মাজহারুল ইসলাম,রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি ঃ
ড্রাগ সুপারের রহস্যজনক নীরবতায় কুড়িগ্রামের ভারতীয় আসাম সীমান্তবর্তী নদী বিচ্ছিন্ন উপজেলা রৌমারীতে গড়ে উঠেছে প্রায় দু’ শতাধীক লাইসেন্সস বিহীন ফার্মেসী ও প্যাথলজিক্যাল ডায়াগনষ্টিক সেন্টার। আর এ সকল র্ফামেসী গুলোতে পাওয়া যাচ্ছে ভারতীয় ও অননুমোদিত নি¤œ মানের ঔষধ। অভিযোগ উঠেছে ক্ষতিকর যৌন উত্তেজক ঔষধের পাশাপাশি অবাধে কিছু নিষাক্ত ঔষধ বিক্রি হওয়ায় উপজেলার যুব সমাজ মাদকে আসক্ত হয়ে পড়ছে।
অপর দিকে উপজেলায় লাইসেন্স বিহীন ব্যাঙের ছাতার মতো অবৈধ ভাবে প্যাথলজিক্যাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার উঠায় রৌমারী হাসপাতালের ডাক্তার ও রংপুর সহ বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত, বিভিন্ন নামে ডাক্তার সাজিয়ে মল,মুত্র, রক্ত, ইসিজি ও বড় ছোট কাটা ছিড়া অবৈধ কিছু চিকিৎসা দিয়ার নামে এলাকায় মাইকিং করে দিয়ে গ্রাম থেকে আসা হত দরিদ্র রোগীদের কাছ থেকে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়ে গলাকাটা বানিজ্য চালাচ্ছে। আধুনিক চিকিৎসা সেবার কোন গুরুত্ব নেই, আছে শুধু লাভের ফন্দিফিকির। এবং অবৈধ চিকিৎসায় অনেক মহিলাদের মৃত্যুর ঘটনাও শুনা গেছে।
অপর দিকে ডাক্তাররা স্লিপে টিক মার্ক দিয়ে দেন কোন কোন টেস্ট করাতে হবে এবং তার নির্ধারিত প্যাথলজিক্যাল সেন্টার থেকে টেস্ট করিয়ে আনতে হবে। সেটা বলে দেয়া হচ্ছে রোগিদের। পরিক্ষার ফি বাবদ ইচ্ছে মাফিক টাকা আদায় করা হচ্ছে। পরিক্ষার জন্য একেক প্রতিষ্ঠানে ধার্য আছে একেক ধরনের ফি। নিয়ম আছে রেট চার্ট স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের চোখের পড়ার মতো স্থানে লাগিয়ে রাখার। বিগত দিনে এ সকল ঔষধ ব্যবসায়ী ও প্যাথলজিক্যাল ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম নিয়ে দেশের একাধীক দৈনিক ও সাপ্তাহিক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হলেও অদৃশ্য কারনে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন লাইসেন্স বিহীন ঔষধ ব্যবসায়ী ও ডায়াগনস্টিক প্যাথলজিক্যাল সেন্টারের বিরুদ্ধে কোনই ব্যবস্থা গ্রহন করেনি। যার ফলে সরকার যেমন হারাচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকার রাজস্য আয় তেমনি ডায়াগনস্টিক ও প্যাথলজিক্যাল সেন্টারের নি¤œ মানের ভাওতাবাজি চিকিৎসা পেয়ে প্রতারিত হচ্ছে সাধারণ মানুষ। পাশাপাশি উপজেলা সদর সহ প্রত্যন্ত অঞ্চলের অনেক হাতুরে ডাক্তারের ছড়াছড়ি হয়ে অনেক ফার্মেসীতে বিক্রি হচ্ছে সরকারী ঔষধ। তবে ফার্মেসী গুলোতে মাঝে মাঝে জীবণ রক্ষাকারী অনেক ঔষধের সরবরাহ সংকট দেখিয়ে রোগীদের কাছে রাখা হচ্ছে দ্বিগুন দাম। বিশেষ করে রৌমারী ক্লিনিক সহ লাইসেন্স বিহীন ডায়াগনস্টিক ও প্যাথলজিক্যাল সেন্টারের দ্বৈতনীতির কারনে জিম্মি হয়ে পড়েছে রৌমারী উপজেলা বাসী। উপজেলায় গড়ে উঠা ক্যামিষ্ট এন্ড ড্রাগিষ্ট সমিতির সভাপতি মোঃ সাইদুর রহমানকে জিজ্ঞাস করলে তিনি জানান অনেক আগে আমাদের সমিতি ছিল এখন আর সমিতিটির কার্যক্রম নাই তখন সমিতির সদস্য সংখ্যা ছিল মাত্র ৩২ জন এবং লাইসেন্স করা ফার্মেসী ছিল ১৭ জনের, অথচ উপজেলায় দের থেকে পনে দু’শ ফার্মেসী আছে। সংশ্লিষ্ট তদারকী উদ্যোগী হলেই ফার্মেসী বা ডায়াগনস্টিক প্যাথলজিক্যাল সেন্টারের লাইসেন্স করতে বাধ্য হবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদাসিনতার কারনে লাইসেন্স হচ্ছেনা।এতে সরকার লক্ষ লক্ষ টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে। রৌমারী সচেতন মহল বলেন, এসব প্রতিষ্ঠানের সামনে সুপরিচিত ডাক্তার বিশেষজ্ঞদের বিরাট মাপের সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দেয়া হলেও জানা গেছে তাদের কাউকে পাওয়া যায় না। শোনা যায় রোগী আকর্ষনের জন্যই শুধু বিশেষজ্ঞদের নাম সাইনবোর্ডে লেখা হয় এবং নাম ব্যবহার বাবদ মাসিক ফি দেয়া হয় তাদের। ড্রাগ সুপার বা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে এ সকল অবৈধ ড্রাগ ও প্যাথলজিক্যাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কিসের এত গভীর সম্পর্ক ? কেনই বা তাহারা এ সর্ম্পকে উদ্যোগী হচ্ছেন না।পত্রিকায় নিউজ হবার পর ক্লিনিক মালিকগন বলেন, পত্রিকায় যতবার নিউজ করে সাংবাদিকরা কি করতে পারে করুক। আমরা সব কিছু ম্যানেজ করে কাজ করি।