Site icon Aparadh Bichitra

যৌতুকের দাবীতে গৃহবধুকে পিটিয়ে হত্যার জের লক্ষ্মীপুরে ৬টি বসত বাড়িতে হামলা, ভাংচুর লুটপাট, আহত-৫,ঘাতক স্বামী-আটক

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
যৌতুকের দাবীতে লক্ষ্মীপুরে পিয়ারাপুর এলাকায় গৃহবধু জোসনা বেগমকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ৬টি বসত বাড়িতে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। এসময় সন্ত্রাসীদের হামলায় নারী-পুরুষসহ অন্তত ৫ জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে সুরমা বেগম,রহমত উল্যাহ,হালিমা ও রুনা বেগমকে স্থানীয় ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।

রোববার সন্ধায় সদর উপজেলার পিয়ারাপুর ও পাশ^বর্তী কামালপুর এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। জোসনা হত্যার ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিকালে নিহতের বাবা বাহার উদ্দিন বাদী হয়ে ঘাতক স্বামী সুজনের নাম উল্লেখ করে আরো তিনজনকে অজ্ঞাত আসামী করে সদর থানায় এ হত্যা মামলা দায়ের করেন। অপরদিকে শনিবার রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে কুমিল্লা থেকে সুজনকে গ্রেফতার করে। অন্যরা এখনো পলাতক রয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, জোসনা বেগম হত্যার কান্ডের জের ধরে রোববার একদল সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে পিয়ারাপুর এলাকার সোহাগ পাটোয়ারীর বাড়ী,সুজন পাটোয়ারীর বাড়ী, হারুন ও পাশ^বর্তী কামালপুর এলাকার নুর হোসেনের বাড়ীসহ ৬ বসতবাড়ীতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর করে ৩০ লাখ টাকার মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায়। এসময় সুরমা বেগম, রহমত উল্যাহ, হামিলা বেগম রুনাসহ ৫ জন আহত হয়। পরে তাদের উদ্ধার করে স্থানীয় ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করেছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
মামলার এজহার ও স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে,সদর উপজেলার পিয়ারাপুর এলাকায় বিয়ের পর থেকে গৃহবধু জোসনা বেগম ও তার পরিবারকে যৌতুকের জন্য চাপ দেয় স্বামী সুজনসহ শ^শুরবাড়ির লোকজন। এ নিয়ে প্রায় জোসনা বেগমকে শারীরিক ও মানষিক নির্যাতন চালাত স্বামী সুজন। যৌতুকের জন্য ঘটনার আগের দিন শুক্রবার দিনে এবং রাতে স্বামী সুজনসহ অন্যরা একাধিক বার জোসনা বেগমকে নির্যাতন চালানো হয়। এক পর্যায়ে শনিবার রাতের কোন এক সময়ে জোসনা বেগমকে পিটিয়ে হত্যা করে। পরে জোসনা বেগম বিষ প্রানে অতœহত্যা করছে বলে এলাকায় প্রচার প্রচারনা চালায় তারা। এ ঘটনা ধামা-চাপা দেয়ার জন্য শনিবার সকালে নিহতের লাশ সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে স্বামী সুজন ও পরিবারের অন্যরা। সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগে জোসনার লাশ রেখে পালিয়ে যায় সুজন ও শ^শুরবাড়ির লোকজন।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.লোকমান হোসেন জানান, গৃহবধুকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনার পর নিহতের স্বামী সুজনকে কুমিল্লা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। পিয়ারাপুর ও কামালপুর কয়েকটি বাড়ীতে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনায় পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।