Site icon Aparadh Bichitra

চট্টগ্রামের জেনারেল হাসপাতালে চলে ফোরকানের রাজত¦

ষ্টাফ রির্পোটারঃ-

বাশঁখালী উপজেলার পশ্চিম পুইঁছরি গ্রামের মোহাম্মদ মাহমুদুর রহমানের পুত্র মোঃ ফোরকান । যাদু করী ফোরকান যেখানে বদলি হয় সেখানে গড়ে তুলে তার রাজত্ব । ২০১০ সালে বাশঁখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স -এ অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে যোগদান করে পেয়ে গেল সোনার ডিম পাড়া হাঁস। এরপর থেকে ফোরকান শুরু করে টাকার পাহাড় গড়ার নেশা চলছেতো চলছেই শেষ কোথায় কখন হবে কেউ জানে না। একের পর এক অনিয়ম দূর্নীতি সেচ্ছাচারিতাকে আলিঙ্গন করে চোখে রঙ্গিন চশমা লাগিয়ে চলছে ফোরকান।

বাশঁখালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দায়িত্ব পালন কালে রোগীদের সাথে দুর্ব্যবহার, টাকা দাবি এবং রোগীর স্বজন, অল্প বয়সি মেয়েদের যৌন হয়রানির অভিযোগ ও অনিয়মের কৈফিয়ৎ তলব করলে তার এলাকার তারই পোষা মাস্তান বাহিনি দিয়ে কর্মকর্তাদের বিভিন্ন রকম হুমকির সম্মুখীন করার অভিযোগে ২০১৩ সালে তাকে বদলি করা হয় সাতকানিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। ২০১৫ সালে পিটিআইএ প্রশিক্ষনরত এক শিক্ষিকাকে অপহরণের চেষ্টার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। সাতকানিয়ায় সে বেশি দিন টিকতে পারেনি। ২০১৫সালে তাকে বদলি করা হয় লোহাগড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে । সেখান থেকে ২০১৫ সালের ২৫শে সেপ্টেম¦রে সিভিল সার্জন কার্যালয়ে বদলি হয়ে আসে বড় ধরণের রকম-সকম দিয়ে। এখানে এসে তার আয়ের পাল্লা আর ও ভারি হতে থাকে । চাকুরিতে যোগদান করে অফিস সহকারি কাম কম্পিউটার অপারেটর (নিজ বেতনে)। চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিএমএ কে বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে সিভিল সার্জন তাকে হিসাব রক্ষক পদোন্নতি দিয়ে থাকেন অবৈধভাবে। অথচ একজন সিভিল সার্জন চাকুরিতে পদোন্নতি দেওয়ার একতেয়ার রাখেনা কিন্তু ফোরকানের বেলায় অসম্ভব ও সম্ভব হলো কারণ ফোরকানের তো সোনার ডিম পাড়া হাসঁ রয়েছে। তার ভাগ্য অত্যন্ত ভাল জেনারেল হাসপাতালে ক্লিনার সিউিরিটি সাপ্লাইয়ার গাউছিয়া , গ্লাফ,রানা নামধারী ঠিকাদার বহুবার অপরাধের দ্বায়ে অভিযুক্ত বাংলাদেশ পুলিশে কর্মরত মালখানা লুট,বাশঁখালীতে কলেজ ছাত্রীকে প্রেমের ফাঁেদ ফেলে শারীরিক সর্ম্পক করে ভিডিও ধারণ প্রকাশ এবং আরও অনেক অপরাধের হেড বর্তমানে অবসর প্রাপÍ ঠিকাদারী ব্যবসায়ী। সিকিউরিটি ক্লিনারের টাকা লুট নারী কেলেংকারীর দ্বায়ে কাল তালিকা ভুক্ত বর্তমানে হাজী দেলোয়ার হোসেন তার ডান হাত। যার টাকায় ফোরকান আরও শক্তিশালী। জেনারেল হাসপাতালে যে ঠিকাদার আসে তাকে ফোরকান যাদুকরী মন্ত্র দিয়ে বস করে দুর্নীতির হাত দীর্ঘ করে। সিভিল সার্জন কার্যালয়ে ও তার দুর্নীতি,অনিয়ম চরম আকারে গিয়ে ঠেকলে তাকে কয়েকবার কৈফিয়ত দিতে হয়। ফোরকানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির বিষয়টি ছড়িয়ে পড়ে । ফলে বিএমএ চট্টগ্রামের মাটি, মানুষ,চিকিৎসা-সেবা প্রেমী,হাসপাতালের জন্য নিবেদীত প্রাণ,চট্টগ্রামের সুযোগ্য সন্তান সাধারণ সম্পাদক ড. ফয়সাল ইকবাল চৌঃ ও সভাপতি ড. মুজিবুল হকের কঠোর সৃংখল দ্বায়িত্ব পালনের চোখে ধরা পড়ে যাওয়ায় তাকে ২০১৭ সালে বদলি করা হয় চাদঁপুরের ফরিদঞ্জ উপজেলা স¦াস্থ্য কমপ্লেক্সে। কিন্তু সুচতুর যাদুগর ফোরকান সর্বোচ্ছো তদবিরে সে বদলি আদেশ স্থগিত করেছেন। ফোরকানদের মত দুর্নীতিবাজ উচ্ছাভিলাসী লোভী চক্রের হাতে আর কত লাঞ্চিত নীপিড়ীত হবে চিকিৎসা সেবায় আগত মানুষ। প্রশাসন কেন জিম্মি ফোরকানদের নিকট?