কিশোরগঞ্জে ধর্ষিত শাপলা বেগম ন্যায় বিচার পাবার আশায় দ্বারে দ্বারে ঘুরছে

0
476

নীলফামারী প্রতিনিধি ঃ
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে উত্তর সিঙ্গেরগাড়ী নাটুয়াপাড়ার অসহায় সফিয়ার রহমানের কন্যা ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী শাপলা বেগম (১৪) ধর্র্ষণের বিচার পাবার আাশায় প্রশাসন ও এলাকার মহৎ প্রধানের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার ৬ জুন/১৮ইং সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, শাপলা বেগম যখন ৫ম শ্রেণীর ছাত্রী তখন প্রতিবেশি বাদশা মিয়ার পুত্র সুচতুর মোঃ বাহুল মিয়া (২২) প্রায় কুপ্রস্তাব দিত। রাজী না হলে তাকে বিয়ের প্রলোভন দিত। অবশেষে বাহুল মিয়া সুযোগ বুঝে শাপলাকে বুঝাতো যে, তোমার বয়স ১৮ না হাওয়া পর্যন্ত সরকারীভাবে বিবাহ রেজিস্ট্রি হবে না। তাই আমরা এখন থেকে স্বামী-স্ত্রীরুপে সহবাস করতে পারি। যখন তোমার বয়স ১৮ হবে তখন আমরা দু’জন কাজী অফিসে গিয়ে বিবাহ রেজিস্ট্রি করবো।

শাপলা আর ও জানায়, তার কথা বিশ্বাস করে আসামী নাজমা বেগমের সহযোগিতায় তার বাড়ীর নিরিবিলি জায়গা উত্তরপার্শের ঘরে অর্থাৎ দক্ষিণ দুয়ারী ঘরে আমরা দু’জন স্¦ামী-স্ত্রী হিসেবে যখনই সুুযোগ পেতাম সহবাস করতাম। আমরা আনন্দ পেতাম। মেলামেশার কারণে শাপলা প্রায় ৪ (চার) মাসের অন্তসত্বা হলে তখন তার মা ও বাবা এ পরিণতির বিষয় জানতে চ্ইালে সে আদি আন্ত ঘটনা খুলে বলে।
সফিয়ার রহমান তার অন্তসত্বা মেয়ে শাপলার এ পরিণতির বিষয় মোঃ বাহুল মিয়া ও তার পিতা বাদশা মিয়াকে অবগত করলে পিতার সামনে বাহুল মিয়া ঘটনার বিষয় অস¦ীকার করে। পিতা-পুত্র মিলে ধর্ষিত মেয়ের বাবা ও মায়ের বিরুদ্ধে অশ্লিল ভাষায় গালি গালাজ করে। এ ব্যাপারে বাড়াবাড়ি করলে প্রাণে মারিয়া ফেলার হুমকী দেয়।
স্থানীয়ভাবে আপোষের চেষ্টা করে ব্যর্র্থ হলে সুচতুর বাহুল মিয়া কৌশলে শাপলা বেগমকে (১৮বছর বয়স পুরন হলে) পুনরায় বিবাহ করার প্রলোভন দিয়ে অবৈধ্য গর্র্ভপাত করানোর উদ্দেশ্যে জোড় পূুর্বক আসামী নাজমা বেগমের মাধ্যমে কবিরাজী ঔষুধ খাওয়াইয়া গর্ভজাত প্রায় চার মাসের বাচ্ছার গর্ভপাত ঘটায়। স্থানীয়ভাবে জানা যায়, মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে গোপনীয় ভাবে নাজমা বেগম অবৈধ্য গর্ভপাত করানোর ব্যবসা করে। কিছুদিন পর পুনরায় শাপলা বেগম মৌখিকভাবে বিবাহের চাপ সৃষ্টি করলে বাহুল মিয়া আজকাল করে সময় ক্ষেপন করে। নানারুপ হুমকী ও ভয়ভীতি দেখিয়ে বিবাহ করবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেয়। তৎপ্রেক্ষিতে শাপলা তার পিতাসহ কিশোরগঞ্জ থানায় মামলা করতে গেলে থানা কর্তৃপক্ষ মামলা গ্রহণ না করে বিজ্ঞ আদালতে মামলা করার পরামর্শ প্রদান করে।
এ ব্যাপারে কিশোরগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ বজলুর রশিদ জানায়, ধর্র্ষণের বিষয় শুনেছি, ঘটনা স্থলে পুলিশ প্রেরণ করেছি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী ব্যাবস্থা নেয়া হবে। মাগুড়া ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান শিহাব জানায়, ঘটনা শুনেছি স্থানীয়ভাবে মিমাংসার আলাপ-আলোচনা চলছে।
উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মোছাঃ ছাবিকুন্নাহার ঐসময় ছুটিতে থাকায় তার মন্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। তবে এ বিষয়ে নীলফাামারী বিজ্ঞ আদালতে মামলা হলে উপজেলা মহিলা বিষয়ক অফিসারের কাছে মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব আাসে। বর্তমানে ২০০০ সালের নারী ও শিশুু নির্যাতন দমন আইনের সংশোধন:/০৩) ৯ (১)/৩০ ধারায় মামলাটির তদন্ত: চলমান আছে। উপজেলা মহিলা বিষয়ক অফিসার মোছাঃ ছাবিকুন্নাহার জানান, তদন্তে স্বাক্ষী প্রমাণে যা পাওয়া যাবে, তদন্ত রিপোর্টে তাই প্রেরণ করা হবে।
ধর্ষিতার চাচা নয়া মিয়া বলেন, কি বলবো স্যার? দুর্বলের উপর সবলের অত্যাচার। আমরা গরিব অসহায় বলে আমরা কি ন্যায় বিচার পাবো না স্যার। আমরা কি নির্যাতনের স্বীকার হতেই থাকবো।
দৈনিক বজ্রশক্তি, দৈনিক আখিরা, নীরফামারী চিত্র পত্রিকার সাংবাদিক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম সরেজমিনে গেলে তার পূর্ব পরিচিত বন্ধু নাজমা বেগমের সম্পর্কে জামাতা লাভলুু মিয়া- ০১৯৩৯৭৫৯৫৫৪ জানান, তদন্তে আমার শাশুড়ী নাজমা বেগমের নাম বাদ দিতে তদন্ত অফিসারকে প্রভাবিত করে ম্যানেজ করতে যত টাকা লাগুক ব্যবস্থা করা হবে। কারণ হিসেবে জানায়, তার সম্পর্কে মামা বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রশিদুল ইসলাম।
এ ব্যাপারে স্থানীয় পত্রিকা জনগণের বার্তার সংবাদদাতা রাজু জানান, মিমাংসার জন্য মেয়ের বাবাকে রাজী করাই কিন্তু ছেলের বাবা রাজী না। ছেলের বাবা রাজীতো, মেয়ের বাবা রাজী না। কাজেই মোকদ্দমার মাধ্যমে নিস্পত্তি করা ছাড়া উপাই নাই।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

one × 1 =