মাদক ব্যবসায়ে সরকারের সাংসদ ও জনপ্রতিনিধিদের তালিকা

2
1843

সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থানে মাদক বিরোধী অভিযান শুরু হয়েছে। চলতি রমযানে এ অভিযানে শতাধিক মাদক ব্যবসায়ী নিহত, ৫ সহস্রাধিক গ্রেফতার ও র‌্যাবের ভ্রাম্যমান আদালতে সাজা হয়েছে ২ হাজার ৭২১ জনের। এ থেকে বুঝা যায় দেশে মাদকের ছড়াছড়ি কত ভয়াবহ আকার ধারন করেছে। গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ থেকে জানা যায় এসব মাদক ব্যবসার সাথে সরকারের অনেক সাংসদ ও জনপ্রতিনিধি জড়িত।

দেশ পরিচালনার মহান দায়িত্ব যাদের হাতে ন্যস্ত তারা মাদকের বিস্তার রোধ না করে উল্টো মাদকের সাথে জড়িত হয়ে যুব সমাজকে ধ্বংসের পথে নিয়ে যাচ্ছে। এর চেয়ে লজ্জার বিষয় জাতির জন্য আর কী হতে পারে! সরকারের ভাবমূর্তি ধূলায় লুন্ঠিত। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং পুলিশ সদর দফতরের একাধিক সূত্রে এসব তথ্য পাওয়া গেছে বলে পত্রিকান্তরে প্রকাশ। মাদক ব্যসার গডফাদারের মধ্যে ৪ শ’ জনপ্রতিনিধি রয়েছেন। কক্সবাজার আসনের এমপি বদুর বিরুদ্ধে এর আগে একাধিক মাদক ব্যবসার অভিযোগ উথ্যাপিত হয়েছে। এক পর্যায়ে তার নাম দেয়া হয়েছে ‘ইয়াবা বদু’। বিরাধী দলীয় নেতা হোসেন মোহাম্মদ এরশাদ সরকারে উদ্ধেশ্যে বলেছেন “মাদক সম্রাট সংসদেই আছে, তাদের ফাঁসি দেন”। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে প্রস্তুত করা এক তালিকা অনুযায়ী রংপুর, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা এবং চাপাইনবাবগঞ্জে মাদক ব্যবসায়ীদের মধ্যে দু’জন বর্তমান এমপি ও দু’জন সাবেক এমপির নাম রয়েছে। মাদকের সাথে জড়িতদের তালিকায় এমপি ও জনপ্রতিনিধিসহ যে ৪০০ জনের তালিকা তৈরি করেছে পুলিশ তাদের মধ্যে চলতি রমযানেই অভিযান পরিচালনা করা হবে বলে প্রকাশ। এদেশের শান্তিপ্রিয় লোকজন মাদকের ব্যাপারে যথেষ্ট ভয় ও আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। অনেক মেধাবি ছাত্র মাদকের নেশায় পড়ে জীবনের সব হারিয়েছে। মাদকের মহামারি আকারে বিস্তার রোধ না হলে দেশ ও জাতির কপালে সামনে দূর্যোগ রয়েছে। এদিকে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ থেকে জানা যায় অনেক পুলিশও মাদকের সাথে জড়িত। একটি বহুল প্রচারিত দৈনিকে ‘তেজগাও রেল লাইন বস্তিতে পুলিশ পাহারায় মাদকের হাট বসে’ শীরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। উক্ত সংবাদ থেকে জানা গেছে তেজগাঁও রেল লাইন বস্তি, কাওরান বাজার ও এফডিসি রেল গেট এলাকায় পুলিশ সাইরেন বাঁজায়। সাইরেন বাজানোর অর্থ হচ্ছে মাদক বিক্রেতাদের সতর্ক করে দেয়া যাতে তারা সাইরেন শোনার সাথে সাথে এলাকা থেকে চলে যায়। সংবাদে প্রকাশ, তেজগাঁও থানার অফিসার ইন চার্জসহ অধিকাংশ পুলিশ সদস্য মাদক ব্যবসার সাথে জড়িতদের কাছ থেকে মাসে মাসে প্রচুর টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। মোটা অংকের মাসোহারা পেয়ে পুলিশ মাদক ব্যবসার সাথে জড়িতদেরকে শেল্টার দিয়ে যাচ্ছে। মাদকের বিরুদ্ধে পুলিশের অভিযানে দলীয় লোকজন দলীয় পরিচয়ে পার পেয়ে যাবে কি না তা নিয়ে জনমনে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

16 − nine =