Site icon Aparadh Bichitra

যানজটের কবলে পড়ে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন নারী, শিশু, বৃদ্ধ ও রোগীরা

সুবর্ণচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক ডা. মো. আব্দুর রহিম মঙ্গলবার রাত ১০টায় নোয়াখালী থেকে ঢাকার উদ্দেশে বাসে উঠেছেন। বুধবার সকাল ৯টায়ও তিনি কুমিল্লার দাউদকান্দি পার হতে পারেননি। যানজটে আটকে পড়া এই চিকিৎসক আক্ষেপ করেই ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন। আব্দুর রহিমের মতো হাজার হাজার যাত্রী ঢাকা-চট্টগ্রাম রোডে যানজটের কবলে পড়ে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।

সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ নারী, শিশু, বৃদ্ধ ও রোগীদের। বুধবার দাউদকান্দি টোলপ্লাজা থেকে ইলিয়টগঞ্জ ছাড়িয়ে যানজট ২০ কিলোমিটারজুড়ে বিস্তৃত হয়েছে। গত তিন দিন আগ থেকে শুরু হওয়া যানজট বুধবারও রয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে ফেনীর ফতেহপুর রেল ওভারপাসের দুটি লেন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়। ফলে ফেনীতে জট কমে গেলেও মহাসড়কের ঢাকামুখী দাউদকান্দি অংশে নতুন করে যানজট বাড়তে শুরু করেছে। মঙ্গলবার বিকেল থেকে বুধবার সকালের মধ্যে কুমিল্লা থেকে ঢাকা পর্যন্ত যেতে সময় লেগেছে ১০-১২ ঘণ্টা। যানজটে শত শত যাত্রীবাহী ও পণ্যবাহী গাড়ি, রোগী বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স, বিদেশগামী যাত্রী আটকা পড়েছেন। হাইওয়ে পুলিশ জানায়, যানবাহনগুলো দ্রুত গতিতে গোমতী, মেঘনা ও কাঁচপুর ব্রিজের কাছে এসে জড়ো হয়ে মেঘনা ও গোমতীর টোল প্লাজায় সারিবদ্ধ হয়। এর পর সেতুতে ওঠার সময় যানবাহনের গতি অন্তত ৮০ ভাগ কমে যায়। চার লেনের গাড়িগুলো দুই লেনের সেতুতে ধীর গতিতে চলায় যানজট দেখা দেয়। দাউদকান্দি হাইওয়ে পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মো. আবুল কালাম আজাদ জানিয়েছেন, দাউদকান্দির টোল প্লাজায় একসঙ্গে এত যানবাহনের ওজন নিয়ন্ত্রণ, টোল আদায় ও চলাচলের পাসিং দেওয়া যাচ্ছে না। তাই যানজট দীর্ঘায়িত হচ্ছে। এ সমস্যা কাটিয়ে উঠতে হাইওয়ে পুলিশ কাজ করছে।