Site icon Aparadh Bichitra

মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হলেও তাঁর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না

ইয়াবা সম্রাট নামে পরিচিত কক্সবাজার-৪ আসনের (উখিয়া-টেকনাফ) সাংসদ আবদুর রহমান বদি। মাদকবিরোধী অভিযানের আগে পাঁচটি রাষ্ট্রীয় সংস্থার সমন্বয়ে মাদক ব্যবসায়ী ও পৃষ্ঠপোষকদের একটি তালিকায় তার নাম উঠে আসে। তবে মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হলেও তাঁর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। বদির বিরুদ্ধে ইয়াবা ব্যবসার অভিযোগ অনেক পুরোনো।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের তালিকায় এক নম্বরে আছে বদির নাম। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের করা টেকনাফের শীর্ষ মানব পাচারকারীর তালিকাতেও তার নাম ছিল। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একাধিক সদস্য বলেছেন, সরকারি দলের সাংসদ বলে যদি বদির নাম বাদ যায়, তাহলে পুরো অভিযানই প্রশ্নের মুখে পড়বে। এ ব্যাপারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, বদির বিরুদ্ধে কোনো সাক্ষী আমরা পাইনি। নাম থাকলে তো চলবে না। প্রমাণ তো করতে হবে তিনি অপরাধী। অভিযোগ থাকায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তো তাঁকে গ্রেপ্তার করেছিল, এখন কেন বলছেন অভিযোগ নেই? জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সাক্ষ্য-প্রমাণ পায়নি বলে দুদক তাকে ছেড়ে দিয়েছিল। তাহলে আমরা কী করে ব্যবস্থা নেব? এদিকে দেশে মাদক ইয়াবার গডফাদার ও ব্যবসায়ীর তালিকায় টানা ১০ বছর ধরে বদির নাম ছিল। কিন্তু গত মার্চ মাসে একটি সংস্থার তালিকা থেকে সেই নাম বাদ দেওয়া হয়। তবে সেই তালিকায় বদির পাঁচ ভাই, এক ফুপাতো ভাই, দুই বেয়াই ও এক ভাগনের নাম আছে। তালিকায় সব মিলিয়ে ইয়াবা ব্যবসায়ী হিসেবে কক্সবাজারের ৮ উপজেলার ১ হাজার ১৫১ জনের নাম আছে। এ ব্যাপারে বদি বলেন, কেউ যদি প্রমাণ করতে পারে আমি কোনো ইয়াবা ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বলেছি, তাহলে আমি পদত্যাগ করব। বরং আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সারাক্ষণ যোগাযোগ করি মাদকবিরোধী কর্মকাণ্ড নিয়ে কী করা যায়। তবে উখিয়া-টেকনাফের সাবেক সাংসদ ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী বলেন, কক্সবাজার বা টেকনাফে সাংসদ বদি তাঁর ভাই, জনপ্রতিনিধিসহ এলাকার ৩০ থেকে ৩২ জনকে নিয়ে এই ব্যবসা করছেন। কিন্তু তিনি যত দিন ক্ষমতাসীন দলের সাংসদ থাকবেন, তত দিন তাঁর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না। কেননা এতে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হবে।