Site icon Aparadh Bichitra

অবশেষে ইয়াবা গডফাদার তালিকা থেকে ‘দায় মুক্তি’

অবশেষে ইয়াবা গডফাদার তালিকা থেকে ‘দায় মুক্তি’ দেয়া হল টেকনাফ-উখিয়ার বহুল আলোচিত-সমালোচিত সরকার দলীয় সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদিকে। সরকারের সর্বশেষ তৈরি করা ইয়াবার গডফাদারের তালিকা থেকে তাকে বাদ দেয়া হয় বলে জানা গেছে। গত এক দশক ধরে এমপি বদিকে ঘিরেই তৈরি হয়েছে সরকারী সকল সংস্থার ইয়াবা ব্যবসায়ীদের তালিকা।

সরকারী সকল সংস্থাও গোয়েন্দা প্রতিবেদন দিয়েছে এমপি বদির বিরুদ্ধে। ইয়াবার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠার শুরু থেকে সরকার দলীয় এ সংসদ সদস্য বারবার ইয়াবার সাথে তিনি কোনভাবেই জড়িত নন বলে দাবি করেছেন। দাবি করেছেন এটি তার ও সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার ষড়যন্ত্র। কিছুদিন আগে সংসদ অধিবেশনের বক্তব্যে এমপি বদি চ্যালেঞ্জ করে বলেছিলেন, কোনভাবে তিনি ইয়াবা ব্যবসা বা ব্যবসায়ীদের সাথে সম্পৃক্ত রয়েছে প্রমাণ করতে পারলে সংসদ সদস্য পদ থেকে পদত্যাগ করবেন। ফলে এমপি বদির ইয়াবা ব্যবসায় সংশ্লিষ্টতা নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে নানা আলোচনা ছিল। তিনি সংসদেই তার বিরুদ্ধে প্রকাশিত সংবাদের চ্যালেঞ্জ করেছিলেন। সংসদের ওই বক্তব্যে এমপি বদি সারা দেশের সাংবাদিকদের টেকনাফে আমন্ত্রণ জানিয়ে তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিলেন। এই সব আলোচনা সমালোচনার মধ্যেই ইয়াবার তালিকা থেকে নাম বাদ পড়েছে এমপি বদির। চলতি বছরের মার্চ মাসে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় বিজিবি, র‍্যাব, পুলিশ, মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর, কোস্টগার্ড ও গোয়েন্দা সংস্থার সমন্বয়ে ইয়াবা ব্যবসায়ীদের একটি হালনাগাদ তালিকাটি তৈরি করা হয়। যেখানে ইয়াবার গডফাদার হিসেবে স্থান পেয়েছে ৬০ জন। কক্সবাজারের ৮টি উপজেলার ১১৫১ জন ইয়াবা ব্যবসায়ীর নাম উঠে এসেছে এ তালিকাটিতে। তালিকায় দেখা গেছে, রাজনীতিতে দ্বন্দ্ব থাকলেও ইয়াবা পাচারে আওয়ামী লীগ, বিএনপি সবাই জড়িত।