পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের সর্বশেষ অবস্থা জানানোর উদ্দেশ্যে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে রেলভবনে আজ এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে রেলপথ মন্ত্রী মোঃ মুজিবুল হক এই প্রকল্পের সার্বিক অবস্থা তুলে ধরেন। মন্ত্রী এ সময় বলেন, বর্তমানে চলা রেলের প্রকল্পগুলোর মধ্যে এটি সবচেয়ে বড় প্রকল্প। দেরিতে হলেও ঋন চুক্তি হয়েছে এবং এক মাসের মধ্যেই কাজ শুরু হবে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দ্রুত সময়ে পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন বলে জানান রেলপথ মন্ত্রী। রেলমন্ত্রী এ সময় বলেন, এই রেললাইন দক্ষিন পশ্চিম অঞ্চলের লোকদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এতে করে যাতায়াত সময় কমে যাবে। অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে সহায়ক ভ’মিকা পালন করবে। রেল মন্ত্রী এ সময় রেলওয়েতে চলমান আরও কয়েকটি প্রকল্পের কথা উরেøখ করে বলেন সারাদেশকে রেল নেটওয়ার্কের আওতায় আনার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। কক্সবাজারে নতুন রেল লাইন নির্মান করা হচ্ছে। বরিশালের পায়রা বন্দর পর্যন্ত রেললাইন নির্মিত হবে। বিদ্যমান রেললাইনকে পর্যায়ক্রমে ডাবল লাইন করা হবে। ১০ টি রেল ইঞ্জিন দ্রুত বহরে যুক্ত হবে, আরও ৭০ টি ইঞ্জিন কেনা প্রক্রিয়াধীন আছে। ২৭০ টি কোচ রেলে যুক্ত হয়েছে, আরও কোচ আনা প্রক্রিয়ায় আছে। এ সময় রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মোফাজ্জেল হোসেন, মহাপরিচালক মোঃ আমজাদ হোসেন, পরামর্শক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মেজর জেনারেল আবু সাঈদ মোঃ মাসুদ বক্তব্য রাখেন। ইআরডির অতিরিক্ত সচিব মোঃ জাহিদুল হক যিনি চীনে এই প্রকল্পের ঋন চুক্তি সই করেছেন তিনিও বক্তব্য রাখেন। পদ্মাসেতু রেলসংযোগ প্রকল্পের নির্মাণ কাজের জন্য ২৭.০৪.২০১৮ তারিখে গণচীন সরকারের এক্সিমব্যাংক অব চায়না এর সাথে বাংলাদেশ সরকারের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের ২৬৬৭.৯৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের (সমতুল্য ২১,০৩৬.৭০ কোটি টাকার) ঋণচুক্তি বেইজিং এ স্বাক্ষরিত হয়| মুন্সিগঞ্জ, শরিয়তপুর, মাদারীপুর ও নড়াইল– এ ৪টি নতুন জেলা রেলওয়ে নেটওয়ার্কের সাথে যুক্ত হবে।