কমলনগরে ঝড়ে বিদ্যালয় লন্ডভন্ড পাঠদান বন্ধ

0
4822

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার দক্ষিণ চর মার্টিন চৌধুরী বাজার উচ্চ বিদ্যালয় কালবৈশাখী ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে।ভেঙে গেছে শ্রেণিকক্ষসহ বাতাসের তোড়ে উড়ে গেছে টিনের চালা। এমন পরিস্থিতিতে পাঠদান বন্ধ রয়েছে। শনিবার (১২ মে) সকালে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে এসে শ্রেণি কক্ষে না যেতে পেরে খোলা আকাশের নিচে মাঠে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। এর আগে শুক্রবার ( ১১ মে) বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত প্রচন্ড ঝড়ে বিদ্যালয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।
জানাগেছে,শুক্রবার (১১ মে) বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত কমলনগরে কালবৈশাখী ঝড় আঘাত হানে। ঝড়ে কাঁচা ঘরবাড়ি, গাছপালা, চলতি মৌসুমের ধান এবং বিভিন্ন রবি ফসলসহ শাক-সবজির ব্যাপক ক্ষতি হয়। দক্ষিণ চর মার্টিন চৌধুরী বাজার উচ্চ বিদ্যালয় কালবৈশাখী ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে যায়। ভেঙে গেছে শ্রেণিকক্ষসহ বাতাসের তোড়ে উড়ে গেছে টিনের চালা।

বিদ্যালয়টিতে ৪৫০জন শিক্ষার্থীরা রয়েছে। কালবৈশাখীর কবলে পড়ায় তাদের পাঠদান অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে বিদ্যালয় মেরামত ও পাঠদান নিশ্চিত করা না গেলে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবনে নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা করছেন শিক্ষক ও সচেতন মহল।এছাড়াও বিদ্যুতের তার ছিড়ে; খুঁটি ভেঙ্গে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।
স্থানীয় চর মার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো.ইমান আলী বলেন, কালবৈশাখী ঝড়ে বিদ্যালয়ে আধাপাকা ভবন ভেঙ্গে গেছে, টিনের চালা উড়ে গিয়ে অন্যত্র পড়েছে। ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির দু’টি শ্রেণিকক্ষ লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী নুশরাত জাহান ও সপ্তম শ্রেণির শাহিন চৌধুরী বলেন, ঝড়ে তাদের বিদ্যালয়ের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিদ্যালয় ভেঙে পড়ায় শ্রেণি কক্ষে যেতে পারছেনা। পাঠদান বন্ধ থাকলে যথাসময়ে সিলেবাস শেষ করতে পারবেনা। দ্রুত তারা বিদ্যালয়ের মেরামত চায়।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. ফরিদ উদ্দিন বলেন, ঝড়ে বিদ্যালয় ভন্ডভন্ড হয়ে গেছে। পাঠদান অসম্ভব। রোদ-ঝড়-বৃষ্টির এ মৌসুমে খোলা আকাশের নিচেও পাঠদান অনিশ্চিত। বিষয়ে উপজেলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) জানানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
কমলনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইমতিয়াজ হোসেন বলেন, বিদ্যালয় ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার খবর পেয়েছি। শিক্ষার্থীদের যাতে পাঠদান বন্ধ না হয় সে ব্যাপারে প্রয়োজনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

3 × three =