পুলিশ জানায়, ঘটনার পর দিন সন্দেহভাজন হিসেবে পাঁচ জনকে আটক করে পুলিশ। তারা হলো– নবীগঞ্জ উপজেলার সাদুল্লাপুর গ্রামের ক্বারী আব্দুস সালাম, তার ছেলে সাহিদুর রহমান, একই গ্রামের শুভ রহমান, আবু তালেব ও রিপন সূত্রধর। এর মধ্যে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আব্দুস সালাম, সাহিদুর রহমান ও রিপন সূত্রধরকে ছেড়ে দেয় পুলিশ। আর শুভ রহমান ও আবু তালেবকে গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে রাখে।
সেখান থেকে আজ তাদের আদালতে হাজির করা হয়। এরপর তাদের স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি শেষে আদালতের নির্দেশে আবার কারাগারে পাঠানো হয়। ১৩ মে দিনগত রাতে নবীগঞ্জের কুর্শি ইউনিয়নের সাদলাপুর গ্রাম থেকে রুমী বেগম ও মালা বেগমের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর ১৫ মে এ ঘটনায় রুমি বেগমের ভাই বাদী হয়ে নবীগঞ্জ থানায় মামলা করেন। এদিকে, মা ও স্ত্রী খুনের খবর পেয়ে লন্ডন থেকে দেশে ছুটে এসেছেন আখলাক চৌধুরী গুলজার। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘পরিকল্পিতভাবে আমার মা ও স্ত্রীকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’ স্থানীয়রা জানান, সাদলাপুর গ্রামের মৃত রাজা মিয়ার ছেলে আখলাক মিয়া গুলজার দীর্ঘদিন ধরে লন্ডনে বসবাস করছেন। দুই বছর আগে তিনি দেশে এসে নিজ গ্রামের কুয়েতপ্রবাসী সুজন চৌধুরীর মেয়ে রুমি বেগমকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর গুলজার ফের লন্ডন ফিরে গেলে তার বাড়িতে মা ও স্ত্রী থাকতেন।