা আইন মেনে চলুন, আপনাদের সন্তানের প্রতি লক্ষ্য রাখুন তারা যেন মাদকাসক্ত না হয়। আমাদের মনে রাখা উচিৎ মাদকাসক্ত হলে তারা একদিন অবশ্যই অপরাধী হয়ে উঠবে। আর অপরাধী হলে আপনার পরিবার, সমাজ সর্বোপুরি দেশের প্রতিটি জনপদের জন্য বয়ে আনবে অমঙ্গল। নিশ্চয় আমরা কেউ তা কামনা করি না। আসুন আমরা দেশবাসী প্রতিজ্ঞা করি।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

four × 2 =