ব্যবসায়ীদের চাহিদার ভিত্তিতে স্বর্ণবার আমদানি করতে পারবেন

0
4375

স্বর্ণবার বা অন্য কোনো ফর্মে স্বর্ণ আমদানি করা যাবে না। স্বর্ণবার প্রস্তুতকারী বা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান থেকে সরাসরি আমদানি করতে হবে। এ কাজটি করবেন অনুমোদিত ডিলাররা। অনুমোদিত ডিলার স্বর্ণালঙ্কার ব্যবসায়ীদের চাহিদার ভিত্তিতে স্বর্ণবার আমদানি করতে পারবেন। এসব বিধান যুক্ত করে ‘স্বর্ণ নীতিমালা’ চূড়ান্ত করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

আগামী বুধবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভাকক্ষে অনুষ্ঠেয় অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে স্বর্ণ নীতিমালাটি অনুমোদনের জন্য উঠবে। গত ১৫ই মে প্রস্তাবিত নীতিমালা ও মন্ত্রিসভা কমিটির জন্য সারসংক্ষেপ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। খসড়া নীতিমালায় বলা হয়েছে, অভ্যন্তরীণ স্বর্ণালঙ্কারের চাহিদা পূরণ করতে অনুমোদিত ডিলারের মাধ্যমে স্বর্ণবার আমদানির নতুন পদ্ধতি প্রবর্তন করা হবে। অনুমোদিত ডিলার নির্বাচন করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। এজন্য বাংলাদেশ ব্যাংক প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করবে। অনুমোদিত ডিলার স্বর্ণবার আমদানির সময় বন্ড সুবিধা গ্রহণ করে স্বর্ণ আমদানি করতে পারবে। এজন্য ডিলারদের আমদানি নীতি আদেশ এবং কাস্টমস অ্যাক্ট অনুসরণ করে বন্ড লাইসেন্স নিতে হবে। নীতিমালায় বলা হয়েছে, ভ্যাট নিবন্ধিত প্রকৃত স্বর্ণালঙ্কার প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান বা ব্যবসায়ী অনুমোদিত ডিলারের কাছ থেকে স্বর্ণবার কিনতে পারবেন। তবে স্বর্ণ ব্যবসায়ী ও স্বর্ণালঙ্কার প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানকে গোল্ড (প্রকিউরমেন্ট, স্টোরেজ অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন অর্ডার, ১৯৮৭)-এর আওতায় সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকদের কাছ থেকে লাইসেন্স নিতে হবে। অনুমোদিত ডিলার এবং স্বর্ণালঙ্কার প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান বা ব্যবসায়ীর ব্যবসায়িক কার্যাবলী সংশ্লিষ্ট এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কর্তৃপক্ষ কর্তৃক কাস্টমস অ্যাক্ট ও মূল্যসংযোজন কর আইন এবং অন্যান্য বিধিবিধান দিয়ে নিয়ন্ত্রণ ও পরিবীক্ষণ করা হবে। এতে বলা হয়েছে, স্বর্ণ নীতিমালা জারির ছয় মাসের মধ্যে সব অলঙ্কার প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান বা ব্যবসায়ীকে নির্ধারিত ছক অনুযায়ী মজুত স্বর্ণ, হীরক, রৌপ্য, অন্যান্য মূল্যবান ধাতু ও প্রস্তুতকৃত অলঙ্কার সম্পর্কিত ঘোষণা সংশ্লিষ্ট মূসক কার্যালয়ে জমা দেবেন। এরপর প্রতি মাসে প্রারম্ভিক মজুত, ক্রয় বা সংগ্রহ, বিক্রয় বা সরবরাহ ও সমাপনী মজুত সম্পর্কিত তথ্য মূসক কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দেবেন। নীতিমালায় বলা হয়েছে, গ্রাহকের কাছ থেকে রিসাইকেলন্ড স্বর্ণ কেনার ক্ষেত্রে স্বচ্ছতার জন্য গ্রাহক বা বিক্রেতার জাতীয় পরিচয়পত্র বা পাসপোর্টের কপি এবং পূর্ণাঙ্গ যোগাযোগের ঠিকানা সংরক্ষণ করতে হবে। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত নিয়ম অনুযায়ী স্বর্ণ বা স্বর্ণালঙ্কারের খাদের পরিমাণ সুনির্দিষ্ট করতে হবে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, স্বর্ণ চোরাচালান নিয়ে বিভিন্ন মাধ্যমে কথা উঠার পরপরই স্বর্ণ নীতিমালা তৈরির উদ্যোগ নেয়া হয়। বিভিন্ন মাধ্যমে যাচাই বাছাই শেষে এটি অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে অনুমোদনের জন্য উঠতে যাচ্ছে। অনুমোদন মিললেই বৈধভাবে স্বর্ণবার আমদানি শুরু হবে।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

3 + two =