Site icon Aparadh Bichitra

ভোটারদের ওপর ‘অবৈধ’ সরকারের ‘অবৈধ ক্ষমতা’ প্রদর্শন ছাড়া আর কিছুই নয়

জালিয়াতির অভিযোগে খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছে বিএনপি।সেই সাথে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের পদত্যাগও দাবী করা হয়েছে।এছাড়া কারাবন্দি দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার কিছু হলে সরকার রেহাই পাবে না বলে হুঁশিয়ার করা হয়।আজ বুধবার (১৬ মে) দুপুরে নয়াপল্টনে দলীয় অফিসে সংবাদ সম্মেলনে দলের পক্ষে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন দলের সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

তিনি বলেন, মঙ্গলবারের ভোট নিরস্ত্র ভোটারদের ওপর ‘অবৈধ’ সরকারের ‘অবৈধ ক্ষমতা’ প্রদর্শন ছাড়া আর কিছুই নয়। রিজভী বলেন, খুলনা সিটি নির্বাচনে নজিরবিহীন ভোট ডাকাতি হয়েছে। পুলিশ ও নির্বাচন কমিশনের ছত্রছায়ায় আওয়ামী লীগের সশস্ত্র ক্যাডাররা প্রকাশ্যে ব্যালট পেপারে সিল মেরেছে। এ ফলাফল প্রত্যাখ্যান করছি এবং একইসঙ্গে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদার পদত্যাগ দাবি করছি। রিজভী বলেন, ভোট শেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার লজ্জায় গণমাধ্যমের সামনে আসেননি। তবে ইসি সচিব গণমাধ্যমকে বলেছেন- খুলনায় চমৎকার ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হয়েছে। উনি ঠিকই বলেছেন ওইখানকার ভোটের পরিবেশই হচ্ছে ‘শেখ হাসিনা মার্কা’ নির্বাচন-যে নির্বাচনে দ্বিতীয় শ্রেণী পড়ুয়া ছেলে একই সঙ্গে বাবার সঙ্গে ভোট দিতে পারে। কেন্দ্রে যাবার আগেই ভোটারদের ভোট দেয়া হয়ে যায়। পুলিশের সহায়তায় কেন্দ্র দখল করে ভোট ডাকাতির উৎসব চলে। ভোটাররা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকলেও ব্যালট পেপার আগেই শেষ হয়ে যায়। কেন্দ্র দখল করে আধা ঘণ্টায় ১২০০ ভোট দেয়া হয়। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে নির্বাচন কমিশনের সদিচ্ছা নেই জানিয়ে তিনি বলেন, তাদের সে সামর্থও নেই, যোগ্যতাও নেই। ভোট ডাকাতি, ভোট সন্ত্রাস, জাল ভোট, ভোট কেন্দ্র দখল, অবৈধ অস্ত্রের আস্ফালন ছাড়া আওয়ামী লীগের বিজয় নিশানে হাওয়া লাগে না। তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে তার আত্মীয়স্বজন ২দিন আগে দেখা করেছেন। তারা তার অসুস্থতা দেখে বেদনাহত হয়েছেন। তার শারীরিক অসুস্থতা ক্রমাগত অবনতিশীল। সরকারের নিয়োগকৃত চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। তাকে দেয়া হয়নি অর্থোপেডিক বেড, করা হয়নি নিয়মিত ফিজিওথেরাপির ব্যবস্থা এবং উন্নত মানের এমআরআই দিয়ে পরীক্ষা করা। প্রতিরাতে জ্বরে ভুগছেন তিনি। বারবার দাবি জানানোর পরেও ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের দিয়ে খালেদার চিকিৎসা অগ্রাহ্য করা হয়েছে। চিকিৎসা নিয়ে সরকারের উদ্দেশ্যপ্রণোদিত উদাসীনতা ও উপেক্ষায় তার কোনরুপ ক্ষতি হলে সরকার কোনভাবেই রেহাই পাবে না।