কাশিমপুর কেদ্রীয় কারাগারগুলোতে মাদকের জমজমাট হাট: বখরা পাচ্ছেন আইজি-ডিআইজিও!

0
516

দুর্নীতির এক জঘন্যতম লীলাভূমিতে পরিণত হয়েছে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারগুলো। প্রশাসনের যোগ সাজশেই চলছে মাদকের জমজমাট বাণিজ্য। মাদক সিন্ডিকেট প্রতিমাসে কারা মহাপরিদর্শক থেকে শুরু করে ডিআইজি পর্যন্ত সবাইকে নির্দিষ্ট অংকের বখরা দিচ্ছে। ঢাকা বিভাগের ডিআইজি তৌহিদুল ইসলাম কোনো রাখঢাক না করে প্রতিমাসেই কারাগারগুলোতে যান মাসিক বখরার টাকা তুলতে।

কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে আইজি প্রিজনের পক্ষে মাসোয়ারার টাকা তোলেন সিনিয়ার জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা। সুব্রত বালা আইজি প্রিজনের খুবই ঘনিষ্টজন হিসেবে পরিচিত। গতমাসে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার ১, ২ এবং ৩ (মহিলা কারাগার) এ পরিচালিত ঝটিকা অভিযানে মোট সাড়ে আট হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার হয়। এবিষয়টি উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে সিনিয়ার সুপার সুব্রত কুমার বালা, জেলার দেওয়ান তরিকুল ইসলাম এবং আনোয়ার মিলে তাদের নিজস্ব সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বন্দীদের কাছেই ওই মাদক আবারও গোপনে বিক্রী করে কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নেন।

বন্দীদের দেয়া হচ্ছে খুবই নিম্নমানের খাবার:

কারাগারগুলোতে প্রায়ই পচা চালের ভাত, পশুখাদ্য হিসেবে আমদানি করা ডালের পাশাপাশি স্রেফ সিদ্ধ সবজি সরবরাহ করে সরকার থেকে দেয়া হাজার-হাজার লিটার ভোজ্য তেল বাজারে বিক্রি করে দেয়া হয়। এসব নিয়ে প্রতিবাদ করলেই বন্দীদের উপর নেমে আসে চরম নির্যাতন।

পিসি ক্যান্টিনের নামে আইজি’র কোটি টাকার বাণিজ্য:

বন্দীদের আত্বীয়-স্বজনরা যে টাকা-পয়সা দিয়ে যান সেগুলো জমা হয় প্রিজনার্স ক্যাশ বা পিসিতে। সেই টাকা দিয়ে বন্দীরা কারা-ক্যান্টিন থেকে বিভিন্ন নিত্য প্রয়োজনীয় মালামালসহ রান্না করা খাদ্য সামগ্রী কিনতে পারেন। এসব পিসি ক্যান্টিন বা পিসি দোকানগুলোয় যেকোনো পণ্যের মূল্য বাজারের খুচরা মূল্যের চেয়ে অন্তত ২৫ শতাংশ বেশী। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, এক প্যাকেট আকিজ বিড়ির দাম ২৫ টাকা, এক কেজি চিনির দাম ১৪০ টাকা, পেয়াজ প্রতি কেজি ১৫০ টাকা, কাচা মরিচ প্রতি কেজি ৩০০ টাকা।

রান্না করা খাদ্য সামগ্রীও খুবই চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে।

কারা ক্যান্টিনের এসব বিক্রীর উপর সরকারকে কোনো প্রকার ভ্যাট দেয়না কারা কর্তৃপক্ষ। যা বেআইনী এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

কারা বেকারিতে খুবই নিম্নমানের পণ্য সামগ্রী অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরী করে সেগুলো চড়া দামে বন্দীদের কাছে বিক্রি করা হচ্ছে।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

2 × four =