৮মও ৯ম শ্রেণীতে বোর্ড নির্ধারিত রেজিস্ট্রেশন ফিসের চেয়ে বিদ্যালয় কর্তৃক ৪-৫ গুন অতিরিক্ত আদায়ের অভিযোগ!!

0
537

নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ- বেগমগঞ্জ নোয়াখালী সর্বক্ষেত্রে সামাজিক দায়বদ্বতা ও জবাব দিহিতা থাকা ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের অপরিহায্য। রহস্যজনক কারনে বেগমগঞ্জ উপজেলার মাদ্রাসা ও হাই স্কুলের ৮ম ও ৯ম শ্রেনীর অভিভাবক ও ছাত্র ছাত্রীরা জানেনা তাদের সরকারি নির্ধারিত রেজিষ্ট্রেশন ফিসের পরিমান। জানাগেছে ২০১৮ সালে ৮ম ও ৯ম শ্রেনীর ছাত্র ছাত্রী দের সরকারি ভাবে কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড নির্ধারিত রেজিষ্ট্রেশন ফিস ৮ম শ্রেনীতে ৫০ টাকা ও ৯ম শ্রেনীতে ১০০টাকা ধার্য্য করেন কিন্তু বেগমগঞ্জ উপজেলার কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারি ভাবে নির্ধারিত ফিসের সমর্পকে ছাত্র ছাত্রী কিংবা অভিভাবক দের নোটিস বা কোন মাধ্যমে অবহিত না করে মনগড়া অতিরিক্ত ৪/৫ গুন বাড়িয়ে মাদ্রাসা স্কুলের রশিদ প্রদান ছাড়া আদায় করেন প্রধান শিক্ষকরা। শিক্ষার্থী মাথা পিছু বোর্ড নিধারিত ফিসের পরিমান সরকারি চালানের মাধ্যমে ব্যাংককে জমা করে বাকি টাকার ভূয়া বিল ভাউছার দেখিয়ে প্রধান শিক্ষক ও পরিচালনা কমিটি ভাগাভাগি করে নেওয়ার অভিযোগ উঠছে।

 

বেগমগঞ্জ সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আবদুল মান্নান ৮ম শ্রেনীতে ছাত্র প্রতি ৪০০ শত টাকা ও ৯ম শ্রেনীতে এপ্রিল মাসে নিবন্ধনের শেষ তারিখ বলে ৪শত টাকা রশিদ ছাড়া আদায় করার কথা জানান।এতোবেশী আদায় করার বিষয় বললে তিনি বলেন অনলাইন খরচ সহ বোর্ডের যাবতীয় খরচ আছে। বেগমগঞ্জ সরকারি কারিগরি উচ্চ বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক ছানা উল্যাহ জানান আমরা বেশী নি নাই ৮ম ও ৯ম শ্রেনীতে ৩৫০ টাকা হারে ছাত্র প্রতি নিয়েছেন।নোয়াখালী পাবলিক হাই স্কুল এর দুর্নিতিবাজ শিক্ষক জিল্লুর রহমান ভূয়া কমিটি সৃজন করে তাদের যোগসাজশে ৮ম ও ৯ম শ্রেণীতে ছাত্র প্রতি ৫ শত টাকা হারে আদায় করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।শামছুন্নাহার উচ্চ বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক মোঃ জসিম উদ্দীন ৮ম শ্রেনীতে ১৮০ জন ছাত্র ছাত্রীর কাছ থেকে শিক্ষার্থী প্রতি ৪০০ টাকা করে রেজিষ্ট্রেশন ফিস আদায় করে ও ৯ম শ্রেণীতে এখনো ধার্যকরা হয়নি বলে জানান সহকারি প্রধান শিক্ষক।এবিষয় প্রধান শিক্ষক বলেন বেশীনিলে কি হয়েছে। চন্দ্রগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক মোঃ আবদুস সাত্তার জানান ৮ম শ্রেণীতে ছাত্র প্রতি ৪০০ টাকা হারে নিয়ে ২৪৫ জন ছাত্রের নিবন্বন করেন ,৯ম শ্রেণীতে ২৮৫ জন ছাত্র ছাত্রীদের থেকে জন প্রতি ৫৫০টাকা করে নেয়ার কথা জানান।চন্দ্রগঞ্জ কারামতিয়া কামিল মাদ্রাসা অফিস সহকারি জানান ৮ম শ্রেনীতে ৬২ জন ও ৯ম শ্রেনীতে ৪৬ জন থেকে ছাত্র প্রতি ৫০০ টাকা হারে রেজিস্ট্রেশন ফি আদায় করা হয়েছে।এবিষয় ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোশারফ হোসেন বলেন আমরা বোর্ড নির্ধারিত ফি থেকে বেশি নি নাই।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

2 × 4 =